রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয়

প্রিয় পাঠক রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয় এবং হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় এই সম্পর্কে হয়তো আপনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু কোথাও বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেননি। আপনি যদি এই বিষয়ে জানতে চান তবে আজকের এ আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আপনি যদি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটা আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয়
আমরা শুধুমাত্র একটা টপিক নিয়ে আলোচনা করি নাই আমরা আরো বেশ কিছু টপিক নিয়ে আলোচনা করেছি এই আর্টিকেলটির ভিতরে যেমন কোন মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয় এবং শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ এই সকল দিক সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটা আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

ভুমিকা

আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো রক্ত বৃদ্ধি করে কোন পাতা,শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ, রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয় এবং কোন মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয় এই সকল দিকসহ আরো অনেক দিক সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানতে পারবো যদি এই সকল তথ্য আপনি জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ

মানব দেহের ভিতরে রক্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি তরল পদার্থ যেটি না থাকলে মানুষ কোনভাবেই বেঁচে থাকতে পারবে না। আপনাদের ভিতরে অনেকেরই এমন সমস্যা দেখা দেয় যে শরীরের রক্তশূন্যতা দেখা দেয় এবং বিভিন্ন রোগের সম্মুখীন হতে হয়। শরীরে রক্ত কমে গেলে শরীর আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ে কোন কাজের প্রতি তেমন মন বসে না। 

রক্ত সমস্যা দেখা দেয় শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে যার অভাবে মানুষ রক্তস্বল্পতায় ভুগছে। রক্ত কমে যাওয়া শরীরের জন্য যেহেতু একটি ভয়ঙ্কর লক্ষণ তাই চলুন জেনে নি আপনার শরীরের রক্ত বৃদ্ধির জন্য কোন ওষুধ খাওয়া উচিত ঃ
  1. ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট
  2. হেমোফিক্স ক্যাপসুল
এই দুইটি ওষুধ আপনার শরীরের রক্ত বাড়ানোর জন্য কাজে আসতে পারে। কারণ এই ওষুধের মধ্যে আছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন সি যেটি শরীরের রক্ত বাড়াতে সাহায্য করবে এবং শরীরকে সুস্থ ও সকলরাতে সাহায্য করবে। তাই অবশ্যই যাদের মাঝে মাঝে শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় তারা এই ওষুধগুলোর নাম জেনে রাখবেন কারণ অনেক সময় শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। 

কিন্তু সে সময়ে আপনার রক্তের গ্রুপের সাথে যদি যে রক্ত দান করবে তার গ্রুপের রক্ত মিলাতে যান তাহলে আপনার অনেক দেরি হয়ে যাবে আবার আপনাকে কেউ রক্ত দান করবে এরকম ব্যক্তিকে সে সময় আপনার পাশে নাও পেতে পারেন তাই অবশ্যই যাদের শরীরে রক্ত কম বা রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। অবশ্যই তারা এই দুইটি ওষুধের নাম মনে 

থাকবে এবং পারলে এই ঔষধগুলি বাসায় এনে রাখবেন এই ঔষধ আপনার বিপদে কাজে আসবে।

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয়

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে প্রথম নিজেই সমস্যা দেখা দিবে সেটি হল শরীরে রক্তস্বল্পতা। আপনি নিশ্চয়ই জানেন শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে আপনাকে। হিমোগ্লোবিন কমে গেলে যেটি দেখা যায় তার মধ্য একটি হলো মাথাব্যথা আর আমরা সকলেই জানি মাথাব্যথা হলে কারোরই ভালো লাগেনা। 

শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া মানে শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দেওয়া কারণ হিমোগ্লোবিনে থাকে ভিটামিন সি যেটি শরীরকে রক্ত প্রদান করে আবার আপনি চাইলে খাবারের মধ্য কিছু খাবার খেতে পারেন যেগুলো খেলে আপনার শরীরে রক্ত তৈরি হবে তার মধ্যে কিছু খাবারের তালিকা ঃ
  • লেবু
  • স্ট্রবেরি
  • আপেল
  • টমেটো
  • ছোট মাছ
  • ডালিম
  • লাল শাক
  • লাল আঙ্গুর
  • কমলা
  • ও গোলমলির
এই সকল খাবারগুলো যদি আপনি খান তাহলে আপনার শরীরে ভিটামিন সি এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং শরীরে পুনরায় নতুন রক্ত তৈরি হবে। শরীরের মধ্যে দুর্বলতা ভাব থাকলে তা কেটে যাবে। কারণ এই খাবারগুলোতে থাকে ভিটামিন সি যদি মানব দেহের শরীরকে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং শরীরের রক্তস্বল্পতা আকাঙ্ক্ষাকে কমিয়ে দেয়।

হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়

পুরুষ এবং নারীদের মধ্যেও পুরুষের হিমোগ্লোবিন মাত্রা একরকম ভাবা লাগে এবং নারীদের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অন্যরকম হাওয়া লাগে।
  • গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় একটি পুরুষের রক্তে হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক মাত্রায় ১৫.৫ থেকে ১৭.৫ গ্রাম। একটি পুরুষের দেহে যদি এর তুলনায় অনেক কম হিমোগ্লোবি থাকে তাহলে সে আরেকজনকে রক্ত দিতে পারবে কিন্তু তার রক্তের গ্রুপ এবং যাকে রক্ত দিবে তার রক্তের গ্রুপে রক্ত দেওয়া যাবে কিনা সেটি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রক্ত দিতে হবে।
  • নারীদের ক্ষেত্রে যাদের বয়স ২০ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে তাদের দেহে স্বাভাবিক মাত্রায় হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ১২ থেকে ১৫.৫ গ্রাম থাকা উচিত। একটি নারীর রক্তে যদি এই স্বাভাবিক পরিমাণের থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ কম থাকে তাহলে সে অন্যদেরকে রক্ত প্রদান করতে পারবে। তবে অবশ্যই রক্ত প্রদান করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনি পুরুষ বা নারী যাই হোক না কেন আপনাকে অবশ্যই আপনার রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কত তা জানা লাগবে তারপরে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যদি সম্ভব হয় তাহলে অন্য কেউ রক্ত প্রদান করতে পারবেন তার আগে রক্ত প্রদান করা বিপদজনক।

কোন মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয়

আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে আমাদের শরীরের রক্ত বৃদ্ধির জন্য যেগুলো খাওয়া দরকার সেগুলো কেউই খায় না কিন্তু আমাদের মধ্যে কেবি জানিনা যে আমাদের শরীরে রক্তের গুরুত্ব কতটুকু। আমাদের শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করতে যেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তার মধ্যে একটি হলো মাছ এবং এই মাছের ভেতরে সামুদ্রিক মাছ হলে আরো বেশি ভালো হয়। 

সামুদ্রিক মাছের নানান ধরনের পুষ্টিগুণ বা এসিড থেকে থাকে যেগুলো আমাদের শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং আপনারা সচরাচর যে মাছটি খেয়ে থাকেন তার মধ্যে একটি হলো শিং মাছ অনেকেই হয়তো অনেকদিন যাবত ধরে এ মাছটি খান এবং অনেকেরই প্রিয় মাছ হল শিং মাছ। কেউই তেমন সঠিক ভাবে জানেন না যে শিং মাছ 

খাওয়ার ফলে শরীরে রক্ত বৃদ্ধি পায়। এখন আপনি নিশ্চয়ই জেনে গেছেন যে, শিং মাছ খেলে শরীরের রক্ত বৃদ্ধি পায় তাই অবশ্যই শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করতে চাইলে আজকে থেকেই যারা শিং মাছ পছন্দ করে না বা খান না তারা অবশ্যই শিং মাছ খাবারের তালিকায় রাখবেন।

রক্ত বৃদ্ধি করে কোন পাতা

শরীরের রক্ত বৃদ্ধির তালিকায় যদি আসে খাবারের নাম তাহলে প্রথমেই আসবে বিভিন্ন ধরনের পাতা জাতীয় সবজির নাম যেমন ঃ
  • কচুর পাতা
  • লাল সাক
  • পালং সাক
  • পুদিনা পাতা
  • ধনীয়ের পাতা ইত্যাদি।
এরকম আরো বিভিন্ন ধরনের পাতা আছে যেগুলো খেলে আমাদের শরীরে আপনা আপনি রক্ত বৃদ্ধি পায়। আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই শরীরে পরিপূর্ণ পরিমাণে রক্ত থাকা উচিত। তাই অবশ্যই যাদের শরীরের রক্ত কম বা রক্তশূন্যতা দেখা দেয় আপনারা চাইলে এই পাতাগুলো রান্না করে খাওয়ার মাধ্যমে আপনাদের শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করতে পারেন।

তাই অবশ্যই আপনারা এই পাতাগুলোর নাম ভালোভাবে জেনে নিবেন কারণ এটা শুধু শরীরের রক্ত বৃদ্ধিতে কাজে আসে না আরো বিভিন্ন উপকারে আসে যেমন আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বা পোস্টটি প্রদান করে যার ফলে আপনার শরীর সুস্থ থাকে।

লেখকের মন্তব্য

আপনি অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। আমরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে কোন কোন বিশেষ দিনগুলো তুলে ধরেছে সেগুলো সম্পর্কেও হয়তো আপনি জেনে গেছেন। আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে উপকারিতা হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুর কাছে শেয়ার করুন এবং তাকেও জানাতে সাহায্য করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url