চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজার ১০টি উপকারিতা
প্রিয় পাঠক চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজার উপকারিতা কি কি সে সকল বিষয় সম্পর্কে জানার
জন্য হয়তো আপনি অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু কোথাও কোনো বিস্তারিত
তথ্য জানতে পারছেন না.
তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য।
মুসলিম হিসেবে আমরা রোজা রাখি কিন্তু অনেকে জানিনা যে চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজা
রাখার উপকারিতা কি তাই আপনি যদি আমাদের আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে অবশ্যই সে
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন তার সঙ্গে রমজানে ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট অথবা
এরকম আরো অনেকগুলো টপিক নিয়ে আলোচনা জানতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে
আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ এই পোস্টের যে অংশ থেকে পড়তে চান, সেই অংশে ক্লিক করুন
- রোজা রাখলে কি ওজন কমে
- চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজার উপকারিতা
- রমজানে ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট
- রোজা রাখলে কি স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়
- আমাদের শেষ কথাঃ চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজার উপকারিতা
রোজা রাখলে কি ওজন কমে
যারা অতিরিক্ত স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় আছেন তাদের জন্য অনেক ভালো একটি
মাধ্যম হলো রোজা রোজা রাখলে কিন্তু শরীরের ওজন একটু হলেও কমে যারা অতিরিক্ত
শরীরের ওজনের কারণে কষ্টে আছেন তাদের জন্য রোজা রাখার উপকারিতা অনেক তবে যাদের
শরীর মোটামুটি আকারে ভালো আছে তাদের ওজন কমে না তাদের শরীরের উপকার হয়।
আপনি হয়তো এখন নিজের শরীরের ওজন কমাতে চান কিন্তু উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না তাই তো
তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই আমি আপনাকে এখন বলে দেব রোজা রেখে আপনি ওজন কিভাবে
কমাবেন এবং আপনাকে রোজা রেখে ওজন কমানোর জন্য কোন খাবারগুলো খেতে হবে তাহলে আপনার
শরীরের ওজন কমে যাবে।
- সব সময় তো আপনারা ভাত খেয়ে থাকুন তাই আমি বলব ভাত না খেয়ে ফটোস ওটস খাওয়ার অভ্যাস করুন অথবা গমের রুটি খেতে পারেন রোজা রেখে কেউ যদি এই দুইটা জিনিস খায় তাহলে কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে তাদের শরীরের ওজন কমে যাবে এবং শরীরের ফিটনেস সব সময় বজায় থাকবে।
- খাবারের পরে এক গ্লাস দুধ খায় না পেতে করে আপনার শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে এবং আপনার শরীর সবসময় ফিটনেস থাকবে তবে এটি আপনার ওজন কমাতে পারবেন না কিন্তু আপনি চাইলে সেহরির সময় অথবা ইফতারির পরে সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন ডিম খেলে কিন্তু শরীরের ওজন কমবে বলে গণ্য করা যায়।
- বেশি বেশি পানি খাবেন রোজা থেকে ইফতারি করার পরে যদি কেউ বেশি বেশি করে পানি খায় তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে থাকে তার স্বাস্থ্য অতিরিক্ত পরিমাণে বেশি হলে সেই স্বাস্থ্য কমে একটি পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্যের চলে আসবে।
- ইফতারের শেষে অথবা সেহেরির সময় চাইলে কিন্তু আপনি টক দই খেতে পারেন কিন্তু এটা সকলের বাসায় সব সময় থাকে না তাই এটা আপনি কিনে এনে খেতে পারেন এতে করে আপনার শরীরের ওজন কমবে হলে মনে করা যায়।
- সবচেয়ে ভালো হবে যদি আপনি ইফতারের সময় অথবা সেহরীর সময় খেজুর খান কারণ খেজুরের প্রচুর পরিমাণে পানিও রয়েছে যেটি আপনার শরীরে পিপাসা মেটাতে পারে এবং আপনার শরীরের ওজন কমাতে কাজে আসবে। তাই শরীরের ওজন কমাতে আপনি এই উপায়টি অবলম্বন করতে পারেন আশা করি এতে আপনার খুব সহজে স্বাস্থ্য কমে যাবে।
- মাছ মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন কারণ আপনি সারাদিন খালি পেটে থেকে যদি আপনি এই সকল খাবার গুলো খান তাহলে কিন্তু আপনাদের শরীরে গ্যাসের সমস্যা হবে এবং আপনার শরীর এর ওজন আরো বৃদ্ধি পেতে পারে তাই অবশ্যই ইফতারের সময় অথবা সেহরির সময় কেউ মাছ মাংস এইসব ফল আমিষ জাতীয় খাদ্য খাবেন না।
আশা করি আপনি যদি এগুলো মেনে চলতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার স্বাস্থ্য অনেকটা
আগের চাইতে কমে যাবে এবং আপনি আপনার তরুণাত্মকে ফিরে পাবেন। তাই আপনার জন্য রোজা
রাখা এবং এইগুলো মেনে চলা অনেক ভালো হবে বলে গণ্য করা যায়। তাই অবশ্যই আমার এই
নিয়মগুলি মেনে চলার চেষ্টা করবেন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজার উপকারিতা
অনেকের মাঝে কিন্তু এই প্রশ্নটা আসে যে রোজা রাখলে আসলে আমাদের শরীরের কি উপকার
হয়ে থাকে। এই প্রশ্নটার উত্তর জানার আগ্রহ প্রায় অনেক মানুষের হয়েছে কিন্তু
আপনার এই বিষয় সম্পর্কে জানতে পারছেন না। যদি জানতে না পারেন তাহলে সমস্যার কোন
কারণ নেই আমি নিচে বেশ কয়েকটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা
করলাম।
১। আমরা যখন রোজা রাখি তখন কিন্তু আমাদের শরীরে ভেতরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো আরাম
পায় গবেষণায় এটি বলা যায় যে আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি অংশ কিন্তু সবসময় তাদের
কাজ চালিয়ে যায় অর্থাৎ তারা কোন সময় বিশ্রাম নিতে পারে না কিন্তু কোন ব্যক্তি
যদি রোজা রাখে তাহলে তার শরীরে খাদ্যনালীর সকল যন্ত্রগুলো বিশ্রাম নিতে পারে।
এতে করে কিন্তু আপনার শরীরে অনেক উপকার হবে আপনার শরীরের যে কোন অসুখ থাকলে অথবা
পেটের অসুখ বলতে পারেন যদি থাকে তাহলে সেটি কিন্তু ভালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা
থাকে। তাই বিজ্ঞানের মতে যদি আপনি ১২ মাসের ভেতরে এক মাস না খেয়ে থাকেন তাহলে
আপনার কোন ক্ষতি হবে না বরং এটা আপনার শরীরের জন্য উপকার।
২। রোজা কিন্তু শরীরের বেশ কয়েকটি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে আপনি যদি রোজা রাখেন
তাহলে কিন্তু বেশ কয়েকটি রোগ থেকে আপনি খুব সহজে মুক্তি পেতে পারেন বলে মনে করা
হয় যেমন ধরেন আপনার যদি হাঁপানি রোগ থাকে তাহলে সেটি আপনার ভালো হয়ে যাওয়া
সম্ভাবনা বেড়ে যাবে যদি আপনি রোজা রাখেন।
আবার আপনার যদি আলসারের মতো ক্ষতিকর রূপ থাকে তাহলে কিন্তু এই রোগকে নিমেষে ধ্বংস
করতে পারে রোজা তাই যদি আপনার শরীরকে এই রোগগুলো থেকে সুরক্ষিত রাখতে চান তাহলে
রোজা অবশ্যই আপনার অনেক উপকারে আসবে এছাড়াও আরো অনেকগুলো রোগ থেকে কিন্তু মুক্তি
পাওয়া যায় রোজার মাধ্যমে।
৩। অনেক সময় দেখা যায় অনেকের মাথায় সমস্যা হয়ে থাকে মাথা ব্যথা অথবা সব সময়
দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকেন তাদের জন্য কিন্তু রোজার উপকারিতা অনেক গবেষণায় পাওয়া
যায় কেউ যদি এক সিরিয়াল অনুযায়ী বিশটা পর্যন্ত রোজা রাখতে পারে তাহলে তা শরীর
বিভিন্ন ধরনের রোগের আক্রমণ থেকে বেঁচে যায়।
আরো পড়ুনঃ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার ১০টি উপায়
অতিরিক্ত রক্তচাপের কারণে কিন্তু মনের ভেতরে সব সময় দুশ্চিন্তা আসতে থাকে যদি এই
দুশ্চিন্তা দূর করতে চান তাহলে কিন্তু রোজার উপকারিতা অনেক তাই কেউ যদি রোজা
রাখতে পারে তাহলে তার সকল দুশ্চিন্তাগুলো দূর হয়ে যাবে বলে বলা হয়।
৪। অনেকের কিডনিতে সমস্যা হয় আবার কিডনির ভেতরে পাথর হয় এবং তারা এটা ভেবে রোজা
রাখেনা যে তারা যদি রোজা রাখে তাহলে হয়তো তাদের কিডনির সমস্যা হবে তাহলে আমি বলব
এটা আপনার সম্পূর্ণ ভুল ধারণা কারণ আধুনিক বিজ্ঞান অনুযায়ী বলা হয়ে থাকে কেউ
যদি রোজা রাখে তাহলে তার কিডনির সমস্যা দূর হয়ে যায়।
তাই আপনাদের কারো ভেতরে যদি কিডনির সমস্যা হয়ে থাকে অথবা পাথরের সমস্যা হয়ে
থাকে তাহলে আমি বলব আপনারা নির্ভয়ে রোজা রাখতে পারেন এতে করে আপনার রোগ গুলি দূর
হবে কোন ধরনের ক্ষতি হবে না।
৫। কেউ যদি অতিরিক্ত স্বাস্থ্যের জন্য অনেক কষ্টে ঘুরতে থাকে তাহলে তার জন্য
কিন্তু শ্রেষ্ঠ উপায় হবে রোজা রাখা কারণ কেউ যদি রমজান মাসে সকল রোজা গুলি
পরিপূর্ণভাবে সম্পূর্ণ করে তাহলে কিন্তু তার শরীরের ওজন একটু হলেও কমে যাবে। যারা
অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেক কষ্টের ভেতরে আছেন তাদের জন্য কিন্তু রোজা রাখা অনেক
উপকারী।
আবার যাদের ওজন একটি মোটামুটি ওজনের ভেতরে আছে তাদের ওজন কিন্তু কমে না এবং তাদের
শরীরে কিন্তু রোজা রাখার ফলে আলাদা একটি উপকার প্রতিফলিত হয় তাই আমি বলব
স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য রোজা রাখার উপকার অনেক এটি বিশেষজ্ঞরা বলে থাকে।
৬। অনেকে কিন্তু ব্লাড প্রেসার থেকে থাকে আপনি যদি পারেন তাহলে একবার রোজা রাখে
ব্লাড প্রেসার মেপে দেখতে পারেন এবং পরিপূর্ণভাবে সকল রোজা রাখার পরে আপনার
ব্লাকলিস্ট মেপে দেখতে পারেন এতে কিন্তু আপনি অনেক বড় একটি পরিবর্তন পাবেন। কারণ
রোজা রাখলে কিন্তু ব্লাড প্রেসার এর মাত্রা অনেক পরিমানে কমে যায়।
অনেক গবেষণা করে দেখা গেছে রমজানে কেউ যদি রোজা রাখে তাহলে তার ব্লাড প্রেসার
হওয়ার লক্ষণ অনেকটা কমে যায় এবং কারো যদি ব্লাড প্রেসার থেকে থাকে তাহলে তার
ব্লাড প্রেসার ভালো হয়ে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা বলে থাকে।
৭। আলোচনা করে এটা বলা যায় যে আমরা প্রতি বছরে যে সকল খাদ্য গুলি খেয়ে থাকি সে
খাদ্যে কিন্তু অনেক ক্ষতিকর রাসায়নিক বিষ থেকে থাকে এবং এই বিষগুলো গিয়ে কিন্তু
আমাদের শরীরের ভেতরে জমা হয় কিন্তু কেউ যদি পরিপূর্ণভাবে ৩০ টি রোজা রাখে তাহলে
কিন্তু তার শরীরের সেই রাসায়নিক বিষগুলোকে ধ্বংস করে ফেলে।
৮। কারো যদি হার্টের সমস্যা থেকে থাকে অর্থাৎ হৃদয়রোগ হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু
সেই রোগটা খুব সহজে ভালো হয়ে যাবে যদি সে পরিপূর্ণ হবে সকল রোজাগুলি রাখতে পারে
এবং তার শরীরে যদি রক্তচাপের মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায় তাহলে সে যদি
রোজা রাখে তাহলে কিন্তু রক্তচাপের মাত্রা কমে যায়।
তাই এই দুইটি রোগ থেকে বাঁচতে কিন্তু রোজার উপকারিতা অনেক বলে ধরা যায়। যাদের
ভেতরে এই রোগগুলো রয়েছে তারা মেডিসিন দেওয়ার পাশাপাশি ৩০ টা পরিপূর্ণভাবে রোজা
পালনকরণ দেখুন আপনার এটা ভালো হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
৯। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে আমাদের শরীরে কিন্তু রক্তের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু
অথবা যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য খারাপ সে সকল দ্রব্য গুলি ঘুরে বেড়ায় সেই
গুলোকে ধ্বংস করতে কিন্তু রোজার উপকারিতা অনেক কেউ যদি রোজা রাখে তাহলে কিন্তু
তার শরীরের যেকোনো ধরনের জীবাণু থাকলে সেগুলো পরিষ্কার হয়ে যায়।
১০। আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে কিন্তু চর্বি জমে থাকে এবং চর্বি জমে গেলে কিন্তু
আমরা ধীরে ধীরে মোটা হতে থাকি অথবা বিভিন্ন ধরনের রোগের দিকে চলে যায় আমাদের
শরীর এক্ষেত্রে আপনি যদি এক বছরে সর্বনিম্ন এক মাস রোজা রাখেন তাহলে কিন্তু আপনার
শরীরের চর্বি দূর হয়ে যায় এবং আপনার শরীরের রোগের আক্রমণ হাওয়া থেকে বেঁচে
যায়।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে একমাস যদি কেউ রোজা রাখতে পারে তাহলে কিন্তু অনেক ধরনের
উপকার পাওয়া যায় তাই আপনি যদি সকল উপকারগুলো পেতে চান তাহলে অবশ্যই রোজা রাখুন
কারণ রোজা রাখলে আপনার শরীরের এই সকল উপকারগুলি হয়ে থাকে এছাড়াও অনেকগুলি উপকার
হয়ে থাকে তবে আমি আপনাকে ছোট ভাবে বুঝিয়ে দিলাম আশা করি উত্তরটা পেয়েছেন।
রমজানে ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট
আপনি কিন্তু চাইলে রমজান মাসে সুযোগ কি কাজে লাগিয়ে খুব সহজে আপনার অতিরিক্ত ওজন
কমিয়ে নিতে পারেন এর জন্য আপনাকে কিছু উপায় অবলম্বন করে চলতে হবে তাহলে আপনি
আপনার তরুণত্ব ফিরে পাবেন তাই আমি যে উপায় গুলো বলবো অবশ্যই এগুলো মেনে চলার
চেষ্টা করবেন।
তখন আপনি হয়তো ভাবছেন রমজান রাখলে এমনিতেই তো ওজন কমে কিন্তু তার সাথে কি করলে
আপনার অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অথবা ওজন কমে যাবে। তাহলে চলুন আপনার সেই প্রশ্নের
উত্তরটি আমি দিয়েছি তাই আর দেরি না করে নিচের দিকে লক্ষ্য করুন বেশ কয়েকটি ওজন
কমানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
- প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে।
- দুধ অথবা ডিম খাবারের তালিকায় রাখতে হবে।
- তৈলাক্ত জাতীয় কোন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- মাছ-মাংস এরকম আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
- বেশি বেশি করে পানি পান করুন।
- যদি পারেন তাহলে খাবারের তালিকায় রুটি অথবা ওটস রাখুন।
- শাকসবজি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- চেয়ে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- মধু খেতে পারেন মধু খেলে ওজন কমবে ইত্যাদি
এরকম আরো অনেকগুলো খাবারের তালিকা অথবা রমজান মাসকে কাজে লাগিয়ে শরীরের ওজনকে
কমানোর উপায় রয়েছে আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেক সমস্যায় ভুগতে থাকেন
তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হবে এগুলো এই অনুযায়ী যদি শরীরের ডায়েট
করতে পারেন তাহলে ইনশাল্লাহ আপনার শরীরের ওজন কমে যাবে।
রোজা রাখলে কি স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়
আপনারা অনেক সময় এই প্রশ্নটি করে থাকেন যে রোজা রাখলে কি স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি
হয় এবং অনেকে এটা মনে করেন যে রোজা রাখলে মনে হয় আলসারের সমস্যা হয় তাহলে আমি
বলব এটি সম্পূর্ণ আপনার ভুল ধারণা এবং এটি নিয়ে আপনার ভাবা একদমই উচিত নয় কারণ
রোজা রাখলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি না বরং উপকার হয়।
এটা আমার কথা না এটা সম্পূর্ণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের কথা যে কেউ যদি সঠিক নিয়মে এবং
ইফতার ও সেহেরী সঠিক খাবার গ্রহণ করে রোজা পালন করে তাহলে তার স্বাস্থ্যের কোন
ক্ষতি হবে না বরং তার স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হবে তার শরীরে যদি ক্ষতিকর কোন রোগ
থেকে থাকে তাহলে সেই রোগ নিমিষে ধ্বংস হয়ে যাবে।
আপনাদের ভেতরে যারা মনে মনে এই ভুল ধারণাটি নিয়ে রাখছিলেন তারা পরবর্তীতে আর এই
ভুল ধারণাটি নিয়ে আলোচনা করবেন না। কারণ রমজান হলো একটি রহমতের মাস এবং এই মাসে
আপনি না খেয়ে সঠিক নিয়মে যদি পরিপূর্ণভাবে ত্রিশটা রোজা রাখতে পারেন তাহলে
আপনার শরীরে অনেক পরিবর্তন চলে আসবে।
অবশ্যই এই পরিবর্তনটি আপনার শরীরের ভালোর জন্যই হবে যেমন ধরেন আপনার শরীরে কোন
রোগ থাকলে সেটি ধ্বংস করবে এবং আপনার শরীরকে কোন রোগের হাত থেকে আক্রান্ত হওয়া
থেকে বাঁচাবে। আশা করি আপনারা আপনাদের সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন।
আমাদের শেষ কথাঃ চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজার উপকারিতা
আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে শেষ করে থাকেন তাহলে
কিন্তু এখন অবশ্যই আপনি বুঝতে পেরেছেন যে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনুযায়ী রমজানের
উপকারিতা কতটুকু অথবা আরও যেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছিলাম সে সকল সম্পর্কে। এরকম
নতুন নতুন তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ খেজুর খাওয়ার ১০টি উপকারিতা
আপনি যদি আমাদের এই লেখাগুলোর মাধ্যমে উপকারিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই লিখাগুলো
আপনার বন্ধুর কাছে শেয়ার করার মাধ্যমে তাতেও জানানো সুযোগ করে দিবেন আপনি যদি
আরো কোন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে
এখানে ক্লিক করুন। আজকে এ পর্যন্তই
সুস্থ থাকুন এবং ভালো থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url