শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
প্রিয় পাঠক শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় এবং শীতকালে মুখে মাখা উচিত এই
সম্পর্কে হয়তো আপনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু কোথাও বিস্তারিত তথ্য জানতে
পারেননি। আপনি যদি এই বিষয়ে জানতে চান তবে আজকের এ আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আপনি
যদি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটা আপনাকে
মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
আমরা শুধুমাত্র একটা টপিক নিয়ে আলোচনা করি নাই আমরা আরো বেশ কিছু টপিক নিয়ে
আলোচনা করেছি এই আর্টিকেলটির ভিতরে যেমন শীতে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন এবং শীত কয়
মাস থাকে এই সকল দিক সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে
হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটা আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
পোস্ট সূচিপত্র ঃ নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান, সেই অংশে ক্লিক করুন
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো শীতে চুলের যত্ন, শীতে বাচ্চাদের
ত্বকের যত্ন , শীতে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়, শীত কয় মাস থাকে এবং শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত এই
সকল দিকসহ আরো অনেক দিক সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানতে পারবো যদি এই সকল তথ্য
আপনি জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত।
মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
- শীতকালে সকলেরই ত্বক ফেটে যায় এবং উষ্কখুষকো হয়ে যায। শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়া উক্তি গুরুত্বপূর্ণ তাই চলুন জেনে আসি শীতকালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় কি সে সম্পর্কে।
- অনেকেই শীতকালে গরম পানি দিয়ে গোসল করে যে ক্ষেত্রে আমাদের ত্বকের ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই বেশি গরম বা বেশি ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল না করে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করা উচিত।
- প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মুখ ভালোভাবে ধুয়ে তারপরে ঘুমাতে যাবেন।
- আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা শীতকালের জল অনেক কম পরিমাণে গ্রহণ করে। যার ফলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয় এবং মুখ শুকিয়ে যায় তাই অবশ্যই শীতকালেও শরীরে যতটুকু পানি দরকার সেইটুকু পানি গ্রহণ করানো উচিত।
- আবার আপনার মুখে আপনি অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন কারণ অ্যালোভেরা একটি এমন দ্রব্য যেটি আমাদের মুখ ফাটা থেকে বাঁচায়।
- নারিকেলের তেল ত্বকের জন্য উপকারী এটি ত্বক নষ্ট হয়ে যাওয়া হাত থেকে বাঁচায়।
- আপনি আপনার ত্বকের যত্নে কমলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন এটিও আপনার ত্বকের যত্নের জন্য অনেক উপকারী।
- এবং সাদা প্যাক হিসেবে মধু এবং ডিম কে আপনার মুখের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
- শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত
- লোশন ব্যবহার করুন ত্বকের আদ্রতা বাড়াতে। কারণ অতিরিক্ত শীতে আমাদের হাতোমুখ দুইটাই ফেটে যায়। শরীরের বিভিন্ন জায়গা ফেটে যায় এবং চুলকানিও হতে পারে তাই লোশনের ব্যবহার অতি গুরুত্বপূর্ণ।
- ঘুমানোর আগে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে এবং মুখে লোশন বা তেল ব্যবহার করে ঘুমাবেন তাহলে হাত মুখ ও পা সব কিছুই ভালো থাকবে।
- মুখে ও হাত পায়ের বিভিন্ন অংশে অলিভঅয়েল তেল ব্যবহার করুন কারণ এই তেলে কোন রাসায়নিক পদার্থ থাকে না যার ফলে আপনার শরীরের যে কোন অংশ যদি ব্যবহার করেন তাহলে সেই জায়গা সতের সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে।
- বিভিন্ন জেল বা ফেসওয়াশ মুখে ব্যবহার করুন কারণ অতিরিক্ত শীতে ত্বক ফেটে যায়। ফেসওয়াশ ব্যবহার করার ফলে এবার পরিপূর্ণভাবে মুখে ফাটা স্থানগুলো দূর হয়ে যায়।
শীতে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন
- শীতের সময় শিশুকে অবশ্যই পরিষ্কার ও হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে। শিশুদের স্কিন হয়ে থাকে একদম নরম যার ফলে তারা অতিরিক্ত ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না।
- অবশ্যই শিশুকে গোসল করানোর সময় সেই সব সাবান ব্যবহার করতে হবে যেসব সাবান ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভালো বলে প্রমাণিত কারণ শিশুদের বাদে অন্য কোন সাবান শিশুদের শরীরে ব্যবহার করলে তা থেকে শিশুর ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
- অবশ্যই গোসলের শেষে বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের লোশন থেকে থাকে সেইগুলো তাদের ত্বকে ব্যবহার করতে হবে তাহলে তাদের ত্বক ভালো থাকবে।
- গোসলের শেষে অবশ্যই বাচ্চাকে রোদে রাখতে হবে যাতে করে তার শরীরে ঠান্ডা ভাব না লাগে।
- শিশুর কখন কি হচ্ছে না হচ্ছে সেই দিকে খেয়াল রাখুন এবং কোন সমস্যা দেখা দিলে জরুরি প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- এবং অবশ্যই শিশুর হাত পা সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে কারণ হাত পায়ের মাধ্যমে শরীরে বিভিন্ন ধরনের জীবন প্রবেশ করে যার ফলে বিভিন্ন রোগ বা মুখ ফোটা হট ফটো এই সকল দিকগুলো দেখা যায়।
শীত কয় মাস থাকে
শীত থাকে তিন মাস তার মধ্যেও অতিরিক্ত পরিমাণে শীত পড়ে থাকে এক মাস এবং দুই মাস
নিম্ন শীত হয়ে থাকে। তবে সব জায়গায় একই সময় শীত শুরু হয় না বা শেষ হয় না এক
একটি অঞ্চলে কম বেশি সময় অনুযায়ী শীত শুরু হবে এবং শীত শেষ হয়।
তবে প্রায়ই বাংলাদেশে ফলো করলে দেখা যাবে শীর্ষ সাধারণত হয়ে থাকে ডিসেম্বর
জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি এই তিনমাস এই তিন মাস জুড়েই বাংলাদেশে শীত হয়ে থাকে।
শীতে চুলের যত্ন
এমনিতেই সকলেই ঠান্ডার সময় গোসল করতেই ভয় পায় শ্যাম্পু করা তো পরের কথা।
কিন্তু অবশ্যই আমাদের চুলকে শীতকালে মজবুত ও সুস্থ রাখতে চুলে শ্যাম্পু করা
লাগবে। শুধু মাথায় শ্যাম্পু দিলেই হবে না শ্যাম্পু করার কিছু নিয়ম আছে যেমন
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা মাথায় পানি না দিয়ে আগে শ্যাম্পু মাথায় দেয়
এক্ষেত্রে শ্যাম্পু দেওয়া আর না দেওয়া একই ব্যাপার।
আরো পড়ুনঃ ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম
তাই অবশ্যই আগে পুরো মাথাটাকে সম্পূর্ণভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে তারপরে মাথায়
শ্যাম্পু দিয়ে চুলকে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে তাহলে চুল সঠিকভাবে পরিষ্কার হবে।
আবার সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার মাথায় তেল ব্যবহার করা লাগবে যাতে করে মাথার চুল
পরিপূর্ণভাবে পুষ্টি পাই। তবে মাথায় তেল দিয়ে রেখে দিলে হবে না এটি একটি সীমিত
সময় ধরে
মাথায় দিয়ে রাখতে হবে পরে আবার ধুয়ে ফেলতে হবে। আবার মাথার চুল আচড়ানো লাগবে
কারণ শীতের দিনে মাথার চুলে অনেক ময়লা জমে যেগুলো চুলের গোড়ার গোড়ায় আটকে
থাকে তাই সেগুলোকে পরিষ্কার করতে হলে অবশ্যই মাথায় আজ রাতে ঘুমাবার সময় চিরুনি
দিয়ে চুল আঁচড়ানো লাগবে।
লেখকের মন্তব্য
আপনি নিশ্চয়ই আমাদের এই পুরো পোস্টটি পোড়েছেন এবং আমরা এই পোস্টের ভিতরে কি কি
গুরুত্বপূর্ণ কথাবার্তা বলেছি সেগুলো আপনি আশা করি বুঝতে পেরেছেন। যদি আমাদের এই
আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং এর মধ্যে আপনার সমস্যা গুলোর সলিউশন পেয়ে
থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটির লিঙ্ক আপনার বন্ধুর কাছে শেয়ার করবেন
এবং আপনার বন্ধুকেও এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানাতে সাহায্য করবেন আশা করি ভালো
থাকবেন বিদায়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url