বিশ্বের ১০টি বিখ্যাত ব্যক্তির নাম ও তাদের বিখ্যাত হওয়ার কারণ
প্রিয় পাঠক বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তি এবং তাদের বিখ্যাত হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে
জানার আকাঙ্ক্ষা হয়তো আপনার ভিতরে আছে এবং তার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি
করছেন কিন্তু কোথাও কোনো বিস্তারিত তথ্য পাচ্ছেন না তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি
সম্পন্ন আপনার জন্য।
আমরা শুধু একটি বিষয়ে আলোচনা করব না এর ভেতরে আরো দুইটি টপিক নিয়ে আলোচনা করেছি
যেমন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী কে অথবা নিউটন কি কি আবিষ্কার করেছিলেন এরকম সকল
তথ্য আমাদের এই আর্টিকেলটির ভেতরে পেয়ে যাবেন। তথ্য গুলি জানার জন্য আমাদের এই
আর্টিকেলটা আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ এই পোস্টের যে অংশ থেকে পড়তে চান, সেই অংশে ক্লিক করুন
- বিশ্বের ১০টি বিখ্যাত ব্যক্তির নাম ও তাদের বিখ্যাত হওয়ার কারণ | ভূমিকা
- বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তির নাম ও তাদের বিখ্যাত হওয়ার কারণঃ ১-৫
- বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তির নাম ও তাদের বিখ্যাত হওয়ার কারণঃ ৬-১০
- পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী কে
- নিউটন এর পুরো নাম কি
- বিশ্বের শ্রেষ্ঠ একজন ব্যক্তি
- শেষ কথাঃ বিশ্বের ১০টি বিখ্যাত ব্যক্তির নাম ও তাদের বিখ্যাত হওয়ার কারণ
বিশ্বের ১০টি বিখ্যাত ব্যক্তির নাম ও তাদের বিখ্যাত হওয়ার কারণ | ভূমিকা
আপনাদের বিভিন্ন পরীক্ষায় অনেক ধরনের বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম আসতে পারে এবং
তাদের জন্ম সাল অথবা তারা বিখ্যাত হলো কিভাবে এরকম অনেক প্রশ্ন এসে তাকে এবং
আপনারা অনেকে তার যথাযথ উত্তর দিতে পারেন না কেননা আপনারা নিজেই জানেন না বিশ্বের
বিখ্যাত ব্যক্তি কোনগুলো সেই সম্পর্কে।
যদি কেউ আপনাকে জিজ্ঞেস করে যে বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তি কোনগুলো এবং আপনি যদি
উত্তর না জেনে থাকেন তাহলে নিজের কাছে অনেকটা খারাপ লাগে তাই আপনাকে আমি বেশ
কয়েকটি বিখ্যাত ব্যক্তির নাম বলে দেবো যাতে করে আপনি পরবর্তীতে লজ্জায় না পড়েন
এবং কেউ প্রশ্ন করলে তার সঠিক উত্তর দিতে পারেন।
আপনার মনে এখন হয়তো অনেক জানার আর ইচ্ছা জেগে উঠছে যে আসলেই তো আমি এরকম
প্রশ্নের সম্মুখীন হলে উত্তর দিতে পারি না তবে সে উত্তর গুলো কি? আপনার এই
উত্তরগুলো দেওয়ার জন্য আজকে আমাদের এই আর্টিকেল তাহলে চলুন আপনাকে আর ধৈর্য ধরতে
হবে না আর দেরি না করে আমরা মেড পয়েন্টে চলে যাই। নিচে বেশ কয়েকটি বিখ্যাত
ব্যক্তিদের নাম দিয়ে দেওয়া হলো।
বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তির নাম ও তাদের বিখ্যাত হওয়ার কারণঃ ১-৫
আলবার্ট আইনস্টাইন
ইনি ছিলেন একজন পদার্থবিজ্ঞানী এবং তিনি পদার্থ বিজ্ঞানী হিসেবে নোবেল পেয়েছিলেন
১৯২১ সালে। তিনি তৈরি করেছিলেন আলোক তড়িৎ ক্রিয়া সম্প্রতিক। তিনি তার জীবনের
অনেক জায়গায় সেরা বিজ্ঞানী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিলেন তিনি একজন ইহুদি ছিলেন
যার কারণে সে দেশ ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯৯৯ সালে তাকে
শ্রতাধীর সেরা ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
স্টিভ জবস
স্টিভ জবস এবং তার দুই বন্ধু মিলে ১৯৭৬ সালে একলা ফেব্রুয়ারি অ্যাপেল নামের
প্রতিষ্ঠান চালু করেছিলেন। বর্তমান সময়ে অ্যাপেল কিন্তু অনেক বৃহত্তর এবং
জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সকলের মাঝে। অ্যাপেল এর হাতে পার্সোনাল কম্পিউটারের নানান
পর্যায়ে গুলো বিকশিত হয়েছে বলা যায়।
উইলিয়াম হেনরি বিল গেটস
এনাকে হয়তো আপনারা সকলে চিনেন ইনি এক সময় বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ছিল।
আপনি কি জানেন বিল গেটস কত সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিল গেটস জন্মগ্রহণ করেছিলেন
১৯৯৫ সালে ২৮ শে অক্টোবর। তার বন্ধুদের হাতে প্রতিষ্ঠান মাইক্রো সফটওয়্যার
দায়িত্ব দিয়ে দেয়। বিল গেটস তৈরি করে থাকে উইন্ডোজ যেটি বর্তমান সময়ে অধিকাংশ
মানুষ কম্পিউটারে ব্যবহার করে উইন্ডোজের তাহলে বুঝতে পারছেন বিল গেটস কিসের জন্য
বিখ্যাত।
মার্ক জুকারবার্গ
আপনারা বর্তমান সময়ে সকলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন
কিন্তু অনেকে জানেন যে ফেসবুক কে তৈরি করেছেন এবং অনেকে জানেন না এ বিষয়ে। মার্ক
জুকারবার এবং তার চার বন্ধু মিলে ফেসবুক তৈরি করেছিলেন কিন্তু এই ফেসবুক তাদের
চার বন্ধু এবং মার্ক জুকারবার্গ সহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবদ্ধ ছিল
কিন্তু ধীরে ধীরে এটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমান সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে
উন্নতম সামুদ্রিক যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। বার জুকারবার্গ জন্মগ্রহণ করেন
১৯৮৪ সালে।
স্যার টিমোথি জন বার্নাস-লি
আপনারা হয়তো গুগলে অথবা কোন জায়গায় কোন সফটওয়্যার এর লিংক সার্চ দিলে দেখতে
পাবেন www এবং http যুক্ত হয় এটিকে তৈরি করেছিলেন স্যার টিমোথি জন বার্নাস-লি
এবং তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৯৫ সালে ৮ই জুন।
বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তির নাম ও তাদের বিখ্যাত হওয়ার কারণঃ ৬-১০
জেমস মার্ক ম্যাক্সওয়েল
এই বিজ্ঞানী সর্বপ্রথম তড়িৎ চৌম্বকীয় বলের ধারণা প্রকাশ করেছিলেন এবং বিনা তারে
বার্তা প্রেরণ করার সম্ভাবনাকে সৃষ্টি করে ছিলেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৮৩১ সালে
এবং মৃত্যুবরণ করেন ১৮৭৯ সালে। এর বিখ্যাত হওয়ার মূল কারণ ছিল এটা।
জগদীশ চন্দ্র বসু
জন্মগ্রহণ করেন ১৮৫৮ সালে এবং মৃত্যুবরণ করেছিলেন ১৯৩৭ সালে। জগদীশচন্দ্র বসু অতি
ক্ষুদ্র তরঙ্গ ব্যবহার করে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে বার্তা পাঠানোর কাজে সফল
হয় কিন্তু তার এই আবিষ্কার সকলের মাঝে প্রকাশিত হয়েছিল না কিন্তু তবুও সে সকলের
মাঝে বিখ্যাত একজন ব্যক্তি।
গুগলিয়েলমো মার্কনি
কেনার জন্ম হয়েছিল ১৮৭৪ সালে এবং মৃত্যুবরণ করেছিল ১৯৩৭ সালে তিনি সর্বপ্রথম এই
বিশ্বে বিনা তারে বার্তা প্রেরণ কারী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন যার কারণে আমরা
এখন আমাদের তথ্য আদান প্রদান খুব সহজেই করতে পারছি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে
আমাদের আর চিঠি পাঠাতে হচ্ছেনা।
চার্লস ব্যাবেজ
ইনি হলেন আধুনিক কম্পিউটারের সনদ যার কারণে পুরো বিশ্ব জুড়ে এখন কম্পিউটারের
আবির্ভাব দেখা দিয়েছে এবং এখন মানুষ তার কারণে সকল অফিসের অথবা অন্য কোথাও কার
কাজ বাসায় বসে খুব সহজে করতে পারছে। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৭৯১ সালে এবং
মৃত্যুবরণ করেন ১৮৭১ সালে। লন্ডনের বিজ্ঞান জাদুঘরে চার্লস পেজেজ এর বর্ণনা
অনুসারে একটি ইঞ্জিন তাড়াতাড়ি করা হয়েছিল ১৯৯১ সালে। চার্লস ব্যাজের বিখ্যাত
হওয়ার কারণ এগুলো।
আইজ্যাক নিউটন
আমার জানামতে আপনারা সকলে এনাকে চেনেন কারণ ইনি ছিল গণিত এর জনক যার কারণে পুরো
পৃথিবীতে এখন হিসাব নিকাশ টাকা লেনদেন সকল কিছু করা হয় গণিতের মাধ্যমে। আইজ্যাক
নিউটনকে বিশ্বের একজন প্রভাবশালী বিজ্ঞানী বলা হয়ে থাকে। তিনি গতির তিনটি সূত্র
আবিষ্কার করেছিলেন ১৬৬৭ খ্রিস্টাব্দে।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী কে
অনেক মানুষে জিজ্ঞাসা করে পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী কে অথবা অনেক
পরীক্ষায় দেখা যায় এই প্রশ্নটা এসে থাকে কিন্তু আপনারা অনেকেই প্রশ্নের উত্তরটি
দিতে পারেন না। তাদের জন্য আমার এইট সামান্য চেষ্টা আপনারা অবশ্যই আজকের জেনে
যাবেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী কে এবং উনাকে কেন শ্রেষ্ঠ বলে গণ্য করা হয়।
আরো পড়ুন ঃ বিশ্বের সেরা ১৫টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী হলো আইজ্যাক নিউটন যিনি জন্ম গ্রহণ করেছিলেন
১৬৪৩ খ্রিস্টাব্দে ৩১শে মার্চ। এবার বিখ্যাত হওয়ার মিল কারণ হলো তিনি অনেক ভালো
একজন বিজ্ঞানী ছিলেন এবং তিনি আবিষ্কার করেছিলেন ক্যালকুলেটর এবং মহাকর্ষ সূত্র।
তিনি তৈরি করেন গ্যালিলিও এবং কপালারের প্রকাশিত গবেষণা এবং বিস্তারিত কাজ।
তিনি দুই বছরে যত কিছু গা আবিষ্কার করেছিলেন তার সেই আবিষ্কারের মাধ্যমেই পরবর্তী
২০০ বছর নির্ভুলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণায়। এখন আপনি
নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন উনি কি কি আবিষ্কার করেছিলেন ওনাকে শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী কেন
বলা হয় সেই সম্পর্কে। এখন নিশ্চয়ই আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন।
নিউটন এর পুরো নাম কি
নিউটন বিশ্বের একজন শ্রেষ্ঠ পদার্থ বিজ্ঞানী কিন্তু এর পুরো নাম অনেকে জানে আবার
অনেকে জানেনা যারা জানেন না তারা এখন জেনে নিন কারণ আপনাদের অনেক প্রশ্নে আসতে
পারে যে নিউটনের সম্পূর্ণ নাম কি নাম কি? তখন আপনি যদি এই প্রশ্নের উত্তর না দিতে
পারেন তাহলে নিজের কাছে নিজেকে অনেক খারাপ মনে হবে।
তাই চলুন আর দেরি না করে আপনাকে জানিয়ে দিই নিউটনের সম্পূর্ণ নাম। স্যার আইজ্যাক
নিউটন এটি হলো বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী নিউটনের সম্পূর্ণ নাম এবং এখন যদি কোন
জায়গায় প্রশ্ন আসে নিউটনের সম্পূর্ণ নাম কি তাহলে আশা করি আপনি এই উত্তরটা খুব
সহজে দিয়ে দিতে পারবেন।
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ একজন ব্যক্তি
আপনি কি জানেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি কাকে বলা হয়? হয়তো আপনি জানেন কিন্তু
আপনার আশেপাশের অনেকে না জানতে পারে তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন তাকে জানিয়ে দেওয়া
তাহলে চলবে বলে আমাদের পুরো বিশ্বের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ একজন ব্যক্তি যার নাম হলো
প্রিয়োনবী হযরত মুহাম্মদ (স.)। মুসলিম সকলে এটাকে ছিলেন যে ইনি পুরো বিশ্বের
সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ একজন ব্যক্তি এবং অনেক অন্য ধর্মের মানুষেরা চিনে।
শেষ কথাঃ বিশ্বের ১০টি বিখ্যাত ব্যক্তির নাম ও তাদের বিখ্যাত হওয়ার কারণ
আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সুযোগ সহকারে পড়ে থাকেন
তাহলে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি পুরো আর্টিকেলটি পড়লে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন
বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম এবং তারা কেন বিখ্যাত হয়েছিল এ সকল সম্পর্কে
তাছাড়াও আরো বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছে।
আরো পড়ুন : বিনা পুঁজিতে লাভজনক ২০টি ব্যবসা
আপনি যদি আমাদের লেখা এই তথ্যগুলির মাধ্যমে উপকারিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই
আমাদের এই লেখাগুলো আপনার বন্ধুর কাছে শেয়ার করে তাকে জানানোর সুযোগ করে দিবেন।
এরকম নতুন নতুন তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। সুস্থ
থাকুন ভালো থাকুন এতক্ষণ সময় ধরে মনোযোগ সহকারে আমাদের আর্টিকেল করার জন্য
ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url