দ্রুত জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় | জ্বর সর্দি হলে কি খাওয়া উচিত
তুমি নিশ্চয়ই দ্রুত জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক এবং এ
বিষয়ে জানার জন্য অনেক জায়গায় গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু কোথাও কোন
বিস্তারিত তথ্য জানতে পারছেন না তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই আজকের এই আর্টিকেলটি
আপনার জন্য।
আপনি যদি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অবশ্যই বুঝতে
পারবেন জহর সর্দি হলে কি খাওয়া উচিত অথবা জ্বর হলে কি খাবেন না আবার জ্বর হলে কি
সেলাই খাওয়া যাবে এরকম আরো নানান তথ্য সম্পর্কে। তাই সকল বিষয় জানতে চাইলে
মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ এই পোস্টের যে অংশ থেকে পড়তে চান, সেই অংশে ক্লিক করুন
জ্বর হলে কি স্যালাইন খাওয়া যাবে
আপনারা কিন্তু দেখে থাকেন যে জ্বর হলে ডাক্তাররা স্যালাইন দেয় এবং বলে
স্যালাইন খেতে যেতে পারে আপনাদের জ্বর ভালো হয়ে যাবে আসলে এটা কি সত্যিই জ্বর
ভালো হবে নাকি হবে না এ বিষয়ে আপনারা অনেকে জানেন না এবং এ বিষয়ে জানানোর
জন্যই আমি আপনাদের মাঝে এসেছি। জ্বর হলে অবশ্যই স্যালাইন পানিও খেতে পারবেন।
ডাক্তাররা পর্যন্ত বলে থাকে যে জ্বর হলে স্যালাইন পানি যদি কেউ খায় তাহলে তার
জ্বর খানিকটা হলেও কমে যায়। স্যালাইন পানি পান করলে কি আপনার শরীরে পানি
শূন্যতা কমিয়ে দেয়। যদি জ্বরের সাথে সাথে আপনার শরীরে কোন ধরনের ভাইরাস থাকে
তাহলে সে ভাইরাসকে ধ্বংস স্যালাইন পানি কাজে আসে।
সম্ভবত এটার কারণে ডাক্তাররা রোগীদেরকে সেলাই প্রদান করে থাকে যাতে করে তাদের
শরীর সুস্থ থাকে এবং তাদের শরীরে পানি শূন্যতা না দেখা যায় তাছাড়াও কিন্তু
অনেক দিক থেকে স্যালাইনের উপকারিতা রয়েছে। তাই আপনার যদি জ্বর আসে তাহলে আপনি
অবশ্যই স্যালাইন বানিয়ে গ্রহণ করতে পারবেন এতে করে আপনার অনেক উপকার আসবে।
তাই যারা আজকে থেকে এই বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন না যে আমরা স্যালাইন পানি গ্রহণ
করব জ্বর আসলে এ বিষয়ে এখন আপনি নিশ্চয় নিশ্চিত হয়ে গেছেন যে আপনি অবশ্যই
আপনার জ্বর আসলে স্যালাইন খানিক গ্রহণ করতে পারবেন কারণ এতে করে আপনার শরীরের
অনেক উপকার হবে আশা করি আপনার এই প্রশ্নের উত্তরটি পেয়েছেন।
দ্রুত জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
প্রত্যেকটি মানুষের কিন্তু জ্বর হয়ে থাকে এবং জ্বর হলে কিন্তু কোন কিছু ভালো
লাগে না মনের ভেতরে সব সময় অশান্তি একটু অনুভব হয়। আপনিও কি জ্বরে ভুগছেন এবং
কি আপনি জানতে চাচ্ছেন যে ঘরোয়া উপায় কিভাবে দ্রুত জরের সাথে মোকাবেলা করবেন?
শুধু আপনি না এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চাই এবং তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।
আপনার যদি জ্বর হয়ে থাকে এবং আপনি যদি চান দ্রুত আপনার জ্বর ভালো করতে কিন্তু
বুঝতে পারছেন না কিভাবে দ্রুত জ্বর কমাবেন তার চিন্তার কোন কারণ নেই আমি আপনাকে
বলে দিচ্ছি আপনি কিভাবে ঘরোয়া দ্রুত জ্বর কমাবেন তাহলে চলুন আর দেরি না করে
জেনে নেওয়া যাক।
১। যদি আপনার জ্বরের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে তাহলে হয়তো এটা অবশ্যই লক্ষ্য
করবেন যে জ্বর আসলে কিন্তু অনেক ঠান্ডা লাগে সে তো আপনি কিন্তু মোটেও ঠান্ডা
পানিতে গোসল করবেন না যদি আপনার জ্বর আসে তাহলে হালকা গরম পানিতে গোসল করুন
এক্ষেত্রে আপনার জ্বরের পরিমাণ একটু হলেও কমে যাবে।
২। জ্বর আসলে একটি প্রধান কাজ হবে আপনি একটি হালকা ভেজা কাপড় নিয়ে সেটা দিয়ে
মাথা ভালোভাবে মুছে ফেলুন এবং যদি পারেন তাহলে একটি নরম কাপড় অর্থাৎ ভিজা
কাপড় কপালে দিয়ে রাখুন। তাহলে আপনার জ্বর ধীরে ধীরে কমে যাবে।
৩। যদি আপনার জ্বরের পরিমাণ বেশি হয় তাহলে কিন্তু আপনি একটি খাবার খেতে খেতে
পারেন সেটি হচ্ছে আদা চা। গবেষণায় যেটা বলা যায় যে কেউ যদি আদা চা খেয়ে থাকে
এবং তার যদি জ্বর থেকে থাকে তাহলে সেই জলের পরিমাণ একটু হলেও কমে যাবে। তবে
হ্যাঁ এই চা কিন্তু বেশি গরম করে খাওয়া যাবে না হালকা হালকা গরম করে আদা চা
খেতে হবে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার জ্বর ভালো হয়ে যাবে।
৪। জ্বর হলে কিন্তু শরীরের ভিটামিন সি এর প্রয়োজন কারণ ভিটামিন সি তে রয়েছে
ইনফেকশনের সাথে লড়ার ক্ষমতা তাই ভিটামিন সি যুক্ত খাবার যেমন
কমলা খেতে
পারেন কমলা খেলে যত দ্রুত সম্ভব আপনার জ্বর ভালো হয়ে যাবে কারণ আপনার শরীরের
ভিটামিন সি প্রবেশ করবে যার ফলে আপনার জ্বরের পরিমাণ কমে যাবে।
৫। অনেক সময় কিন্তু শরীরে পানি শূন্যতার কারণে জ্বর আসে তাই যদি আপনার জ্বর
আসে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি দিনে বেশি বেশি পানি পান করতে পারেন তবে অবশ্যই
অতিরিক্ত পরিমাণে বেশি পানি পান করবেন না সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন লিটার পানি
গ্রহণ করবে যাতে করে আপনার শরীর সুস্থ হয়ে যাবে।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
৬। যদি আপনার জ্বর ভালো না হয় এবং অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে সে
ক্ষেত্রে আপনি আপনার পুরো শরীরকে একটি ভেজা তেনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন তাহলে
আপনার জ্বর টি অল্প সময় ভালো হয়ে যাবে বলে মনে হয়।
৭। জ্বর হলে উচিত বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়া কারণ তরল খাবার খেলে শরীরে প্রচুর
পরিমাণে শক্তি প্রবাহিত হয় এতে করে আপনার অতিরিক্ত জ্বর যদি হয়ে থাকে তাহলে
সেই জ্বরের পরিমাণ নিম্ন মাত্রায় কমে আসতে পারে। তাই আপনি আপনার জ্বর কমাতে এই
পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন আপনার খুব সহজে জ্বর ভালো হয়ে যাবে।
৮। জ্বর হলে অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে দৌড়াদৌড়ি অথবা কোন কাজ করা যাবে না কোন
কাজ যদি আপনি করেন জোর অবস্থায় তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার জ্বর আরো অনেক
বৃদ্ধি পেয়ে যাবে তাই যদি আপনার জ্বর হয় তাহলে সর্বপ্রথম আপনার কাজ হবে
বিশ্রাম নেওয়া।
৯। অবশ্যই আপনার বাসায় রসুন রয়েছে কারণ রসুন হলো একটি মসলা জাতীয় খাবার যেটি
সকলের বাসায় থাকে কারণ খাবারে রসুন না দিলে খাবার এমন একটা সুস্বাদু হয় না।
আপনি কি জানেন এর কুসুম ব্যবহার করে আপনি আপনার জ্বরের সাথে মোকাবেলা করতে
পারেন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসছে রসুন ব্যবহার করে আবার কিভাবে জ্বরের সাথে
মোকাবেলা করব।
যদি আপনার জ্বর হয়ে থাকে তাহলে আপনার উচিত হবে একটি রসুন নিয়ে রসুনটিকে
ভালোভাবে কুচি করে পানির ভেতরে মেশানো তবে হ্যাঁ পানিটি অবশ্যই পরিষ্কার হতে
হবে। কিছুক্ষণ পরে সেই রসুন পানি আপনাকে খেয়ে নিতে হবে এবং এভাবে কয়েকবার
রসুন পানিও পান করার পরে দেখতে পাবেন আপনার জ্বর খানিকটা কমে গেছে।
১০। আপনার বাসায় যদি ভালো মধু থেকে থাকে এবং লেবু থাকে তাহলে এই দুটোকে একসাথে
মিশ্রিত করে কিন্তু আপনি আপনার জ্বর ভালো করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে
এক চামচ মধু নিতে হবে এবং সেটিতে লেবুর রস মিশ্রিত করতে হবে। এই দুটোকে
ভালোভাবে মিশ্রিত করা হয়ে গেলে এক গ্লাস পানি নীন।
সে এক গ্লাস পানি অবশ্যই হালকা হালকা গরম থাকতে হবে এবং সেই গরম পানিতে মধু এবং
লেবুর মিশ্রিত করা পানির মিস করে কে পান করে ফেলতে হবে তাহলে আপনার জ্বর আগের
তুলনায় অনেকটা কমে যাবে তবে হ্যাঁ এইভাবে যদি আপনি কয়েকবার পানি পান করতে
থাকেন তাহলে আপনার জ্বর পুরোপুরি ভাবে ভালো হয়ে যাবে।
১১। তুলসির পাতা যেমন সর্দি কাশি দূর করা ঠিক তেমনি এটি আপনার জরো দূর করতে
পারে এর জন্য আপনাকে তুলসির পাতার রস নিতে হবে এবং সেটিকে এক গ্লাস পানির সাথে
মিশিয়ে পান করতে হবে এভাবে যদি আপনি কয়েক গ্লাস তুলসির পাতার রস পান করেন
তাহলে ধীরে ধীরে আপনার জ্বর অনেকটা কমে যাবে।
জ্বরের সাথে সাথে যদি আপনার সর্দি কাশি থেকে থাকে তাহলে সেটাও দূর হয়ে যাবে
তবে হ্যাঁ অবশ্যই এটার জন্য আপনাকে অনেকবার তুলসির রস পান করতে হবে শুধুমাত্র
একবার পান করে থেকে গেলে কিন্তু হবে না।
১২। আপনার জ্বর হলে অবশ্যই আপনাকে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে কোন
ধরনের ময়লা জীবাণু থেকে দূরে থাকতে হবে। কোন খাবার খেতে হলে অবশ্যই সে
খাবারটিকে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে তারপরে খেতে হবে এবং হাত ভালোভাবে ধুয়ে
নিতে হবে কোন কিছু খাবার আগে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকলে কিন্তু জ্বর ভালো
হবে না।
অপরিষ্কার থাকলে আপনার জ্বর আরো বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এটি আরো বড় কোন রোগে
পরিণত হতে পারে তাই জ্বর হলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন
হিসেবে থাকার।
১৩। জ্বর কিন্তু ভিটামিনের অভাবে হয়ে থাকে যেমন ধরেন যদি আপনার শরীরে ভিটামিন
সি এবং বি এর অভাব হয়ে যায় তাহলে কিন্তু সেই ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে জ্বর
আসে এবং সেই জ্বরটা ভালো হয় না তাই আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং সেই
সকল খাবার আপনাকে গ্রহণ করতে হবে যে খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং
ভিটামিন বি রয়েছে।
আপনি যদি আপনার শরীরের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারেন এবং আপনার শরীরকে আবার
আগের রূপের ভিটামিনের পরিপূর্ণ করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার জ্বর এক নিমিষে
ভালো হয়ে যাবে। তাই জ্বর হলে সর্বপ্রথমে ডাক্তারের কাছে এবং আপনার জলটি কোন
কারণে হয়েছে সেটি চেকআপ করান।
১৪। জ্বর হলে কিন্তু শরীরে অনেক ক্লান্তি বোধ হয় এবং অনেক ঘুম আসে তাই যদি
আপনার জ্বর আসে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ঘুমের প্রয়োজন আপনি যদি আপনার শরীরকে
সঠিক পরিমাণে ঘুম না দেন তাহলে কিন্তু আপনার জ্বর বৃদ্ধি পেয়ে যাবে তাই জ্বর
যদি ভালো করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার শরীরকে প্রয়োজনীয় ভুল দিতে হবে।
দিনে সর্বনিম্ন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা আপনাকে ঘুমাতে হবে তাহলে আপনার জ্বর ভালো হয়ে
যেতে পারে কিন্তু আপনি যদি আপনার শরীরকে ঘুম না দেন সবসময় জেগে থেকে সময়
কাটিয়ে দেন তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার জ্বর আরো বৃদ্ধি পাবে এবং জ্বর
থেকে অন্য কোন রোগে সেটি চলে যাবে।
১৫। পুষ্টি খাওয়ার খাবার গ্রহণ করতে হবে যদি জ্বর আসে যে সকল খাবার খেলে
শরীরের ক্ষতি এই খাবারগুলো খাওয়া যাবে না। আপনি যদি এই সকল খাবার গ্রহণ করেন
যেগুলো খেলে আপনার শরীরের ক্ষতি তাহলে কিন্তু সেই ক্ষেত্রে আপনার জ্বর আরো
বৃদ্ধি পাবে এবং অন্য কোন রোগ হবে তাই চেষ্টা করবেন জ্বর আসলে ভিটামিন যুক্ত
খাবার খাওয়ার এবং শরীরের জন্য যে সকল খাবার খাওয়া উপকারী সেগুলো খাওয়া।
এখন পর্যন্ত আমি যে ১৫ টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনাকে আলোচনা করলাম এগুলো যদি
আপনি মেইনটেইন করে চলতে পারেন তাহলে আপনার জ্বর অনেক দ্রুত ভালো হয়ে যাবে বলে
আশা করা যায় এবং আপনাকে কোন ধরনের ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না যদি আপনি এই
গুলো মেনে চলতে পারেন এবং জীবন যাপন করতে পারেন।
তবে হ্যাঁ আরো আমি কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে আপনাকে জানাবো যেমন আমি নিচের টপিক
আপনাকে জানিয়ে দেবো আপনি জ্বর সর্দি হলে কোন খাবারগুলো খাবেন এবং কোন
খাবারগুলো খেলে আপনার জ্বর এবং সর্দি দুটোই খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। তাই আর
দেরি না করে নিচের টপিকে চলে যান নিচে একটা পিক আমি জ্বর সর্দি হলে খাবারের
তালিকা সম্পর্কে আলোচনা করলাম।
জ্বর সর্দি হলে কি খাওয়া উচিত
আপনারা অনেক সময় এটা নিয়ে চিন্তিত থাকেন যে জ্বর সর্দি হলে আসলে আমরা কোন
খাবারগুলো খাব এবং কোন খাবারগুলো খেলে আমাদের জ্বর এবং সর্দি খুব দ্রুত ভালো
হয়ে যাবে এবং এ বিষয়ে জানার জন্য কিন্তু আপনারা অনেক জায়গায় যান এবং অনেক
খোঁজাখুঁজি করেন কিন্তু কোথাও কোন বিস্তারিত আলোচনা জানতে পারেন না।
তাই আপনাদেরকে এই বিষয়ে জানানোর জন্য আমার এই সামান্য চেষ্টা।। আমি অবশ্যই
আপনাকে এখন জানিয়ে দেবো জ্বর সর্দি হলে আপনি কোন খাবারগুলো খাবেন এবং কোন
খাবারগুলো খেলে আপনার খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে তাই আর দেরি না করে নিচের দিকে
লক্ষ্য রাখুন নিচে বেশ কয়েকটি খাবারের তালিকা দেওয়া হলো।
১। জ্বর সর্দি কাশি হলে কলা খেতে পারেন কারণ কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন যেটি আপনার জ্বর এবং সর্দি-কাশি দূর করতে অনেক কাজে আসবে। আপনার গলায়
যদি খুসখুসে ভাব থেকে থাকে তাহলে যদি আপনি কলা খান তাহলে সেটি দূর করতে অনেক
কার্যকরী তাই কারো যদি জ্বর অথবা সর্দি কাশি হয় তাহলে কলা খেতে পারেন।
২। জ্বর কমানোর একটি বিশেষ উপকারী ফল হচ্ছে কমলা যদি আপনি কমলা খান তাহলে সেই
ক্ষেত্রে আপনার শরীরের ভিটামিন সি এর অভাব দূর হয়ে যাবে এবং আপনি কিন্তু জানেন
যে ভিটামিন সি এর অভাবের কারণে কিন্তু জ্বর হয়ে থাকে। যদি আপনার জ্বর হয়
তাহলে আপনি চেষ্টা করবেন কমলার রস এবং কমলা খাবার তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার
দ্রুত জ্বর ভালো হয়ে যাবে।
৩। ডিম এবং ডিমের সাদা অংশ, কারো যদি জ্বর হয় এবং সে যদি ডিম খায় তাহলে সে
ক্ষেত্রে তার জ্বর দ্রুত ভালো হয়ে যায় বলে থাকে সকলে কারণ ডিমের সাদা অংশে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যেটি আপনার গলা ফুলে যাওয়া অথবা গলার ব্যথা
হওয়া এগুলো থেকে বিরত রাখে এবং আপনাকে সুস্থ করে তোলেন।
আপনার ভালো লাগতে পারে এমন কিছু পোস্টঃ
৪। গাজর রান্না করে খেতে পারেন গাজর সর্দি কাশি জ্বর ভালো করার জন্য অনেক
কার্যকারী একটি খাবার তবে হ্যাঁ এটি আপনি রান্না করে খেলে বেশি উপকার পাবেন তবে
যদি আপনি কাঁচা খান তাহলে সে ক্ষেত্রেও উপকার আছে। তবে হ্যাঁ যদি আপনার ঠান্ডা
লাগে সে ক্ষেত্রে গাজর ঠান্ডা জিনিস এটা কাঁচা না খেয়ে আপনি রান্না করে খাবেন
এতে বেশি উপকার হবে।
গাজরকে কিন্তু সুইপার ফুট বলা হয়। এর ভেতরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং
মিনারেল যেটি আপনার দেহে কোন ধরনের রোগের বাসা বাসা বাধা থেকে বাচায়।
৫। পেঁয়াজ শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় এটাই না এটা কিন্তু আপনার শরীরের জন্য
অনেক উপকারে আসে কারণ পেঁয়াজের ভেতরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ যেটি
আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে অনেক কাজে আসে এবং এটি কিন্তু আপনার চুল বৃদ্ধি করতে
কাজে আসে। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে থাকে যদি কেউ পেঁয়াজের সাথে মধু মিস করে খায়
তাহলে সে ক্ষেত্রে তার সর্দি জ্বর কাশি থাকলে ভালো হয়ে যাবে।
আবার যদি আপনার শরীরে কোন হজম শক্তির অভাব থেকে থাকে তাহলে পেঁয়াজ খেতে হজম
শক্তি বৃদ্ধি করে এবং আপনার শরীরে ক্যান্সার হবার ঝুঁকি কমিয়ে দেয় তাই
পেঁয়াজের উপকারিতা অনেক তবে হ্যাঁ যাদের পেয়াজে এলার্জি আছে তারা অতিরিক্ত
পেঁয়াজ খাবেন না সে ক্ষেত্রে কিন্তু ক্ষতি হবে।
৬। আরো আরেকটি খাবার রয়েছে সেটি হচ্ছে আদা চা। আদা চা খেলে কিন্তু কাশি থাকলে
সেটি দূর হয়ে যায় এবং যদি জ্বর থাকে তাহলে সেটা দূর হয়ে যায় তবে হ্যাঁ চা
টা কিন্তু ভালোভাবে বানানো লাগবে অপরিষ্কার পানি দিয়ে বানানো যাবেনা সে
ক্ষেত্রে কিন্তু ক্ষতি হবে। তাই যারা চান যে দ্রুত সর্দি কাশি অথবা জ্বর দূর
করতে তারা আদা চা খেতে পারেন।
এখন পর্যন্ত আমি যেই ৬টি খাবারের নাম বললাম এই ছয়টি খাবার যদি কেউ খেয়ে থাকে
তাহলে তার কোন ধরনের সর্দি জ্বর অথবা কাশি হবে না আর যদি সর্দি কাশি হয়েও থাকে
এবং আপনি যদি এই খাবারগুলো খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার জ্বর অনেক দ্রুত ভালো হয়ে
যাবে বলে আশা করা যায়। আশা করি আপনার এই প্রশ্নের উত্তর আপনি পেয়ে গেছেন।
জ্বর হলে কি খাওয়া উচিত না
যে সকল ব্যক্তিরা জানেন না যে জ্বর হলে কি খাওয়া উচিত নয় তারা এই টপিকটি
পড়তে থাকুন অবশ্যই জানে যাবেন কারণ এই টপিকের ভেতরে আমি জানিয়ে দেবো এমন বেশ
কয়েকটি খাবারের নাম যেগুলো আপনি জোর হলে কোন মতই খাবেন না কারণ এগুলো খেলে
আপনার জ্বর কমার বদলে আরো বৃদ্ধি পেয়ে যাবেন তাহলে চলুন আর দেরি না করে সে
খাবার গুলোর নাম জেনে নেওয়া যাক।
১। জ্বর হলে কোন মতে ভাজাপোড়া খাবেন না ভাজাপোড়া খেলে কি করে আপনার শরীরে
ক্ষতি হবে এবং গ্যাস্টিকের ক্ষতি হতে পারে আর
গ্যাস্টিকের ক্ষতি হলে কিন্তু জ্বরেরও লক্ষণ অনেকটা বেড়ে যায় তাই দ্রুত জ্বর থেকে
সুস্থ পেতে ভাজাপোড়া জিনিস খাওয়া যাবে না।
২। যদি জ্বর হয়ে থাকে তাহলে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকুন
যেমন গরুর মাংস এগুলোতে অনেক চর্বি থাকে তাই এগুলো খাওয়া থেকে দূরে থাকুন কারণ
চর্বিযুক্ত খাবার খেলে আপনার জ্বর বৃদ্ধি পেতে পারে তাই ভুলেও চর্বিযুক্ত খাবার
খাবেন না।
৩। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি অথবা আইসক্রিম এগুলো খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে তা না
হলে আপনার ঠান্ডা আরো লেগে যাবে এবং শরীরের জ্বরের বৃদ্ধি হয়ে যাবে তাই অবশ্যই
জ্বর থেকে সুস্থ থাকতে হলে ঠান্ডা পানীয় এবং আইসক্রিম খাওয়া যাবেনা।
৪। দুধ ও দই এই দুইটি খাবার না খাওয়া আপনার জন্য ভালো হবে যদি আপনার শরীরে
অতিরিক্ত জ্বর থেকে থাকে কারণ দেখা যেতে পারে এগুলো খেলে আপনার জ্বর আরো বৃদ্ধি
পেতে পারে তাই দুইটা খাবার জ্বর থাকলে ত্যাগ করুন এমনি সময় আপনি খেতে পারেন
এমনি সময় একটু দেখুন দই খেলে আপনার উপকারে আসবে।
৫। জ্বর অথবা সর্দি কাশি থাকলে ফ্রিজের কোন পানীয় অথবা ফলমূল খাওয়া যাবে না
কারণ এতে করে আপনার ঠান্ডা লেগে যাবে এবং আপনার জ্বর আরো বৃদ্ধি পেয়ে যাবে তাই
অবশ্যই জ্বর কমাতে আপনাকে ফ্রিজের যে কোন খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
আপনার যদি জ্বর হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই এই পাঁচটি কাজ ভুলেও করা যাবে না অর্থাৎ
এই পাঁচটি খাবার আপনি ভুলেও খাবেন না যদি আপনি এই পাঁচটি খাবার খান তাহলে
কিন্তু আপনার জ্বর আরো বৃদ্ধি পাবে তবে হ্যাঁ শুধু এই পাঁচটি নয় আরো হয়তো
অনেকগুলো ফল অথবা খাবার রয়েছে যেগুলো আপনি খেতে পারবেন না।
তবে আমার জানামতে এই পাঁচটি খাবার না খেলে আপনার জন্য ভালো হবে এবং আপনার জ্বর
দ্রুত ভালো হয়ে যাবে যদি উপরের টপিকে বলা সেই খাবার গুলো আপনি গ্রহণ করেন
দেখবেন দ্বিতীয় ট্রফি কে আমি বলে দিয়েছি কোন খাবারগুলো জ্বর হলে খেতে পারবেন
সেগুলোকে খাবেন এবং এখানে আমি যে পাঁচটি খাবার খেতে বারণ করেছি এগুলো খাবেন না।
জ্বরের ঔষধের নাম
জ্বরের ঔষধ কিন্তু অনেকগুলো আছে তবে আপনার জন্য কোন জ্বরের ওষুধটি খাওয়া
প্রয়োজন সেটা আমি সঠিক ভাবে বলতে পারব না এটি আপনার জোরে পরিমাণ এরপর নির্ভর
করবে এখন আপনার জ্বরের পরিমাণ যদি বেশি হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে পাওয়ারফুল
জ্বরের ওষুধ খেতে হবে আর যদি আপনার জ্বরের ওষুধ কম হয় তাহলে নরমাল ওষুধগুলি
খেলেই হবে।
সাধারণত আপনার যদি নরমাল জ্বর হয়ে থাকে তাহলে আপনি নাপা খেতে পারেন একটু বেশি
হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি নাপা এক্সট্রা খেতে পারেন তাহলে আপনার কিন্তু জ্বর
অনেক দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। আপনার যদি জ্বর সর্দি কাশি এগুলো একসাথে থেকে থাকে
তাহলে আপনি সেই ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল খেতে পারেন।
প্যারাসিটামল খেলে কাশি সর্দি এবং জ্বর তিনটাই ভালো হয়েছে অনেক দ্রুত তাই আপনি
সেক্ষেত্রে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। তবে হ্যাঁ এগুলো ছাড়াও আরো অনেক জ্বরের
ঔষধ রয়েছে সেগুলো বলে কোন লাভ নেই এই তিনটা জ্বরের ওষুধ অনেক ভালো জ্বর হলে এর
মধ্যে যে কোন একটি পেতে পারেন।
তবে হ্যাঁ যে ওষুধই খান সর্ব প্রথমে আপনার উচিত হবে জ্বর হলে ডাক্তারের কাছে
যাওয়া এবং ডাক্তারের কাছে গিয়ে আপনার জ্বরের পরিমাণ মেপে তারপরে ওষুধ গ্রহণ
করা এবং দেখা যায় আপনার জ্বর কত সে অনুযায়ী আপনার চলাফেরা তাহলে আপনার ও জ্বর
অনেক দ্রুত ভালো হয়ে যাবে আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন।
লেখকের শেষ বক্তব্য
আশা করি আপনি আমাদের এই পুরো পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে
শেষ করেছেন এবং বুঝতে পেরেছেন কিভাবে দ্রুত জ্বর কমাতে পারবেন আর যদি শেষ
পর্যন্ত পড়ে না থাকেন তাহলে আবার গিয়ে ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পরে আসুন। এরকম
নতুন নতুন তথ্য পেতে নিয়ম আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার ১০টি উপায়
আপনি যদি আমাদের এই লেখাগুলির মাধ্যমে উপকারিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই
লেখাগুলো আপনার বন্ধু অথবা আত্মীয়-স্বজনদের কাছে শেয়ার করে তাদেরকে জানানোর
সুযোগ করে দেবেন। আজকে এ পর্যন্তই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আমাদের এই আর্টিকেলটি
এত দীর্ঘ সময় ধরে মনোযোগ সহকারে করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url