মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো
প্রিয় পাঠক মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক কোন গুলো এ বিষয়ে হয়তো আপনি অনেক
জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু কোথাও কোন বিস্তারিত তথ্য জানতে পারছেন না
তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
আমরা শুধুমাত্র একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করিনি আরো বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা
করেছি এর মধ্যে একটি হলো রাত জেগে মোবাইল চালালে কি হয় এই বিষয়ে। তাছাড়া আরও
বেশ কিছু তথ্য নিয়ে আলোচনা করেছে অবশ্যই আপনি সব বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে
পারবেন।
পোস্ট সূচীপত্র : এই পোস্টের যে অংশ থেকে পড়তে চান, সেই অংশে ক্লিক করুন
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেলটির ভিতর আপনি শুধু একটি টপিক নিয়ে আলোচনা পাবেন না বেশ কয়েকটি
টপিক নিয়ে আলোচনা পাবেন। মোবাইল ফোন সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্যই আমাদের
আর্টিকেলটির ভেতরে লেখা আছে আপনি যদি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন
তাহলে সেটি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরে যাবেন।
দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোনের ব্যবহার
বর্তমান সময়ে মোবাইল নিয়ে এমন মানুষ খুবই কম। এখন ছোট থেকে বড় সকলে স্মার্টফোন
ব্যবহার করছে কারণ স্মার্টফোনের সুবিধা অনেক। আগে আমরা যেকোনো খবর বা নাটক সকল
কিছুই টিভির মাধ্যমে দেখতে পেতাম আর এখন সেটা আমরা মোবাইলের মাধ্যমে দেখতে
পাচ্ছি। আমরা কোন স্থানের আবহাওয়া সম্পর্কে জানতে পাচ্ছি।
আবার বর্তমান সময়ে দেখা যায় মোবাইলের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায় মানে এক
কথায় বলতে পারেন মোবাইল এসে অনেক সুবিধা হয়েছে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে আমরা
আমাদের সময়কে খুব দ্রুত কাটিয়ে দিতে পারছি। দেখেন আপনি যখন স্মার্ট ফোন ব্যবহার
করেন তখন কিভাবে আপনার সময় চলে যায় সেটা আপনি বুঝতেও পারেন না।
মোবাইলের মাধ্যমে আপনি গেম খেলতে পারছেন এবং গেম খেলার মাধ্যমে আপনার সময়কে খুব
সহজে কাটিয়ে দিতেন। আগে অনেক সময় দেখা যেত একা সময় কাটতো না কিন্তু এখন মোবাইল
ফোন আসার কারণে আমরা খুব সহজে সময় কাটিয়ে দিতে পারছি। আগে আমরা একটি ছবি তুলতে
গেলে কম্পিউটারের দোকানে যেতে হতো।
আর এখন যদি আপনি একটা ছবি তুলতে চান তাহলে আপনি আপনার হাতে থাকা ফোন দ্বারা এখন
ছবি তুলতে পারছেন। বিভিন্ন ধরনের ছবি বা বিনোদনের আড্ডা সবকিছুই এখন ফোনের
মাধ্যমে হয়ে যাচ্ছে। দৈনন্দিন জীবনে ফোনের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং এর
সুবিধা অনেক।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো
স্মার্ট ফোন এসে সকল মানুষের বিভিন্ন রকম সুবিধা হয়েছে মানুষ তার প্রয়োজনীয়
সকল কাজ চাইলে ফোন দ্বারা করতে পারছে। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা স্মার্টফোন
অতিরিক্ত সময় ধরে ব্যবহার করে তাদের ক্ষেত্রে স্মার্টফোন একটি ক্ষতিকর দ্রব্য।
যদি স্মার্টফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করেন তাহলে আপনার বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হতে
হবে।
- আপনি যদি অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করেন তাহলে আপনার অনেক সময় মনে হবে একাকীত্ব ভাব। নিজেকে অনেক একা মনে হবে যদি আপনি অতিরিক্ত সময় ধরে ফোন ব্যবহার করেন।
- মাথা ব্যথা হতে পারে কারণ আপনি বেশিক্ষণ ধরে স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলে তার মাধ্যমে আপনার মাথার ভিতরে একটি ক্ষতিকর দিক প্রবাহিত হয়।
- ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে অনেক সময় দেখা যায় আপনাদের ভেতর অনেকেই ঘুমানোর সময় ফোন চালিয়ে ঘুমায় যখন ঘুম থেকে উঠে তখন তাদের পুরোপুরি ঘুম পুজে না।
- চোখের ক্ষতি হতে পারে হয়তো আপনি অল্প বয়সে চক্ষু প্রতিবন্ধী হয়ে যেতে পারেন। কারণ অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার চোখের লেন্সকে নষ্ট করে দেয়।
- কানের সমস্যা হতে পারে কারণ যখন আমি স্মার্টফোন অতিরিক্ত সময় ধরে কোন গান বা কোন ভিডিও দেখেন তখন সেটির সাথে আপনার কানের সংযোগ থাকে।
- অনেক সময় দেখা যায় চোখ জ্বালাপোড়া করে চোখ জ্বালাপোড়া করতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে শরীরে ক্লান্তি বোধ হবে।
- এবং চিন্তাশক্তি কমে যেতে পারে, ইত্যাদি।
এরকম আরো বেশ কিছু সমস্যা আছে যেগুলো আপনার ভেতরে দেখা দিতে পারে তাই অবশ্যই
স্মার্টফোনের ব্যবহার একটু কমিয়ে দিন। প্রয়োজন ব্যতীত স্মার্টফোন বেশি ব্যবহার
করা উচিত নয় এটি আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষতি করে দিতে পারে। অবশ্যই সুস্থ
থাকতে দেহের যত্ন নিয়ে এবং সতর্ক হোন।
রাত জেগে মোবাইল চালালে কি হয়
এখন করার সময়ে অনেক মানুষ রাত জেগে মোবাইল ব্যবহার করে যেমন ধরেন মেসেঞ্জারে
কারো সাথে টিক্সে কথা বলা বা হোয়াটসঅ্যাপে কার সাথে কথা বলা আবার এমন অনেকে আছে
যারা রাত জেগে নাটক বা সিনেমা দেখে। রাত জেগে ফোন টেপা একদমই উচিত নয় আপনি চাইলে
দিনে ফোনের ব্যবহার করতে পারেন তবে একটি নির্দিষ্ট পরিমানে।
আপনার ভালো লাগতে পারে এরকম কিছু পোস্ট ঃ
আপনাদের ভেতরে অনেকে আছে যারা রাতে ফোন ব্যবহার করে এবং দিনে দেরি করে ঘুম থেকে
উঠে এদের ভবিষ্যতে অনেক ক্ষতি হতে পারে। কারণ আপনি যখন রাত জেগে ফোন ব্যবহার করেন
তখন আপনি সকালে উঠে দেখতে পারেন আপনার চোখ জ্বালাপোড়া করবে এরকম চোখ জ্বালাপোড়া
করতে করতে হয়তো আপনি একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারেন।
আর রাত জেগে অতিরিক্ত পরিমাণে কেউ যদি ফোন ব্যবহার করে তাহলে তার ভেতরে সুইসাইড
করার প্রবণতা ধীরে ধীরে বেড়ে যায়। রাতে আপনার যে পরিমাণ ঘুমের প্রয়োজন ছিল সেই
পরিমাণমহলের কি ঘটে যায় এর ফলে আপনার শারীরিক শক্তি কমে যেতে পারে এবং আপনার
মানসিক শক্তিও কমে যেতে পারে।
ফোন চালানো বন্ধ করুন এবং যদি পারেন তাহলে অতিরিক্ত ঘড়ি মানে ফোন ব্যবহার করবেন
না যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু সময় ফোন ব্যবহার করুন। সুস্থ থাকতে দেহের মূল্য দিতে
শিখুন কারণ অসুস্থ হয়ে গেলে পরে আর সুস্থতা তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় না।
দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত
আপনি নিশ্চয়ই ফোন ব্যবহার করেন কিন্তু এটা জানেন না যে দিনে কি পরিমাণে ফোন
ব্যবহার করা উচিত। অনেকেই দেখা যায় দিনে ২৪ ঘন্টার ভেতরে ১৮ ঘণ্টায় ফোন ব্যবহার
করে আবার অনেকে আছে কিছু কম সময় কোন ব্যবহার করে কিন্তু সঠিক তথ্য বেশির ভাগ
মানুষ জানে না একদিনে ফোন সর্বোচ্চ কতক্ষন ব্যবহার করা উচিত।
মনে হয় তো এখন ভাবনা আসতে পারে যে আসলে আমিও তো অনেকদিন যাবত ফোন ব্যবহার করি
কিন্তু আমি নিজেও জানিনা আমার স্মার্টফোন দিয়ে কত ঘন্টা ব্যবহার করা হচ্ছে।
তাহলে চলুন আর দেরি না করে জানিয়ে দিন আপনার দিনে সর্বোচ্চ কত ঘন্টা ফোন ব্যবহার
করা উচিত। আপনি দিনে সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারেন।
এর বেশি সময় ধরে যদি স্মার্টফোন ব্যবহার করেন তাহলে আপনার বিভিন্ন সমস্যা দেখা
দিবে দেহের বিভিন্ন অংশের ক্ষতি হতে পারে। তাই যারা অতিরিক্ত সময় ধরে ফোন
ব্যবহার করতেন চেষ্টা করবেন দিনে সর্বোচ্চ .৩ থেকে ৪ ঘন্টা ফোন ব্যবহার করা। আশা
করি বুঝতে পেরেছেন তাহলে চলুন পরের টপিকে যাওয়া যাক।
মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার
সবার কাছে একটি করে মোবাইল ফোন আছে কিন্তু অনেকেই এর সঠিক ব্যবহার জানে না। আজকে
আপনাকে আমরা জানিয়ে দেবো আপনি একটি স্মার্টফোনে কিভাবে সঠিক ব্যবহার করতে পারেন।
তাহলে চলুন দেরি না করে মেইন পয়েন্টে যাওয়া যাক। আপনার কাছে যদি স্মার্ট ফোন
থাকে তাহলে অবশ্যই সেটি শিশুদের কাছ থেকে দূরে রাখুন।
বিনা কারণে স্মার্টফোনের ওয়াইফাই এবং ডাটা চালু করে রাখবেন না। ফোনের সাথে দীর্ঘ
আলাপ করা থেকে বিরত থাকুন। আপনি যদি গাড়ি চালান এবং যানবাহন অবস্থায় থাকেন
তাহলে অবশ্যই ফোন ধরবেন না কারণ এতে করে আপনার অ্যাক্সিডেন্ট হতে পারে। মোবাইল
ফোন কোন সময় মাথা পাশে রাখবেন না কারণ এতে করে আপনার মাথার সমস্যা হতে পারে।
বিনা প্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় ধরে ফোন চালানো থেকে বিরত থাকুন। এরকম আরো বেশ কিছু
নিয়মকানুন আছে এই সবগুলো নিয়ম-কানুন যদি আপনি মেনে মোবাইল ব্যবহার করেন তাহলে
আশা করি আপনাকে কোন বড় বিপদে পড়তে হবে না। তাই সব সময় নিয়ম গুলো মিলে ফোন
ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ করেছেন। আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে
অবশ্যই বুঝে গেছেন অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে কি ক্ষতিগুলো হতে পারে এবং আরো
বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে। অবশ্যই মোবাইল ফোনের ব্যবহার একটু কমিয়ে দিন এবং আমাদের
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যদি আপনি উপকারিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের এই
আর্টিকেলটির লিংক আপনার বন্ধুর কাছে শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url