বর্ষাকালীন মরিচের জাত কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত
প্রিয় পাঠক বর্ষাকালীন মরিচের জাত ও হাইব্রিড মরিচ চাষ পদ্ধতি এই সম্পর্কে হয়তো
আপনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু কোথাও বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেননি। আপনি
যদি এই বিষয়ে জানতে চান তবে আজকের এ আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আপনি যদি এই বিষয়ে
বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটা আপনাকে মনোযোগ সহকারে
পড়তে হবে।
আমরা শুধুমাত্র একটা টপিক নিয়ে আলোচনা করি নাই আমরা আরো বেশ কিছু টপিক নিয়ে
আলোচনা করেছি এই আর্টিকেলটির ভিতরে যেমন মরিচ গাছ কোন মাটিতে ভালো হয় এবং মরিচ
গাছের বৈশিষ্ট্য এই সকল দিক সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কেও বিস্তারিত
জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটা আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
পোস্ট সূচিপত্র ঃ নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান, সেই অংশে ক্লিক করুন
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো মরিচের বিভিন্ন জাতের নাম,মরিচ গাছের
বৈশিষ্ট্য, মরিচ গাছ কোন মাটিতে ভালো হয় ও মহাইব্রিড মরিচ চাষ পদ্ধতি এই সকল
দিকসহ আরো অনেক দিক সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানতে পারবো যদি এই সকল তথ্য আপনি
জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। মনোযোগ
সহকারে পড়তে হবে।
বর্ষাকালীন মরিচের জাত
আপনার জমিতে আপনি শুধু চাষ করলেই হবে না সঠিক সময় সঠিক চাষ করা লাগবে আপনার
জমিতে। আপনি যদি সঠিক সময়ে সঠিক জাতের মরিচ চাষ করেন তাহলে আপনার জমিতে অনেক
মরিচের ফলন দেখা দেবে এবং তা থেকে আপনি অনেক লাভ করতে পারবেন। বর্ষাকালের মরিচ
গুলোর মধ্য কয়েকটি জাত যেগুলোর ফলন অনেক
বেশি হয় সম্ভবত বর্ষাকালীন সময়ে তিনটি জাতের মরিচের চাষ হয় তার মধ্যে একটি
জাতের মরিচের নাম নাগাফায়ার এই মরিচটির সম্ভবত পুরোপুরি সবুজ রঙের হয় গাড়ো
রঙের হয়। যার ফলে বাজারে এই মরিচটি চাহিদা অনেক বেড়ে থাকে এবং এই মরিচটি বাজারে
অনেক বিক্রি হয়। আপনি যদি এই মরিচটি চাষ করে থাকেন তাহলে ৩৫ থেকে ৪০ দিনের
মধ্যে
আপনি একটি দুর্দান্ত ফলন পাবেন। সাত থেকে আট মাস হয়ে থাকে মরিচ এর জীবনকাল। যার
ফলে এই মরিচের ফলন করে অনেক লাভবান হয় এটি বর্ষাকালে মরিচের জাত। আবার তিনটির
মধ্যে আরেকটি জাতের নাম হল ধুমকেতু যে মরিচটির রং হালকা সবুজ যার কারণে এটির
বাজার চাহিদা অনেক। গ্রীষ্মকালে ও বর্ষাকালে এই মরিচটির চাহিদা থাকে অনেক
বেশি।
তাই আপনি বর্ষাকালে এই মরিচটি চাষ করতে পারেন। বর্ষাকালীন তিনটি মরিচের জাতের
মধ্য তৃতীয় নাম্বারে যেটি আছে সেটির নাম বিজলি এই মরিচটি হল লাইভ সবুজ যার কারণে
এই পরিস্থিতির বাজার চাহিদা অনেক বর্ষাকালের শ্রেষ্ঠ একটি মরিচ। এই মরিচটির
জীবনকাল সাত থেকে আট মাসের সমান। তবে এই তিনটি বর্ষাকালীন মরিচের জাতের
মধ্যেও প্রত্যেকটি মরিচ ভালো ফলন দেবে যদি আপনি মরিচের গাছের ভালোভাবে পরিচর্যা
করে। ভালোভাবে পরিচর্যা না করলে কোন মরিচই ভালো ফলন দেবে না।
হাইব্রিড মরিচ চাষ পদ্ধতি
মরিচ একটি
মসলা যেটি খাবারে না দিলে খাবার সুস্বাদু হয়ে ওঠেনা। মরিচ খাবার রান্না করার জন্য
অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি মসলা। তবে মরিচের অনেক ধরনের জাত আছে তার মধ্যে একটি জাত
হাইব্রিড মরিচ। এই মরিচের ফলন অনেক বেশি হয়। এবং এই মরিচের জাত অনেক ভালো।
হাইব্রিড মরিচ বাংলাদেশের সব জায়গাতেই অনেক ভালো চাষ হয় তবে
আরো পড়ুনঃ কিসমিস খেলে কি মানুষ ফর্সা হয়
দোআঁশ অথবা পলি দো-আঁশ মাটিতে এর চাষ ভালো হয়। বলিস টি চাষ করার সময় ভালোভাবে
জমিকে রোদে শুকিয়ে তারপরে সার প্রয়োগ করতে হবে। এটির ফলন বীজ রোপনের ৮০-৯০
দিনের মধ্যে শুরু হয়ে যায়।।৯-১০ দিন পর পর প্রত্যেকটি গাছ থেকে এক থেকে দুই
কেজি মরিচ উৎপাদিত হয় যার ফলে মে মরিচয় অনেক লাভ হয়ে থাকে।
মরিচের বিভিন্ন জাতের নাম
- নাগাফায়ার এই জাতের মরিচটি গাঢ় সবুজ রঙের হয় এবং এই মরিচ দিয়ে উন্নত একটি মরিচটি চাষ বর্ষাকালে হয়ে থাকে। এই মরিচটি উৎপাদন করে অনেক লাভবান হওয়া যায় এবং এটির জীবনকাল থাকে .৭-৮ মাস। যার ফলে এটি বাজারে চাহিদা অনেক।
- মরিচের মধ্যেও অনেক সুন্দর একটি মরিচ হল হাইব্রিড মরিচ যেটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি তার কার্যকারিতা। এই মরিচ দেখতে অনেক মোটা টাইপের হয়। আমি মরিচ অনেক মানুষের মন জয় করে ফেলে যার ফলে এই মরিচের উৎপাদন বেশি হয় এবং এটি বাজারে অনেক বিক্রি হয়। তবে এটি শুধু দেখতে সুন্দর কিন্তু এই মরে যে কেমন খুব একটা ঝাল হয় না।
- ধুমকেতু মরিচ যেটির যেটির রং হয় হালকা সবুজ যার ফলে এই মরিচকে সকলে অনেক পছন্দ করে এবং এই মরিচটি যেমন দেখতে সুন্দর তেমনি এই মরিচ অনেক ঝাল হয়। যার ফলে মানুষ অনেক পছন্দ করে বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি।
- এবং আরেকটি জাতের মরিচ পাওয়া যায় যেটি হলো বিজলী মরিচ এই মরিচটি সাধারণত হয়ে থাকে লাইফ সবুজ এবং এই মরিচের ফলন থাকে 5 থেকে 6 মাস কিন্তু অবশ্যই মরিচের যত্ন নেওয়া লাগবে তাহলে মরে যে মরিচি আপনি চাস কেন তাতে লাভবান হবে।
মরিচ গাছ কোন মাটিতে ভালো হয়
মরিচের বীজ চাষের জন্য দো-আঁশ মাটি অনেক উপকারী এবং এই চারাটি রোকন করার জন্য
বেলে দশ মাটি অনেক ভালো। বেলে দোআঁশ মাটিতে মরিচের ফলন অনেক ভালো হয়। এই মাটির
উর্বরতা অনেক বেশি যার ফলে এই মাটিতে মরিচ চাষ অনেক ভালো হয়। এই মাটি বাদে অন্য
মাটিতে মরিচ চাষ অনেক ভালো হয় তবে এই মরিচের তুলনায় ওই মরিচ একটু উৎপাদনের হার
কম হয়।
মরিচ গাছের বৈশিষ্ট্য
মরিচ এমন একটি মসলা যেটি ছাড়া তরকারি কোনভাবেই সুস্বাদু করা সম্ভব নয়। মরিচ
ছাড়া তরকারি এটা কখনো মানা যায় না। মরিচ যেটি সকলেই খাবারে ব্যবহার করে থাকে
কারণ ময়ূরীর না ছাড়া তরকারি খাওয়া আর না খাওয়া একই বিষয়। কিন্তু এ মরিচের
ভালো দিক খারাপ দিক দুটোই আছে অতিরিক্ত পরিমাণে পড়িয়ে ব্যবহার করে খাবার খেয়ে
ঝাল
বানিয়ে সেটি খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় তাই অবশ্যই এই মরিচের ব্যবহার
একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যবহার করতে হবে যাতে শরীরের কোন উপকার ক্ষতি না হয়। এই
মরিচের আবার বিভিন্ন রকমের জাত আছে একেক জাতের এক এক ধরনের হয়ে থাকে। কোন কোন
জাতের মরিচ এমন হয়ে থাকে যে দেখতে অনেক সুন্দর যেটা মানুষের মনে বা চোখে
লেগে যায় কিন্তু ঝাল অনেক কম হয়ে আবার কিছু কিছু মরিচ আছে যেগুলো দেখতে অতটা
তেমন সুন্দর না কিন্তু সেই মরিচগুলো ঝাল অনেক বেশি হয়। তাই অবশ্যই আমরা মরিচ
দেখে শুনে খাব।
লেখকের মন্তব্য
আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের এই পুরো পোস্টটি পোড়েছেন এবং আমরা এই পোস্টের ভিতরে কি কি
গুরুত্বপূর্ণ কথাবার্তা বলেছি সেগুলো আপনি আশা করি বুঝতে পেরেছেন। যদি আমাদের এই
আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং এর মধ্যে আপনার সমস্যা গুলোর সলিউশন পেয়ে
থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটির লিঙ্ক আপনার বন্ধুর কাছে শেয়ার করবেন
এবং আপনার বন্ধুকেও এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানাতে সাহায্য করবেন আশা করি ভালো
থাকবেন বিদায়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url