শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক শসার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য হয়তো আপনি অনেক
জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু কোথাও বিস্তারিত তথ্য জানতে পারছেন না তাহলে
আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন আপনার জন্য।
আপনি যদি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে করেন
তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে তার সাথে
আরো বুঝতে পারবেন শসা খাওয়ার নিয়ম এবং শসা খাওয়ার সঠিক সময় এছাড়াও আরো অনেক
এরকম বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তাই যদি আপনি এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
পোস্ট সূচীপত্র : এই পোস্টের যে অংশ থেকে পড়তে চান, সেই অংশে ক্লিক করুন
শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় বন্ধুরা সকলে কিন্তু শসা খেতে অনেক ভালবাসেন বিশেষ করে গরমের সময় কিন্তু
শসা খেতে অনেক মজা লাগে কারণ শসা খেলে কলিজা ঠান্ডা হয়ে যায় এবং অনেক মজা
পাওয়া যায়। শসার ভিতরে রয়েছে বিশেষ বিশেষ উপকারী গুণ যেগুলো সম্পর্কে আপনার
এখনো অজানা এবং আরো রয়েছে অনেক অপকারিতা যেগুলো আপনি জানেন না।
কোন জিনিস খেলে অবশ্যই সর্বপ্রথম এসে জিনিসটি সম্পর্কে জানতে হবে এটা খেলে কি
আমার ক্ষতি হচ্ছে নাকি উপকারে আসছে এ বিষয়টা অবশ্যই কোন জিনিস খাওয়ার আগে
বাসায় করে খেতে হবে তাহলে কিন্তু আপনি সবসময় সুস্থ থাকতে পারবেন। আর আজকে
আপনাকে জানাবো যে আপনি শসা খেলে কি উপকারিতা গুলো পাবেন।
আরো জানাবো শসা খেলে কি উপকারিতা গুলো হবে অর্থাৎ কি ক্ষতিগুলো হতে পারে সেই সকল
সম্পর্কে বিস্তারিত আর এই বিস্তারিত আলোচনা শুনতে যদি আপনি ইচ্ছুক হয়ে থাকেন
তাহলে মনোযোগ সহকারে লেখাগুলো পড়তে থাকুন নিচে শসা খাওয়ার উপকারিতা এবং
অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
শসা খাওয়ার সকল উপকারিতা সমূহঃ
পানি শূন্যতা দূর করেঃ আপনি যদি নিয়মিত খাবারের তালিকায় সোজা রাখেন
তাহলে কিন্তু এটি আপনার শরীরের পানির চাহিদা এবং পানির ঘাট থেকে সম্পূর্ণভাবে
পূরণ করে দেয় যার কারণে শরীরে একটি আলাদা শক্তি অনুভব করতে পারে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে কেউ যদি নিয়মিত খাবারের
রুটিনে শসা রাখে তাহলে সেই ক্ষেত্রে তারা হজম শক্তি নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং কোন
খাবার গ্রহণ করলে সেটি দ্রুত হজম হয়ে যাবে। তার কোন খাবার হজম করতে কোন ধরনের
কষ্ট হবে না।
মল ক্লিয়ার করতেঃ অনেক সময় দেখা যায় কিন্তু আমাদের মল ক্লিয়ার হয় না
এবং অনেক কষ্ট হয় সে ক্ষেত্রে যদি কেউ শসা খায় তাহলে কিন্তু তার শরীরের ভেতরে
থাকা সকল জীবাণু এবং বিষাক্ত কীটনাশক পদার্থ গুলি মলত্যাগের মাধ্যমে বের হয়ে চলে
যায় এবং শরীরকে সুস্থ এবং শতেজ করে রাখে।
কোলেস্টরের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ শসার আরো একটি বিশেষ গুণ যেটি হচ্ছে
কেউ যদি নিয়মিত শসা খায় তাহলে তার শরীরে একটি বাইরের দ্রব্য নিয় ফাইবার প্রবেশ
করে যেটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে এবং রক্ত সব
সময় পরিষ্কার করে রাখতে সাহায্য। তাই এটার উপকারিতা পেতে কিন্তু নিয়মিত শসা
খাবারের তালিকায় রাখা উচিত।
রক্ত নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ আমাদের ভেতরে দেখা যায় অনেকের রক্তচাপ অনেক বেশি
এবং রক্ত অনেক ধরনের ময়লা পদার্থ থেকে থাকে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক
ক্ষতিকর কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত শসা খেয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু এটি খুবই সহজে দূর
করা সম্ভব কারণ এটি আপনার রক্তের পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং শরীরের ক্ষতিকর
রোগ হওয়া থেকে বাধা দেয়।
আরো পড়ুনঃ খেজুর খাওয়ার ১০টি উপকারিতা
দাঁত সুস্থ রাখেঃ যাদের দাঁতের সমস্যা রয়েছে এবং দাঁতের বিভিন্ন ধরনের
রোগে ভুগছেন তারা চাইলে নিয়মিত শসা খেতে পারেন কারণ নিয়মিত শসা খেলে দাঁতের
ব্যথায় এবং মাড়ির সমস্যা থাকলে খুব সহজে এগুলো দূর হয়ে যায় এবং তার সব সময়
মজবুত হয়ে থাকে। দাঁত কে সব সময় পরিষ্কার করে রাখে এবং বাড়িতে কোন ধরনের
সমস্যা হলে সেটা পর্যন্ত দূর করতে সাহায্য করে। তাই মাড়ির ব্যথা এবং দাঁতের
ব্যথা দূর করতে আপনারা শসা ব্যবহার করতে পারেন শসার উপকারিতা অপরিসীম।
হাড় মজবুত রাখেঃ অনেকে দেখা যায় অনেক বয়স যার কারণে শরীরের হাড় অনেক
দুর্বল হয়ে যায় এবং চলাফেরা করতে অনেক কষ্ট হয় তাদের জন্য আমার পরামর্শ হবে
আপনারা নিয়মিত শসা খাবারের তালিকায় রাখুন তাহলে আপনাদের শরীরে হাড়ের শক্তি
আগের চাইতে অনেক বৃদ্ধি পাবে এবং সুস্থ থাকতে পারবেন।
এছাড়াও যারা ভালো মানুষ রয়েছেন অর্থাৎ সুস্থ মানুষ তারাও নিয়মিত সোশ্যাল গ্রহণ
করবেন এতে করে আপনাদের শরীরে কোন ধরনের রোগ প্রবাহিত হবে না এবং আপনাদের শরীরের
হার সবসময় মজবুত হয়ে থাকবে।
ওজন কমায়ঃ যারা অতিরিক্ত স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক চিন্তায় আছেন কোন সময়
নড়াচড়া করতে পারেন না স্বাস্থ্যের কারণে তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো একটি উপায়
হবে নিয়মিত খাবারে তালিকায় সুস্বাগ গ্রহণ করা কারণ শসা এমন একটি জিনিস যদি
আপনার শরীরের ওজনকে কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। আপনি যদি চান আপনার শরীরের
ওজন কমাতে এবং সব সময় সুস্থ থাকতে তাহলে আপনি খাবারের তালিকায় নিয়মিত শসা
রাখুন কারণ ওজন কমাতে শসার উপকারিতা অনেক।
কিডনি ভালো রাখেনঃ অনেকের কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা কিন্তু চাইলে কিডনির
সমস্যা দূর করতে নিয়মিত শসা খেতে পারেন আর যাদের কিডনি ভালো রয়েছে তারা চেষ্টা
করবেন নিয়মিত শসা খাওয়ার কারণ শসা কিন্তু সব সময় পাওয়া যায় না তাই যে সময়
পাবেন সে সময় গ্রহণ করবেন কারণ সোসাই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যেটি
আপনার কিডনি ভালো রাখে এবং কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে আটকায়। কিডনি ভালো রাখতে
শ্বশার উপকারিতা অনেক।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ যাদের অতিরিক্ত ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে এবং
এটির সমাধান করতে পারছেন না তাহলে আপনারা নিয়মিত শসা খান এতে করে আপনাদের একটু
হলেও ডায়াবেটিসের মাত্রা কমে যাবে এবং ভালো হয়ে যেতে পারে যদি আপনি নিয়মিত
ওষুধ গ্রহণ করেন এবং তার সাথে সাথে প্রতিদিন শসা খান।
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধিঃ যারা চোখের সমস্যায় ভুগছেন এবং দূরের কাছের জিনিস
দেখতে পান না তারা আপনাদের চোখের জ্যোতি এবং দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে নিয়মিত
শসা গ্রহণ করতে পারেন কারণ শসার রয়েছে বিশেষ গুণ যেটি আপনার চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি
করে দেয় এবং দৃষ্টিশক্তি সবসময় ভালো রাখে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ যে রোগ এর নাম শুনলে
সকলে ভয় পায় এই রোগ সহা থেকে আটকায় এবং এ রোগের প্রতিরোধ করে। তাই আপনি যদি
চান এই ক্ষতিকর রোগ থেকে বাঁচতে এবং এর ঝুঁকিতে না পড়তে তাহলে আপনি নিয়মিত
খাবারের তালিকায় আজকে থেকে শসা রাখুন। তাহলে আপনার ক্যান্সার কোনভাবেই হবে না
বলে আশা করা যায়।
ভিটামিন এর চাহিদা পূরণঃ শসার কিন্তু আরেকটি বিশেষ গুণ রয়েছে যেটি হলো
এটি আপনার খুব সহজে শরীরে ভিটামিনের চাহিদা গুলোকে পূরণ করে দেয় কারন শসা
সম্পূর্ণভাবে ভিটামিন সি তে পরিপূর্ণ একটি সবজি যেটা খেলে প্রত্যেকটি মানুষের
শরীরে ভিটামিনের চাহিদা খুব সহজে পূরণ হয়ে যাবে।
দেহের বিষাক্ত পদার্থ দূর করেঃ অনেকের দেহে অনেক বিষাক্ত এবং ভয়াবহ
পদার্থ জমে থাকে যেগুলো থেকে অনেক সমস্যায় ভুগতে হয় এই বিষাক্ত পদার্থ গুলোকে
দূর করতে কাজে আসে শসা। এরকম আরো অনেক ভাবে শসা আপনাদেরকে উপকার করে। তাই যারা
শসা পেয়েও সুস্বাগ গ্রহণ করেন না তারা একটি ভুল কাজ করছেন। আজকে থেকে শসা গ্রহণ
করা শুরু করে দিন।
শসা খাওয়ার সকল অপকারিতা সমূহঃ
শসা খাওয়ার যেমন রয়েছে উপকারী গুণ ঠিক তেমনি রয়েছে ক্ষতিকর আর এই ক্ষতিকর
কোনগুলো অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে যাতে আপনার কোন ধরনের
ক্ষতি না হয়। তাই এখনই জেনে নিন শসা খাওয়ার সকল ক্ষতিকর দিনগুলো সম্পর্কে নিচে
আমি বেশ কয়েকটি সোজা হওয়ার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আলোচনা করলাম।
কেউ যদি নিয়মিত খাবার না খেয়ে ক্ষুধা লাগলে শসা খেয়ে খাবারের চাহিদা পূরণ করছে
তাহলে কিন্তু তার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে দেখা যেতে পারে তার শরীরে
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিবে এবং পেট ব্যথা করবে আর পেট ব্যথা করলে কোন ভাবেই
কিন্তু কেউ শান্তিতে থাকতে পারে না আপনি যদি চান আপনার পেট ব্যথা না হয় তাহলে
অতিরিক্ত শসা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
কেউ যদি অতিরিক্ত সুশাগ গ্রহণ করে অর্থাৎ দিনে সব সময় যদি শসা খেয়ে থাকে তাহলে
কিন্তু সেই ক্ষেত্রে তার বমি বমি ভাব হতে পারে এবং বমি হতে পারে তাই যদি আপনি বমি
থেকে বাঁচতে চান তাহলে অতিরিক্ত শসা খাওয়া ত্যাগ করুন উনি একটি পর্যাপ্ত পরিমাণে
শসা গ্রহণ করুন যাতে করে আপনার উপকার হয় কোন ক্ষতি না হয়।
অতিরিক্ত সুস্বাগ গ্রহণ করলে দেখা যেতে পারে আপনার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে
এবং আপনি অনেক দুর্বল হয়ে যেতে পারেন আপনি কোন কাজকর্ম করতে পারবেন না তাই
অবশ্যই অতিরিক্ত সুসা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং একটি পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্রহণ
করতে হবে যাতে করে ক্ষতি না বড় উপকার হয় আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন।
শসা খাওয়ার নিয়ম
শসা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে বলে কিন্তু শসা সব সময় খাওয়া যাবেনা এর কিন্তু
কিছুই নিয়ম-কানুন রয়েছে যেগুলো মেনে খেতে হবে তাহলে হয়তো আপনি উপকার পাবেন আর
যদি নিয়ম কানুন মেনে নেওয়া খান তাহলে কিন্তু সেক্ষেত্রে উল্টোটা হতে পারে
অর্থাৎ দেখা যাবে আপনার ক্ষতি হয়ে যেতে পারে তাই আমরা যে নিয়মগুলি বলছি এই
নিয়মগুলি মেনে সোসা খাবেন। চলুন সেই নিয়ম গুলি মেনে নেওয়া যাক।
অনেকে কিন্তু শসা অনেক সময় খেয়ে থাকে আপনাকে ধরুন খালি পেটে খায় অথবা অনেকে
ভরা পেটে খায় কিন্তু আপনারা কি জানেন কোন সময় শসা খেলে উপকার এবং কোন সময় খেলে
ক্ষতি আমার মতে আপনারা অধিকাংশ মানুষ এটা জানেন না। আসলে শসা খালি পেটে খাওয়া
একদম উচিত নয় খালি পেটে খেলে ক্ষতি হয়।
আরো পড়ুনঃ গাজর খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়
শসা খাওয়া উচিত ভরা পেটে শসা খেলে এতে উপকার পাওয়া যায় এবং কেউ যদি খালি পেটে
শসা খায় তাহলে এতে কোন ধরনের উপকার পাওয়া যায় না। শসা আপনি দুপুরের খাবার পরে
গ্রহণ করতে পারেন এতে করে বেশি উপকার পাবেন কারণ দুপুরের খাওয়ার পরে শসা খেলে
এতে করে উপকার বেশি পাওয়া যায় এবং অনেক উপকারী হওয়া যায়।
শসা খাওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হচ্ছে এটি কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া
যাবে না কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শরীরে পুষ্টি শূন্যতা দেখা দিতে পারে তাই এটি
একটি পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্রহণ করবেন তাহলে শসা থেকে আপনি অনেক উপকার পাবেন। শসা
খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে সেই সোসাটিকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে।
শসা টিকে যেমন ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে ঠিক তেমনি আপনার হাত দুটোকেও
ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দ্বারা ধুয়ে নিতে হয় এবং যদি পারেন তাহলে শসা সম্পর্কে
সকল জ্ঞান অর্জন করে নিবেন তারপরে পোশাক গ্রহণ করবেন তাহলে এটি আপনার জন্য অনেক
ভালো হবে এবং অনেক উপকার হবে আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন।
শসা খাওয়ার সঠিক সময়
শসা কিন্তু অনেকে অনেক সময় গ্রহণ করে থাকে কিন্তু এটি কোন সময় খেলে উপকার এবং
কোন সময় খেলে ক্ষতিকারক এ বিষয় কিন্তু আপনাদের ভেতরে অধিকাংশ মানুষ জানে না আর
সেই সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে তারপরে গ্রহণ করতে হয়। আমাদের এই টপিকে
আপনি জেনে রাখুন শসা খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে।
শসা আপনারা ভুলেও রাতে খাবেন কারণ শসা রাত্রে খেলে এতে করে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে
পারে তাই অবশ্যই সারাদিন খাওয়া থেকে আপনাকে বিরত থাকতে হবে আর আরেকটা কথা খালি
পেটে কখনো শোসা গ্রহণ করবেন না এরপর আপনার শরীরের উপকার নয় বরং ক্ষতি হয় এবার
চলুন জানি শসা খাওয়ার সঠিক সময় আসলে কোনটি।
শসা থেকে যদি উপকারিতা পেতে চান তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত সময় হবে শসা সকালে
খাওয়া কারণ শশা সকালে খাবার পরে খেলে পেট ভরে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায় এবং
সারাদিন শরীর সুস্থ থাকে এবং শরীরের কাজ করার শক্তি প্রদান করে। আবার আপনি যদি
চান তাহলে কিন্তু আপনি দুপুরে খাওয়ার শেষেও খেতে পারেন।
দুপুরে খাওয়ার শেষে খান অথবা সকালে খাবার শেষে খান উপকার একটাই পাবেন তাই আপনি
চাইলে এই দুইটা সময় শসা গ্রহণ করতে পারেন এতে করে আপনি উপকারী হবেন এবং আপনার
শরীরের কোন ধরনের ক্ষতি হবে না তবে হ্যাঁ আরেকটা কথা আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি শসা
কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করবেন না।
শসা খেলে কি ওজন কমে
যারা শসার খেতেন এবং এই বিষয় নিয়ে অনেক চিন্তিত ছিলেন যে শসা খেলে কি ওজন কমে
নাকি বাড়ে তাদের জন্য অনেক খুশির সংবাদ সেটা হচ্ছে যে শসা খেলে অবশ্যই আপনার
শরীরের ওজন কমে এবং আপনার অতিরিক্ত ওজন থাকলে সেটি কমাতে আপনাকে সাহায্য করে।
আপনি কিন্তু চাইলেই শরীরের ওজন কমাতে শসা খেতে পারেন।
শরীরের ওজন কমাতে শসার উপকারিতা শুধু তাই না এটাতে শুধু আপনার ওজন কমাবে সেটাই না
তার সাথে সাথে এটি আপনার চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে এবং শরীরের বিষাক্ত সকল
পদার্থকে বের করে দেয় তাই আপনি চাইলে কিন্তু এই সকল উপকারিতা গুলো পেতে সসা
গ্রহণ করতে পারেন এবং আপনার অতিরিক্ত ওজন থাকলে সেটি কমাতে গ্রহণ করতে পারেন।
তবে হ্যাঁ শসা অবশ্যই একটি পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করবেন তাহলে আপনার এটি ওজন
কমাতে অনেক সাহায্য করবে যেমন ধরুন আপনি প্রতিদিন যদি ১ থেকে ২ টা শোষণ গ্রহণ
করেন তাহলে আপনি ২০ দিনের ভেতরে দেখবেন আপনার শরীরের ওজন আগের চাইতে অনেকটা কমে
গেছে কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত গ্রহণ করেন কিন্তু এই ফলাফলটি পাবেন না।
রাতে শসা খেলে কি হয়
রাতে শসা খেলে যে ক্ষতি সেটা না তবে আমার মতে রাত্রে শসা না খাওয়াটাই ভালো আপনি
সকালে অথবা বিকেলে খাবেন এক্ষেত্রে কিন্তু শসা আপনার অনেক উপকারে আসবে তবে রাত্রে
যদি শসা খান তাহলে আপনি তেমন একটা উপকারিতা পাবেন না আর যদিও উপকারী পান তাহলে
হয়তো বা আপনার রাত্রের ঘুমটা অনেক ভালো হবে।
তবে রাত্রে ঘুম ভালো হলেই তো হবেনা এটি অনেক দিক থেকে আপনার ক্ষতি করতে পারে তাই
অবশ্যই রাত্রে শসা যেন ভালো হবে না কারণ রাতের শসা খেলে হয়তো কয়েক দিক থেকে
আপনার উপকারে আসে কিন্তু তার অধিকাংশ দিক থেকে আপনার ক্ষতি করতে পারে তাই আমার
মতে রাত্রে শসা হওয়া উচিত নয়।
লেখকের শেষ বক্তব্য
আশা করি আপনি আমাদের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে শেষ করেছেন এবং এখন
নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে শসা খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি এবং শসা খাওয়ার উপকারিতা
গুলো কি সেই সকল সম্পর্কে তাছাড়া আরও যে সকল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম সে
সকল বিষয়ে বুঝতে পারছেন। আর যদি বুঝতে না পারেন তাহলে আর্টিকেলটা আবার মনোযোগ
সহকারে পড়ুন।
আমাদের এই লেখাগুলির মাধ্যমে আমি আপনি উপকারিত হয়ে থাকলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন এই
লেখাগুলা বন্ধুবান্ধব অথবা আত্মীয় স্বজনদের কাছে শেয়ার করে তাদেরকে জানানোর
সুযোগ করে দেওয়া আর এরকম নতুন নতুন তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট
করতে পারেন।
আজকে এ পর্যন্তই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের এই আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে করার জন্য আপনাকে আমাদের তরফ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর হ্যাঁ অবশ্যই
আমাদের সাথে থাকবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url