বাচ্চাদের কানে ব্যথা হলে করণীয়


আপনাদের বাচ্চাদের কিন্তু অনেক সময় কানে ব্যথা করে এবং আপনারা বুঝতে পারেন না যে এই কানে ব্যথা হলে আপনারা কি করবেন আর আপনাদের এই সমস্যা দূর করার জন্য আমার আজকের এই আর্টিকেলটি। যদি আপনি এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
বাচ্চাদের কানে ব্যথা হলে করণীয়
আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন বাচ্চাদের কানে ব্যথা হলে কোন কাজগুলো করতে হবে এবং কানের ব্যথা হলে কোন ড্রপগুলো ব্যবহার করবেন এছাড়াও রয়েছে বাচ্চাদের কানে ব্যথা কেন হয় এরকম আরো বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন তাই আর দেরি না করে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ এই পোস্টের যে অংশ থেকে পড়তে চান, সেই অংশে ক্লিক করুন

বাচ্চাদের কানে ব্যথা কেন হয়

কানের ব্যথা অনেক খারাপ একটি রোগ এবং কান্নুর ব্যথা কিন্তু অনেক কারণে হয়ে থাকে তার মধ্যে কিছু বিশেষ কারণ বলব যেগুলোর কারণে সবচেয়ে বেশি শিশুদের কানের ব্যথা হয়ে থাকে আর সেগুলো সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই টপ একটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। নিচে কানের ব্যথা হওয়ার অনেকগুলো কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

১। যদি আপনার শিশুর সর্দি কাশি এবং জল লেগে থাকে তাহলে এর কারণে কিন্তু অনেক সময় কানে ব্যথা করতে পারে তাই যদি সর্দি কাশি হয়ে থাকে তাহলে এই রোগের দ্রুত চিকিৎসা করাবেন না হলে পরবর্তীতে আপনার শিশুর কানে ব্যথা হতে পারে। সর্দি-কাশি ও জ্বর কানে ব্যথার একটি লক্ষণ।

২। আপনার শিশুর কানে যদি কোন ধরনের ফোট অথবা ঘা হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু সেখান থেকে কানে ব্যথা হয় এবং এটি অনেক বড় পর্যায়ে চলে যায় দেখা যায় কাল থেকে রক্ত পানি এবং বুঝ বের হয়। যদি আপনার শিশুর কানে কিছু হয় তাহলে বুঝবেন এখান থেকে কানে ব্যথা হবে তাই এর দ্রুত চিকিৎসা করা হবে।

৩। আপনার শিশু যদি টনসিল থেকে থাকে এবং টনসিল থেকে যদি ইনফেকশন হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু এই ইনফেকশনের প্রভাব কানে গিয়ে পড়তে পারে এবং কান ব্যথা হতে পারে।

৪। আপনার শিশুর দাঁতে ব্যথা থাকলে সেই দাঁতে ব্যথা থেকে কিন্তু ব্যথাটি কানে চলে যেতে পারে এবং কানে অনেক ব্যথা করতে পারে আর বুঝতেই পারবেন কানে অনেক ব্যথা করলে আপনার শিশু কান্না করবে অনেক।

৫। আপনি যদি আপনার শিশুর কানে কোনভাবে আঘাত দিয়ে থাকেন যেমন ধরেন আপনার শিশুর কানে যদি আপনি কটমবার অথবা কাঠি দিয়ে আঘাত করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার শিশুর কানে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে এবং কানে ব্যথা হতে পারে।

সাধারণত এই কারণগুলোর জন্য কিন্তু আপনার শিশুর কানে অনেক সময় ব্যথা হয় এবং কান্না করে তাই আপনার শিশু কে যদি সুস্থ রাখতে চান এবং কানে ব্যথা না হয় এটি চান তাহলে এই কাজগুলো করার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যদি আপনি সতর্ক থাকেন তাহলে পরবর্তী থেকে আপনার শিশু কান ব্যথা করবে না আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন।

বাচ্চাদের কানে ব্যথার ওষুধ

আপনার বাসায় যদি একটি ছোট্ট শিশু থেকে থাকে তাহলে সেই শিশুর জন্য কোনগুলি ভালো এবং কোন বিপদ হলে আপনি কিভাবে তার সম্মুখীন করবেন এগুলো সম্পর্কে কিন্তু সচেতন হয়ে থাকা উচিত। শিশুদের ক্ষেত্রে কিন্তু অনেক সময় কানে ব্যথা হয় এবং তারা কান্না করতে থাকে তাই এটি দূর করার ওষুধ গুলো সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে। আর সেই ওষুধগুলো সম্পর্কে আজকে আমরা জানব তাহলে চলুন সে ওষুধ গুলোর নাম জানা যাযক।

* Voltalin-sr 50/100mg: এই ওষুধগুলো একেক সময় একেক ধরনের দাম হয়ে থাকে তাই এটার দাম আমি নিশ্চয়ই এভাবে বলতে পারছি না কিন্তু কম দামের ভিতরে দোকানে গেলে পেয়ে যাবেন এবং কম দামের ভেতরে অনেক ভালো একটি ওষুধ এটি বাচ্চাদের কানে ব্যবহার করলে খুবই সহজে কানের ব্যথা দূর হয়ে যাবে।

* Clofenac 50/100mg: উপরে যেমন দেখলেন সেমনি এটা এটাও অনেক দারুন একটি ওষুধ কান পরিষ্কার এবং কানের ব্যথা দূর করার জন্য ছোট থেকে বড় সকলে ওষুধটি ব্যবহার করতে। এই ওষুধটি ব্যবহার করলে ভালো একটি ফলাফল পাবেন বলে আশা করা যায়।

* A-fenac-sr 50/100mg: ছোট থেকে বড় সকলের জন্যই এই ওষুধটি তৈরি করা হয়েছে এটি প্রত্যেকটি বয়সের মানুষেরাই খেতে পারবেন এবং এতে করে খুবই সহজে কানের ব্যথা অথবা কান পরিষ্কার হয়ে যাবে সে ক্ষেত্রে আপনারা কিন্তু ব্যবহার করতে পারেন শিশুদের ক্ষেত্রে।

এই টপিকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে তিনটি ওষুধের নাম বললাম এই তিনটি ওষুধ এর ভেতরে যে কোন একটি খেলে আপনার মাথা ব্যথা সেরে যাবে বলে আশা করা যায় এবং আপনার শিশু যদি মাথাব্যথা থেকে থাকে তাহলে সেটাও ছেড়ে যাবে কিন্তু আপনি ওষুধ না খাইয়ে ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন এতে আরো ভালো হবে।

তবে একটা কথা বলে দেই এখান থেকে আপনি যে ওষুধটি ব্যবহার করেন আপনার সবার প্রথমে কাজ হবে ডাক্তারের কাছে যাওয়া এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া এবং ডাক্তার যে ওষুধটি আপনার শিশুকে খেতে বলবে যেটি তার জন্য খাওয়া ভালো হবে সেটি খাওয়াবেন তাহলে সে দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে এবং কানের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। আশা করি উত্তরটা পেয়েছেন।

বাচ্চাদের কানে ব্যথা হলে করণীয়

অনেক সময় কিন্তু আপনি বাচ্চাদের কানে ব্যথা নিয়ে অনেক চিন্তাতে থাকেন কারণ একটি অনেক মারাত্মক একটি রোগ কানে ব্যথা সাধারণ কোনো রোগ নয় এটা থেকে কিন্তু মাথা অন্য কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে। আপনি হয়তো এই বিষয়ে অনেক চিন্তিত থাকেন যে আপনার বাচ্চার মাথা ব্যথা হয়েছে এখন আপনি করবেন টা কি।

কোন উপায় গুলো অবলম্বন করলে আপনার বাচ্চার কানে ব্যথা দূর হয়ে যাবে এবং খুবই সহজে সে আরাম পেয়ে যাবে এই প্রশ্নটা শুধু আপনি না অনেক মায়ের কাছ থেকে পাওয়া যায় আর এটার উত্তর দিব আজকে এই উত্তর জানতে চাইলে আমাদের আর্টিকেলটা লক্ষ্য করতে থাকুন অবশ্যই জানতে পেরে যাবেন।

তার আগে অবশ্যই আপনাকে এটা জানতে হবে যে কানে ব্যথা হলে এটা আপনি কিভাবে বুঝবেন এবং কানে ব্যথার আগে আপনার কোন লক্ষণ গুলি দেখা দিতে পারে কানে এইগুলি জানতে হবে দেখুন একটি শিশু যখন কানে ব্যথা হয় তখন কিন্তু তাদের কানে অনেক ধরনের অনুভব দেখা যায় এটা কিন্তু শুধু শিশুদের ক্ষেত্রে না বড়দের ক্ষেত্রেও হয় তাই সেগুলো সর্বপ্রথম জেনে নীন।
  • শিশু যদি খেতে না চায় তাহলে বুঝে নিবেন হয়তো বা তার কানে ব্যথা হয়েছে এজন্য আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
  • আপনার শিশুকে যদি দেখতে বারেবার কানে হাত দিছে এবং খান কস লাগছে তাহলে সে ক্ষেত্রে বুঝে নিবেন তার কানে কোন সমস্যা হয়েছে অর্থাৎ কানে ব্যথা হয়েছে।
  • আপনার শিশুর কান থেকে যদি পানি বের হয় তাহলে বুঝবেন তার কানে ব্যথা হয়েছে।
  • যদি দেখেন আপনার শিশু অনেক কান্না করছে এবং তার কান থেকে রক্ত অথবা বের হচ্ছে অতিরিক্ত পরিমাণে তাহলে সে ক্ষেত্রে বুঝে নিবেন তা কানে ব্যথা হয়েছে।
  • যদি দেখেন অল্পতেই আপনার শিশু অস্থির হয়ে যাচ্ছে এবং একটু পর পর কান্না করছে তাহলে সে ক্ষেত্রে বুঝে নিবেন তার হয়তো কানে ব্যথা হয়েছে।
  • যদি আপনার শিশু দেখেন যে রাত্রে হঠাৎ কান্না করছে যদি কিছুদিন ধরে এই লক্ষণটি দেখতে পান তাহলে সে ক্ষেত্রে বুঝে নিতে হবে তার কানে ব্যথা হয়েছে।
বড়দের ক্ষেত্রে যেগুলো দেখা যায় এবার চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাকঃ
  • যদি আপনার মাথা ব্যথা করে এবং দেখেন যে জ্বর আসছে তার সঙ্গে মাথাব্যথা এবং কান ব্যথা করছে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি বুঝে নিবেন আপনার কানের সমস্যা হয়েছে।
  • কানে যদি তীব্র জ্বালা অনুভব হয় অর্থাৎ সব সময় কান জ্বলছে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার কানে ব্যথা হয়েছে।
  • ওখান থেকে পানি অথবা রক্ত এবং পুরুষ যদি বের হয় তাহলে বুঝবেন আপনার কানে ব্যথা হয়েছে এবং দ্রুত চিকিৎসা করবেন।
এখানে আমি শিশুদের এবং বড়দের বোঝার কিছু লক্ষণ বলে দিলাম। দেখুন শিশুরা কিন্তু কথা বলতে পারে না তাই শিশুদের ক্ষেত্রে উপরের লক্ষণ গুলো দেখতে পেলে বুঝবেন তাদের কানে ব্যথা হয়েছে এবং যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন আর যদি বড়দের ক্ষেত্রে বলতে চান তাহলে বড়দের ক্ষেত্রে কিন্তু এই সব লক্ষণ গুলোই ঘটে।

একটা কথা মনে রাখবেন শিশুরা যেহেতু কথা বলতে পারেনা তাই বলে এটা ভাববেন না যে তাদের বড়দের এই লক্ষণগুলি দেখা যায় না তাদের এই সব লক্ষণ গুলি দেখা যায় কিন্তু যেহেতু তারা কথা বলতে পারে না তাই শিশুদের লক্ষণ গুলি দেখলে বুঝবেন যে শিশুদের কানে ব্যথা হয়েছে । বাচ্চাদের কানে ব্যথা হলে আসলে করণীয় থাকে সেই সম্পর্কে।

প্রথমত আপনার শিশুকে অথবা আপনার যদি কানে ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে কেউই কান সবসময় চুলকাবেন না এবং অতিরিক্ত সময় ধরে কানে চুলকানো যাবে না যদি আপনি কানে চুল কন তাহলে কিন্তু ব্যথাটি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং পরবর্তীতে এটি আরো বড় কোনো রোগে প্রভাবিত হবে তাই এটা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

কানের ভেতরে বাইরের কোন কিছু প্রবেশ করাবেন না যেমন ধরুন কটন বা অথবা কাঠি এছাড়া আরো যে সকল জিনিস দিয়ে আমরা কান পরিষ্কার করি এই জিনিসগুলো যদি বাচ্চাদের কানে ব্যথা হয় তাহলে ঢোকানো যাবে না এবং আপনার যদি কানে ব্যথা হয় সে ক্ষেত্রেও এ জিনিসগুলো কানে ব্যবহার করা যাবে না।

যদি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক কান্নাকাটি করছে কানে ব্যথার কারণে সে ক্ষেত্রে আপনি যেটা করতে পারেন একটি তেনা অথবা আপনার ওড়না আগুনে ভালোভাবে শেখে তার কানে শেখ দিতে পারেন তবে অবশ্যই দেখবেন যাতে সেই ওড়নাটি অতিরিক্ত গরম না হয়ে যায় কারণ অতিরিক্ত গরম করে যদি শেয়ার দেন তাহলে কিন্তু কান পুড়ে যেতে পারে।

বাচ্চাদের গোসল করানোর সময় অবশ্যই আপনাকে খেয়াল করতে হবে যেন তার কানে পানি না ঢুকে এবং যদি পারেন তাহলে বাচ্চাকে সব সময় খাবার খেতে দিন এবং ঢোক গিলতে দিন কারণ ঢোক গিললে সে বাতাসটি কান দিয়ে অনেক সময় বের হয় যার সে ক্ষেত্রে কিন্তু বাচ্চাদের কানের ব্যথা দ্রুত সেরে যেতে পারে।

যদি এগুলো অবলম্বন করার পরেও দেখেন বাচ্চার কানে ব্যথা ঠিক হচ্ছে না এবং এটি আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব পারেন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান কারণ যদি আপনি এ সময় ডাক্তারের কাছে নিয়ে না যান তাহলে কিন্তু বড় কোন অসুখ হয়ে যেতে পারে তাই বড় কোন ক্ষতি করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে শিশুকে নিয়ে যাবেন।

কানের ব্যাথার ড্রপের নাম

কানে ব্যথা দূর করা এবং কান পরিষ্কার করার অনেক ধরনের ড্রপ রয়েছে তার ভেতর কয়েকটি ড্রপ রয়েছে যেগুলো ভালো এবং যেগুলো ব্যবহার করলে অনেক দ্রুত আপনার বাচ্চার কানে ব্যথা দূর হয়ে যাবে বলে আশা করা যায় আর সেই টপগুলো সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে আমি বলে দেবো। তাহলে চলুন সেটাপ গুলো সম্পর্কে জানা যাযক।

সিপ্রোজিড-ডিএক্স (Ciprozid-DX): এই ড্রপটি কান পরিষ্কার করার জন্য একটি ভালো ড্রপ হবে আপনার জন্য এ ড্রপটি চাইলে আপনি নিতে পারেন আপনার আশেপাশের দোকান থেকে এই ড্রপটির দাম মাত্র ৭৫ টাকা কিন্তু এমনি গ্রাম গঞ্জের দোকানপাশারে দেখা যাবে একটু বেশি টাকা নিতে পারে সেহেতু আপনি চাইলে নিতে পারেন এই রাতটা অনেক ভালো এবং অনেক দ্রুত কানের ব্যথা অথবা কান পরিষ্কার করতে কাজে আসে।

জেন্টাব্যাক এইচসি (Gentabac HC): এটি কানের ব্যথা দূর করার জন্য অনেক ভালো একটি ড্রপ শিশু এবং বড় সকলেই ব্যবহার করতে পারেন সম্ভবত ৫১ টাকা করে দাম আপনার আশেপাশের দোকানে হয়তো ৫৫ টাকা নিতে পারে অথবা তার মনে নিতে পারে বেশিও নিতে পারে সেটা বলা যাচ্ছে না সঠিক তবে এটা ব্যবহার করতে পারেন এটা ভালো অনেক।

আমি যে দুটি ড্রপের নাম বললাম এ ড্রপগুলো যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে খুবই সহজে আপনার অথবা আপনার শিশুর কানের ব্যথা দূর হয়ে যাবে তবে হ্যাঁ এই ড্রপগুলো ব্যবহার করা কিন্তু কিছু নিয়ম রয়েছে যেমন এ ড্রপগুলো আপনি দিনে সর্বোচ্চ তিনবার ব্যবহার করবেন এবং একবারে দুই থেকে তিন ফোটা ব্যবহার করবে তাহলে ভালো হবে এবং অনেক দ্রুত কানের ব্যথা সেরে যাবে আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন।

বাচ্চাদের কানের ময়লা পরিষ্কার করার সহজ উপায়

আপনার যদি শিশু বাচ্চা থাকে এবং তার যদি আপনি কানের ভেতরে থাকা সকল ময়লা গুলি খুবই সহজে দূর করতে চান তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই এখন আমি আপনাকে এই সকল সম্পর্কে জানাবো। আমি এরকম বেশ কয়েকটি আপনাকে উপায় বলবো যেগুলো অবলম্বন করে আপনি খুবই সহজে আপনার বাচ্চার কানের ময়লা পরিষ্কার করতে পারবেন তাহলে চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।

* শিশুর কানে সকল মহিলা দূর করতে কিন্তু একটি এয়ার ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন যে অ্যাড ডকটি ব্যবহার করলে খুবই সহজে ছোট থেকে বড় সকলের কানের ভেতরে থাকা সকল ময়লাগুলি দূর হয়ে যায় সেই আর ডক্তর নাম হচ্ছে সিপ্রোজিড-ডিএক্স (Ciprozid-DX) এটি আপনারা আপনার আশেপাশের দোকানে পেয়ে যাবেন এটার দাম মাত্র ৭৫ টাকা এবং এটি খুব সহজে কানের ময়লা দূর করতে সাহায্য করে।

* কুটুম্বার, এটা হয়তো আপনারা সকলেই চিনেন এটা অনেক ভালো একটি জিনিস এটা দুই পাশে নরম তুলা লাগানো থাকে এই তুলুগুলোকে ভিজিয়ে শিশুদের কানের ভিতরে নরম ভাবে ঢুকিয়ে শিশুদের কান খুবই সহজে পরিষ্কার করতে পারেন তবে অবশ্যই পরিষ্কার করার সময় খেয়াল রাখবেন যাতে শিশুর কোন ধরনের আঘাত না পাই।

* শিশুদের কান পরিষ্কার করতে লবণ জল ব্যবহার করতে পারেন। সম্ভবত ডাক্তাররা বলে থাকে লবণ জল ব্যবহার করলে কানের ময়লা দূর হয়।

* ছোট থেকে বড় সকলের এখানে ময়লা দূর করার একটি অসাধারণ উপায় হচ্ছে গীরসালিন এর ব্যবহার এটি ব্যবহার করলে খুবই সহজে আপনার কানের ভেতরে থাকা সকল ময়লা গুলি বের হয়ে চলে আসবে এবং এতে করে আপনার কানের কোন ধরনের ক্ষতি হবে না তাই আপনি চাইলে গিরিশালীন ব্যবহার করতে পারেন এবং খুবই সহজে কানের ময়লা দূর করতে পারেন।

* আপনার শিশুর কানের ময়লা দূর করতে কিন্তু আপনি বেবি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন এতে করে খুবই সহজে আপনার শিশুর কানের ভেতরে থাকা সকল ময়লা গুলি দূর হয়ে যাবে। এর জন্য আপনাকে সর্ব প্রথমে একটু বেবি অয়েল তেল শিশুর কানের ভেতরে দিতে হবে এবং কানের বাইরে তুলো দিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষণ পর দেখতে পাবেন সেই তুলোর সাথে শিশুর কানের ময়লাগুলো বের হয়ে চলে আসছে।

শিশুদের যদি কানের ময়লা পরিষ্কার করতে চান তাহলে এর চাইতে সহজ কোনো উপায় হবে না এগুলোই সবচেয়ে সহজ উপায় শিশুর কানের ময়লা দূর করার তাই আপনার শিশু যদি কানের ভেতরে অতিরিক্ত ময়লা জমা হয়ে থাকে তাহলে এই উপায় গুলো ব্যবহার করবেন তাহলে খুবই সহজে আপনার শিশুর কান পরিষ্কার করতে পারবেন এবং কোন ক্ষতি হবে না বলে আশা করা যায়।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে শেষ করেছেন আর যদি না পড়ে থাকেন তাহলে কিন্তু কিছু বুঝতে পারবেন না তাই দয়া করে ভালোভাবে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন। আর আপনি যদি পড়ে নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে বাচ্চাদের কানের ব্যথা হলে করণীয় কি।

আরো বুঝতে পেরেছেন বাচ্চাদের কানের ড্রপের নাম কি এছাড়াও আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে তাই আপনি যদি আমাদের এই লেখাগুলির মাধ্যমে উপকারিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন এই লেখাগুলো আপনার আত্মীয় স্বজন অথবা বন্ধু-বান্ধবের কাছে শেয়ার করে তাদেরকে জানানোর সুযোগ করে দেবার।

এরকম নতুন নতুন তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আজকে এ পর্যন্তই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এত দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে শেষ করার জন্য আপনাকে আমাদের দিক থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url