মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ১০টি উপায় | মুখে দুর্গন্ধ কিসের লক্ষণ

আপনি যদি মুখের ভিতর নিয়ে প্রতিরা পাতা চিবান তাহলে কিন্তু আপনার মুখে দুর্গন্ধ এক নিমিষে দূর হয়ে যাবে বলতে পারেন। পুদিনা পাতা দিয়ে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের টুথপেস্ট তৈরি করা হয় যেগুলো আমরা সাধারণত মুখমণ্ডল পরিষ্কার করতে ব্যবহার করি।

পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্রাশ করাঃ

গবেষণা অনুযায়ী এটা বলা যায় যে দিনে একটি মানুষের ২ থেকে ৩ বার ব্রাশ করা উচিত। যদি কেউ দূর থেকে তিনবার ব্রাশ করে তাহলে তার মুখের ভেতরে কোন ধরনের জীবাণু থাকবে না এবং জীবাণু যদি না থাকে তাহলে বুঝতে পারছেন আপনার মুখে থেকে কোন ধরনের দুর্গন্ধ আসবে না। তাই আমাদের যাদের মুখে থেকে দুর্গন্ধ বের হয় তাদের জন্য ভালো হবে তিনবার ব্রাশ করা।

এখন আপনি হয়তো এটি বলতে পারেন যে আমি কেন দিনে তিনবার ব্রাশ করতে বলছি, আপনারা তো পাত্র দিলে একবার ব্রাশ করে না সেটি হল সকালে। দেখুন আপনি যখন সকালে ব্রাশ করেন তখন কিন্তু আপনার মুখে থেকে সকল জীবাণুগুলো দূর হয়ে যায় কিন্তু যখন আপনি খাবার খান তখন আবার জীবাণুগুলো আপনার মুখের সাথে সংযুক্ত হয়ে যায়।

আপনি যদি খাবার খাওয়ার পরে রোগ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলেন তাহলে কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনার মুখে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারবেনা। ঠিক তেমনি যদি দুপুর এবং রাত্রে খাওয়ার পরে ব্রাশ করেন তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু আপনাদের মুখের ভেতর কোনো জীবাণু ধরনের থাকবে না আর যদি জীবাণু না থাকে তাহলে কিন্তু মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হবে না।

এলাচ

এটি হল একটি মসলা যেটি আমরা আমাদের রান্না করার কাজে ব্যবহার করে থাকে এবং এটি দিলে কিন্তু রান্না গুলো অনেক সুস্বাদু হয়ে ওঠে কিন্তু আপনি কি জানেন এটি রান্না সুস্বাদু করার সাথে সাথে আপনাদের মুখের দুর্গন্ধ গুলো দূর করে দিতে পারে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য আপনাকে একটি এলার্ট মুখের ভেতরে ১০ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে এবং ভালোভাবে চিপাতে হবে।

প্লাস কিন্তু একটি মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য এটা চিবালে আপনার নিজের অনেক ভালো লাগবে এবং আপনার মুখে যদি কোন প্রকার জীবাণু অথবা জীবাণুর কারণে হওয়ার দুর্গন্ধ থেকে থাকে তাহলে সেটি কিন্তু দূর হয়ে যাবে। তাই যাদের বাড়িতে এলাচ রয়েছে এবং মুখের গন্ধে থাকতে পারছেন না তারা এলাচ চিবান তাহলে দেখবেন মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়ে গেছে।

লবণাক্ত জলঃ

আপনার বাসায় নিশ্চয়ই লবণ রয়েছে যদি আপনার বাসায় লবণ থেকে থাকে তাহলে সেই লবণ এক গ্লাস পানিতে একটু পরিমাণ দিয়ে ভালোভাবে মিশে ফেলুন এবং পারলে পানিটিকে কুসুম উসুল গরম করুন এবং পানি গরম হয়ে গেলে মুখে দুই থেকে তিন মিনিট রেখে কুলি করুন তাহলে দেখবেন আপনার মুখের সকল জীবানু গুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।

আর আমি তো অনেকবার বলেছি যদি আপনার মুখের জীবাণু না থাকে তাহলে এর থেকে দুর্গন্ধ আসার কোন প্রশ্ন আসে না। যাদের বাড়িতে লবণ রয়েছে তারা বেকার বসে না থেকে এই লবণকে কাজে লাগিয়ে আপনাদের মুখের গন্ধ দূর করুন এবং আপনার আশেপাশের কোন আত্মীয়-স্বজনের এই সমস্যাটি হলে তাকে এই টেকনিকটি জানিয়ে দিন।

বেদনার খোসার ব্যবহারঃ

যেহেতু বেদনার দাম অনেক বেশি সেহেতু সকলের ক্ষেত্রে বেদেনা কেনা খুব একটা সহজ নয় কিন্তু যারা বেদনা কেনার মত সামর্থ্য রাখেন তারা চাইলে বেদনার খোসা দিয়ে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পারবেন। আপনাদের ভেতরে অধিকাংশ মানুষ এবং আপনি নিজেও কিন্তু অধিকাংশ সময় বেদনার খোসা ফেলে দেন।

আপনি যে খোসাটা ফেলে দিচ্ছেন এই খোসাটা না খেলে কিন্তু আপনি চাইলে এটি দিয়ে আপনার রোগের ট্রিটমেন্ট করতে পারেন যেমন আমি বললাম আপনি যদি চান তাহলে আপনার মুখে যদি কোন প্রকার দুর্গন্ধ থাকে তাহলে সেটিকে খুব সহজে দূর করতে পারেন। বেদনার খোসার মাধ্যমে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে হলে আপনাকে সর্ব প্রথমে একটি বেদানার খোসা জলের ভেতরে রাখতে হবে।

জলে বেদনার খোসা রাখা হয়ে গেলে আপনি সেগুলোকে হালকা করে গরম করে নিন এবং গরম হয়ে গেলে সেই পানি দিয়ে কিছুক্ষণ সময় গুলি করুন তাহলে দেখবেন কিছুক্ষণের ভেতরে আপনার মুখের দুর্গন্ধ সম্পূর্ণ আকারে দূর হয়ে যাচ্ছে। যারা বেদনার খোসা ফেলে দিতেন তারা আজকে থেকে আর ফেলবেন না এটা রেখে দিবেন।

পেয়ারার পাতাঃ

পেয়ারার পাতা দিয়ে কিন্তু অনেক ঔষধি তৈরি করা হয় এবং এর ভেতরে নানা ধরনের ঔষধি গুন রয়েছে। পেয়ারা পাতা দিয়ে আপনি চাইলে খুব সহজে আপনার মুখে দুর্গন্ধ দূর করতে পারবেন কিন্তু এর জন্য আপনাকে টি পেয়ারার পাতা নিয়ে ভালোভাবে সেটিকে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে পরিষ্কার করে না ধরলে কিন্তু সেটা থেকে আপনার বড় ক্ষতি হতে পারে।

যদি পেয়ারার পাতাটি ভালোভাবে ধুয়ে ফেলা হয়ে যায় তাহলে সে পাতাটিকে মুখে নিয়ে ভালোভাবে কিছুক্ষণ চিবাতে থাকুন উচিবানো হয়ে গেলে পাতাটিকে ফেলে মুখটি একবার ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। ধুয়ে ফেলার কিছুক্ষণ পরে আপনি আপনার মুখের দুর্গন্ধ আর পাবেন না।

বেকিং সোডাঃ

এদিকে হয়তো অনেকে চিনেন আবার অনেকে চিনেন না। চিনেন না অথবা যারা চিনেন কিন্তু এর উপকার কি তা জানেন না তারা উপকারটা জেনে নিন। আপনার বাসায় যদি বেকিং সোডা থাকে তাহলে আপনি এক চিমটি বেকিং সোডা নিন এবং সেটি ব্রাশ করার সময় অবশ্যই আপনার পেশির সাথে মিশ্রিত করে ব্রাশ করুন।

যদি আপনি এটা করেন তাহলে দেখতে পাবেন আপনার মুখের ভেতরে সকল ব্যক্তিরিয়া গুলো দূর হয়ে গেছে কারণ ব্যাকিং সোডা মুখের ভেতরে যে কোন জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম হয়ে ওঠে।

কম বেশি আমাদের ভেতরে অনেকের মুখে কিন্তু দুর্গন্ধ হয় কিন্তু আমরা সকলে কি জানি মুখে দুর্গন্ধ হওয়া কিসের লক্ষণ আমার জানা মতে প্রায় অধিকাংশ মানুষ জানে না যে মুখে দুর্গন্ধ হওয়া কিসের লক্ষণ। মুখে দুর্গন্ধ হলে সাধারণত ধরা যায় আপনার লিভারের কোন ধরনের সমস্যা রয়েছে যার ফলে আপনার মুখের মাধ্যমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

এছাড়াও আরো অনেক লক্ষণ রয়েছে যেগুলোরর কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়। দাঁতের গোড়ায় যদি কোন ধরনের খাবার রয়ে যায় তাহলে কিন্তু মুখ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায় আবার যদি আপনার দাঁতের মাড়ির ভেতরে কোন কিছু থাকে অথবা মাড়ি নড়বড় করে তাহলে কিন্তু সাধারণত মুখে দুর্গন্ধ হয়ে থাকে এছাড়াও আরো অনেকগুলো সমস্যা রয়েছে যেগুলো কারণ হলে মুখে দুর্গন্ধ হয় অথবা মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার লক্ষণ এগুলো।

তাই আপনি যদি মুখের দুর্গন্ধ তা দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বেশি বেশি পানি দিয়ে মুখ ধৌত করতে হবে তারপর দেখা যায় মুখে দুর্গন্ধ কিছুটা থেকে যায় এই দুর্গন্ধ গুলো দূর করার জন্য আমি উপরে বেশ কয়েকটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় বলে দিয়েছে আশা করি সেগুলো আপনি উপরের দিকে বুঝতে পেরেছেন আর যদি ওপরের পোস্ট না পড়ে থাকেন তাহলে এখনি পড়ুন।

ওই পোস্টটা যদি পড়ে থাকেন এবং ওর ভিতরে যে নিয়মগুলো আমি বলেছি সেগুলো যদি মেনে চলেন তাহলে আশা করি আমার জানামতে আপনার মুখে কোন প্রকারের দুর্গন্ধ হওয়ার কথা না তারপরও যদি আপনার মুখে কোন প্রকার না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন কারণ পরবর্তীতে এটি ভয়ঙ্কর কোন রোগের লক্ষণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আশা করি আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।

আপনি নিশ্চয়ই আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে শেষ করেছেন এবং আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন মুখের দুর্গন্ধ কিভাবে দূর করতে হবে অথবা আরও যে সকল বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে সে সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এরকম নতুন নতুন তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট করতে পারেন।

আমাদের এই লেখাগুলোর মাধ্যমে যদি আপনি উপকারিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই লেখাগুলো আপনার বন্ধুর কাছে শেয়ার করে তাকে জানানোর সুযোগ করে দিবেন। আমাদের আর্টিকেলটি এত দীর্ঘ সময় ধরে মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।