ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বাংলাদেশের অবস্থান কত তম

প্রিয় পাঠক ফিন্যান্সিং সেক্টরে বাংলাদেশের অবস্থান কত তম এই সম্পর্কে জানার জন্য আপনি হয়তো অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু কোথাও কোনো বিস্তারিত তথ্য জানতে পারছেন না। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। অবশ্যই আপনার সকল তথ্যের উত্তর পেয়ে যাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বাংলাদেশের অবস্থান কত তম
আমরা শুধুমাত্র একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করিনি আরো বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি আপনি যদি সেই সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আর দেরি না করে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্র ঃ এই পোস্টের যে অংশ থেকে পড়তে চান, সেই অংশে ক্লিক করুন

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বাংলাদেশের অবস্থান কত তম

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা বেড়েই চলেছে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ এবং ভারতের অধিকাংশ মানুষ ফেলেনসিং নিয়ে ক্যারিয়ার ডেভলপ করছে এরকম আপনিও চাইলে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আপনার সফলতার যাত্রা শুরু করতে পারেন। অনেক ফ্রিল্যান্সারদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে এবং অনেক বাংলাদেশী ভাই বোনদের মনে প্রশ্ন আসে যে সেরা ফ্রিল্যান্সিং দেশ কোনটি।

আপনার মনে যদি এ ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আর চিন্তার কোন কারণ নেই আপনি একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর আপনি পেয়ে যাবেন তাহলে চলুন আর দেরি না করে জানা যাক ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বাংলাদেশের অবস্থান কততে রয়েছে। যদি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ দেখেন তাহলে অধিকাংশ ফিন্যান্সিং কাজ হয় ভারতে।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের ভেতরে প্রথম স্থানে রয়েছে ভারত এবং ভারতের পরে যদি কোন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন শ্রেষ্ঠ দেশ থাকে তাহলে সেটি হল বাংলাদেশ এক কথায় বলতে পারেন বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের দ্বিতীয়তম অবস্থায় রয়েছে এবং বর্তমানে আরো এগিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ ফ্রীলান্সিং কাজের দিকে।

ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি

ফ্রিল্যান্সিং এ বেশ কয়েকটি সেক্টর রয়েছে এবং অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেগুলোতে আপনি মার্কেটিং করে মাসে লক্ষ-লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন। তবে অনেক অনেক ফ্রিল্যান্সার সে যে বিষয়ে দক্ষ বা যে বিষয়ে ডেভেলপ করছে সেই বিষয়কে সব সময় বেশি গুরুত্ব দেয় এবং সেটাকে অনেক বেশি বড় মনে করে।

তবে যদি আপনি বেশি ফিন্যান্সের মতামত নিতে যান তাহলে ওরা ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস যেটি বলবে সেটি হল আপওয়ার্ক এটি বর্তমানে পুরো বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের একটি বড় মার্কেটপ্লেস হিসেবে বলা যায় এর মার্কেটপ্লেস ইউজারের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫০ লাভ মানুষ এই সেক্টরে নিবন্ধন করছে এবং এখান থেকে তাদের ক্যারিয়ার ডেভেলপ করছে।

এটি বাদেও আরো অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস আছে তবে সবগুলোর ভেতরে এইটি কে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস বলা যায় কারণ এই মার্কেটপ্লেসে অধিক পরিমাণে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের কাজগুলো করে থাকে এবং এটির মাধ্যমে তারা একটি হ্যান্ডসাম অ্যাকাউন্টের টাকা ইনকাম করে থাকে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন তাহলে চলুন পরের টপিকে যাওয়া যাক।

আউটসোর্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান

আপনারা হয়তো অনেক আইটি সেন্টার দেখতে পাবেন যারা অনেকজন মিলে দলবদ্ধভাবে একটি আইটি সেন্টার গড়ে তুলে এবং এটি থেকে তারা মানুষকে ফ্রিল্যান্সিং এর সকল কাজগুলো গিয়ে থাকে এবং এই ইনকামটিকে সম্পূর্ণ আউটসোর্সিং হিসেবে ধরা হয়। আউটসোর্সিং করে বাংলাদেশের অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সার এখন লাখ লাখ টাকা আয় করছে।

আসলে আপনারা যে আইটি সেন্টারে ফ্রিল্যান্সিং শিখেন সেটি হল একটি প্রতিষ্ঠান যেখান থেকে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখাচ্ছে কিন্তু এই কাজটিকে সম্পূর্ণরূপে আউটসোর্সিং বলা হয়। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে আউটসোর্সিং এর দিক দিয়ে বাংলাদেশ কততম অবস্থাতে আছে বা বাংলাদেশের অবস্থা কেমন হতে পারে।

আপনি যদি আউটসোর্সিং এর দিক দিয়ে বাংলাদেশকে দেখতে যান তাহলে বাংলাদেশে প্রায় ৭ লাখের কাছাকাছি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত বৈদেশিক মুদ্রা ইনকাম করছে এবং এটা থেকে তাদের পরিবার এবং তারা খুব সুখে জীবন যাপন করছে। তাহলে বাংলাদেশে প্রায় ৭ লাখ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে তাহলে দেখা যাবে বাংলাদেশ পুরো বিশ্বের তৃতীয়তম অনুষ্ঠানে রয়েছে শুধু আউটসোর্সিং এর দিক দিয়ে।

ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত

আপনি নিশ্চয়ই উপরের টপিকে দেখেছেন বলেছিস ৭ লাখ মানুষ বাংলাদেশের ফিনান্সিং করে। তাহলে এদের ভেতরে প্রতিদিন একেক জন অনেক ডলার ইনকাম করতে পারে এই ডলারকে বাংলাদেশে এনে সেটি বাংলাদেশি টাকা কনভার্ট করা যায়। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের অধিক পরিমাণ মানুষকে কাজ করতে দেখেন তাহলে সেটি হল বাংলাদেশের মানুষ।

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এখন ফ্রিল্যান্সিং করছে এবং তার মাধ্যমে ইনকাম করছে তাহলে যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর দিক দিয়ে বাংলাদেশের আয় দেখতে যান তাহলে সকল ফ্রিল্যান্সারদের আয় মিলিয়ে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা প্রায় কয়েক বিলিয়নের উপরে সেই দিক থেকে দেখতে গেলে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা অষ্টম অবস্থায় রয়েছে।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

হাসতে হাসতে ফ্রিল্যান্সিং সবার কাছে জনপ্রিয় একটি পেশা হয়ে উঠছে কারণ এই কাজটি সকল পেশার মানুষ তাদের ফ্রি সময়কে কাজে লাগিয়ে করতে পারে। আপনিও চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন এবং সর্বপ্রথম আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ আসার আগে এটা ভাববেন ফ্রিল্যান্সিং এর কোন সেক্টর বর্তমান সময়ে অনেক জনপ্রিয় একটি সেক্টর।

তাহলে আপনার কোন চিন্তা নেই আজকে অবশ্যই আমি আপনাকে বলে দেব আপনি কোন সেক্টরে কাজ করলে অনেক সুবিধা পাবেন এবং অনেক সহজে আয় করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কোনটা চাহিদা বেশি বা কোন কাজটা সবাই করতে চায় সে সম্পর্কে তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নিই কোনটা আমার জন্য ভালো হবে।

সর্বপ্রথমেই বলি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সবচাইতে ডিমান্ডেবল সেক্টর হল ডিজিটাল মার্কেটিং যেটি করে আপনি অল্প সময়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন তবে এটি বাদ দে আরো আরেকটি সেক্টর রয়েছে যেটি হলো গ্রাফিক ডিজাইন এটার মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন তবে এটি থেকে ইনকাম শুরু হতে একটু দেরি হয় এবং ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনেক দ্রুত টাকা আয় করা যায়।

আপনি যে সেক্টরে যেতে চান সেই সেক্টরে অবশ্যই আপনাকে মনোযোগ সহকার কাজ করতে হবে এবং আপনাকে সেই সেক্টরে দক্ষ একজন ফ্রিল্যান্সার করে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। অবশ্যই আপনি চেষ্টা করবেন ডিজিটাল মার্কেটিং করার কারণ বর্তমান সময়ে এটির ডিমান্ড অনেক বেশি। অবশ্যই আপনি চেষ্টা করবেন ডিজিটাল মার্কেটিং আশা করি ভালো থাকবেন চলুন যাওয়া যাক পরের টপিকে।

একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত

একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় নির্ধারণ করতে হলে সর্বপ্রথমে আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে সে কোন সেক্টর নিয়ে কাজ করছে কারণ ফ্রিল্যান্সিং এর এক একটি সেক্টরে একেক রকমের আই ইনকাম করা যায়। ফ্রিল্যান্সিংয়ে যেহেতু একটি সেক্টর নেই বেশ কয়েকটি সেক্টর আছে সেহেতু সর্ব প্রথমে ফ্রিল্যান্সারদের আই ইনকাম দেখতে গেলে আপনাকে তার সেক্টর এবং স্কিল দেখতে হবে।

আপনাকে সিম্পল একটি উদাহরণ দেই যদি একটি ফ্রিল্যান্সার গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করে এবং সে যদি সেই সেক্টরে দক্ষ হয়ে থাকে তাহলে সে সর্বোচ্চ আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার মতন প্রতি মাসে উপার্জন করতে পারে। আরেকজন দেখা যায় ওয়েব ডেভলপার সে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট ডিজাইনের এবং কোডিং নিয়ে কাজ করে।

তাহলে সেই ওয়েব ডেভলপারের মাসিক হয় সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকার উপরে পর্যন্ত যেতে পারে এবং যদি কেউ বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি এবং ব্লগিং করে থাকে তাহলে সে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে প্রতি মাসে এরকম বিভিন্ন ধরনের সেক্টর রয়েছে যাদের আয় এক এক রকমের। তাই অবশ্যই আপনাকে যেই সেক্টরে কাজ করেন না কেন অনেক পরিশ্রম করতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণের শতকরা হার কত

প্রায় বিশ্বে যতগুলো ফ্রিল্যান্সার রয়েছে তাদের মধ্য অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা নারী এবং অধিকাংশ রয়েছে যারা পুরুষ তবে এদিকে যদি শতকরা হিসেবে ভাগ করতে যান তাহলে প্রায় নারীর চাইতে পুরুষের সংখ্যা বেশি বেরোবে। কারণ নারীদের তুলনায় অধিকাংশ পুরুষ ফিন্যান্সিং করে। এটিকে যদি শতাংশ হিসেবে বের করতে যান।

তাহলে একশ শতাংশের ভেতরে মাত্র নয় শতাংশ নারী ফিলোচার পাবেন এবং বাকি ৯১ শতাংশ পুরুষেরা ফ্রিল্যান্সিং করে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ফ্রিল্যান্সিং এর পেশায় নারী এবং পুরুষের কত শতাংশ করে ফ্রিল্যান্সিং করে এই সম্পর্কে সকল বিস্তারিত।

শেষ বক্তব্যঃ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বাংলাদেশের অবস্থান কত তম

আশা করি আপনি আমাদের এই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং আমরা এই আর্টিকেলটির ভেতরে যেই গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরেছি সেই সকল গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আমাদের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি বিন্দু পরিমান উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুকে আমাদের এই আর্টিকেল শেয়ার করে তাকেও আর্টিকেলটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সাহায্য করবেন। এরকম নানান তথ্য পেতে আমাদের সাথে থাকুন। এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url