ইসলামে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত - ইসলামে ঘুমানোর সঠিক নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে এই বিষয়ে হয়তো আপনার অনেক সময় জানার আগ্রহ হয় যে ইসলামে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত এবং ইসলামিক ঘুমানোর সঠিক নিয়ম কি এ বিষয়ে। তাই আপনি যদি এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকে আর্টিকেলটি সম্পন্ন আপনাদের জন্য।
ইসলামে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত
আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন খরচের পর ঘুমালে কি কি ক্ষতি হয় কোন সময় কমানো উচিত নয় এছাড়াও আরো অনেক বিষয়ে তাই এই সকল বিষয়ে যদি আপনি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আর দেরি না করে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ আপনি যে অংশ থেকে পড়তে চান, সে অংশে ক্লিক করুন

শিশুদের কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত

আপনার যদি একটু শিশু থেকে থাকে তাহলে দেখতে পান অনেক সময় আপনার শিশু কান্না করে আসলে কান্না করার কিন্তু একটি কারণ হচ্ছে তারপর যুক্ত পরিমাণ ঘুমের ঘাটতি হওয়া একটি শিশু যদি দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না পায় তাহলে কিন্তু সে ক্ষেত্রে সে কান্না করতে থাকে এবং তার অনেক রোগ দেখা দিতে পারে।

তাই অবশ্যই আপনাকে একটি শিশুকে তার বয়স অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম দিতে হবে কারণ সে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না পায় তাহলে সে ক্ষেত্রে সে কান্না করে অথবা দেখা যায় তার শরীর দুর্বল হয়ে যায় যার কারণে সে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে আর এর জন্য আপনাকে সর্বপ্রথমে জানা লাগবে শিশুদের কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত।

আর আপনার এই প্রশ্নের উত্তর এখন আমি দিয়ে দেব যে কত বয়স অনুযায়ী একটি শিশুর কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত এবং কত ঘন্টা ঘুমালে তার ঘুম বুঝবে অর্থাৎ সে ভালো থাকবে এবং সুস্থ থাকবে তাহলে চলুন সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। যদি আপনার শিশুর বয়স হয় এক বছরের ভেতরে তাহলে তাকে সর্বনিম্ন ঘুম দিতে হবে ১৮ ঘন্টা।

একটি শিশু যখন একদমই ছোট থাকে তখন কিন্তু সে সময় কাটানোর জন্য কোন কিছু পাই না যার জন্য তার শরীরের অতিরিক্ত ঘুমের প্রয়োজন হয়েছে অবশ্যই একটি এক বছরের ভেতরের বাচ্চাকে দিনে ১৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। যদি আপনার শিশুর বয়স হয়ে থাকে দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে তাহলে সেই শিশুটিকে ১২ থেকে ১৩ ঘন্টা ঘুম দিতে হবে।

কারণ একটি ছোট্ট শিশুর যার বয়স মাত্র দুই থেকে পাঁচ বছরের ভেতরে তার শরীরের জন্য ১২ থেকে ১৩ ঘন্টা ঘুমানো অতি জরুরী। আপনার শিশুটির বয়স যদি হয়ে থাকে 6 থেকে 12 পর্যন্ত তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার শিশুটিকে সর্বোচ্চ ঘুম দিতে হবে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টার মধ্যে মতন কারণ সেই শিশুটির এতক্ষণ ঘুমের প্রয়োজন।

তারপরে আপনার সেই শিশুটি যখন একটু বড় হয়ে যাবে অর্থাৎ দেখতে পাবেন 13 থেকে 18 বছরের ভেতরে চলে এসেছে তখন সেই শিশুটিকে ঘুম দিতে হবে ৯ থেকে ১০ ঘন্টা তখন হয়তোবা আপনাকে ঘুম দিতে হবে না সে নিজে নিজেই নিজের ঘুম নিয়ে নিতে পারবে এবং বুঝতে পারবে তার শরীরের জন্য কতটুকু ঘুম প্রয়োজন।

আর একটি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ এবং প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ঘুমের প্রয়োজন হচ্ছে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা। একটি সুস্থ এবং প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে অবশ্যই ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে তা না হলে তার শরীরে রোগ দেখা দিবে না হয়তো তার শরীর অনেক দুর্বল দুর্বল মনে হবে তাই অবশ্যই এখন আপনি বুঝতে পেরেছেন বয়স অনুযায়ী শিশু থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত কতটুকু ঘুমের প্রয়োজন।

বাচ্চাদের ঘুম কম হওয়ার কারণ

আমরা প্রত্যেকটি মানুষ কিন্তু সর্বপ্রথমে শিশু ছিলাম এবং ভবিষ্যতে আমাদের কেউ শিশু লালন পালন করতে হয় সে ক্ষেত্রে কিন্তু অবশ্যই এ বিষয়ে জানা উচিত যে বাচ্চাদের ঘুম কম হচ্ছে কেন এবং এর মূল কারণটা আসলে কি এ বিষয়ে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে না জানলে আপনি আপনার বাচ্চার রোগের চিকিৎসা করতে পারবেন না এবং ঘুম কম হওয়ার কারণ বের করতে পারবেন না।

তাই এই বিষয়ে আপনাকে জানতে হলে অবশ্যই আমাদের এই টপিকে আলোচনা গুলি বিস্তারিত জানতে হবে আর সেই সকল সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো এখন আমি। প্রথমত আপনার বাচ্চার যদি অসুখ হয়ে থাকে অথবা সর্দি কাশি হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার বাচ্চার ঘুম কম হয় অর্থাৎ দেখা যায় রাত্রে জেগে ওঠে কান্না করে।

আবার অনেক শিশু কিন্তু রয়েছে যারা আলোতে ঘুমাতে পারে না সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে অন্ধকার রুমে শিশুকে ঘুমাতে দিতে হবে কারণ তাকে যদি আলোতে রাখেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু তার ঘুম কম হবে অর্থাৎ সে রাতে ঘুমাতে পারবে না এবং কান্না করবে তাই এ বিষয়ে আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে তাহলে পরবর্তীতে আপনার শিশুর এই সমস্যাটি হবেন।

আবার বর্তমান সময়ে এসে দেখা যায় প্রত্যেকটি মানুষের ভাবে ভাবে টেলিভিশন রয়েছে এবং স্মার্টফোন রয়েছে স্মার্ট ফোন তো আর ছোট ছেলেরা ব্যবহার করতে পারে না তবে টেলিভিশন এটা কিন্তু ছোট থেকেই বাচ্চাদের ব্রেনে ঢুকে যায় যদি বাচ্চাদের সামনে অতিরিক্ত টেলিভিশন ব্যবহার করা হয় সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।

আপনি যদি বাচ্চার ঘুমানোর সময় টেলিভিশন চালু করে রাখুন সে ক্ষেত্রে কিন্তু অনেক বাচ্চা ঘুমাতে চায়না এবং তাদের ঘুমের ঘাটতে হয়। বাদশা যদি বিছানায় প্রসব করে দেয় সে ক্ষেত্রে কিন্তু তাকে বেশি সময় ধরে ভিজা প্যান্ট পরিয়ে তোলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু বাচ্চা ঘুমাতে পারে না এবং তার ঘুম ভেঙ্গে যায় যে ক্ষেত্রে ঘুমের ঘাটতি রয়ে যায়।

ছোট থেকে বড় সকলেরই কিন্তু অনেক সময় স্বপ্ন আসে সে ক্ষেত্রে কিন্তু ছোট বাচ্চাদেরও অনেক সময় স্বপ্ন আসতে থাকে সে ক্ষেত্রে যদি কোন শিশুর অতিরিক্ত স্বপ্ন আসে তাহলে কিন্তু তার ঘুমের ঘাটতি হয় তবে এটি আপনা আপনি ঠিক হয়ে যাবে এর জন্য ডাক্তারের প্রয়োজন হবে না। বাচ্চার যদি কোন ধরনের অসুখ অথবা পেটের ব্যাথা থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে ঘুম ভেঙে যেতে পারে।

তো বন্ধুরা এরকম অনেকগুলো কারণ রয়েছে যে কারণে বাচ্চাদের ঘুম কম হয় এবং ঘুমের ঘাটতি ঘটে তাই অবশ্যই আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে সেই সকল উপায় গুলো অবলম্বন করে শিশুর লালিত পালিত করার যেগুলো অবলম্বন করে শিশুদের ঘুমের ঘাটতি হবে না এবং শিশুদেরকে রোগে ভুগতে হবে না আশা করি পরবর্তী থেকে সতর্ক থাকবেন।

ইসলামে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত

প্রত্যেকটি মানুষের কিন্তু শরীরের বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে যার কারণে মহান আল্লাহ তা'আলা মানুষদেরকে ঘুমানোর জন্য রাত্রি দিয়েছে ঘুম আল্লাহর তরফ থেকে একটি নেয়ামত। আমরা সব সময় মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করব যে তিনি আমাদেরকে বিশ্রাম করার জন্য এত সুন্দর একটি রাত দিয়েছেন।
ইসলামে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত
তবে অবশ্যই আমাদের ভেতরে অধিকাংশ মানুষ এই রাতে বিশ্রাম করিনা অর্থাৎ রাত জেগে অন্যান্য কাজ করি এবং অনেকের দিনে বিশ্রাম করি এটা কিন্তু আপনাদের একদমই করা উচিত না কারণ মহান আল্লাহ তায়ালা রাতকে বিশ্রামের জন্য সৃষ্টি করেছেন তাই আপনারা সবাই চেষ্টা করবেন রাত্রে ঘুমানোর এবং দিনে কাজ করার।

এখন আপনাদের ভেতরে অনেকেই এই প্রশ্নটা করতে পারেন যে সেটা না হয় বুঝতে পারলাম যে আমরা রাত্রে ঘুমাবো কিন্তু আমরা রাত্রে কতক্ষণ ঘুমাবো অথবা কতক্ষণ ঘুমানোর কথা বলা হয়েছে। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন রাত্রে যত দ্রুত পারো ঘুমিয়ে যাও তাই বলে কিন্তু এশার নামাজ না পড়ে ঘুমানো যাবে না।

ইসলামের কথা অনুযায়ী আপনি এশার নামাজের কিছুক্ষণ পরে ঘুমিয়ে যাবেন এবং ভোরে উঠতে হবে এই অভ্যাসটা অনেক ভালো এবং শরীরের জন্য এটা অনেক উপকারী। দেখুন আপনি যদি রাত্রে সঠিক পরিমাপের না ঘুমান তাহলে কিন্তু সেই ক্ষেত্রে আপনি আপনার শরীরের শক্তি অনুভব করতে পারবেন না অর্থাৎ আপনাকে নিজেকে শক্তিহীন মনে হবে।

এবার চলুন আসি মেইন পয়েন্টে আপনাকে দিনে সর্বোচ্চ সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে তার চাইতে বেশি ঘুমানো উচিত নয়। আপনি যদি এই পরিমাণ বিশ্রাম আপনার শরীর কেন হবে তাহলে কিন্তু সেই ক্ষেত্রে আপনার শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে এবং আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন কারণ শরীরের বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে।

আর আপনি যদি আপনার শরীরকে বিশ্রাম না দেন তাহলে কিন্তু কোন ভাবে আপনার সুস্থ থাকবেন আবার খারাপ আপনি অসুস্থতায় ভুগবেন। ইসলামের কথা অনুযায়ী দিনে সর্বোচ্চ সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমাবেন এবং যত দ্রুত পারেন রাত্রে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন এবং ভোরের নামাজের আগে ওঠার চেষ্টা করে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করবেন।

শুধু যে ঘুমের ক্ষেত্রে আপনি আল্লাহ তায়ালার আদেশগুলো গ্রহণ করবেন সেটা কিন্তু না আপনাকে পরিপূর্ণভাবে মুসলিম হতে হলে মহান আল্লাহ তায়ালার সকল আদেশ গুলি মেনে চলতে হবে এবং প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে তরিকায় জীবন যাপন করতে বলেছে সেটা জীবন যাপন করতে হবে। আশা করি আপনার উত্তরটি পেয়ে গেছেন।

ইসলামে ঘুমানোর সঠিক নিয়ম

ঘুম আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বিশেষ একটি নিয়ামত এবং আল্লাহ তায়ালা এই ঘুমকে তৈরি করেছেন আমাদের বিশ্রাম করার জন্য তাই অবশ্যই এই সময়টা আমাদের বিশ্রাম করতে হবে সময়টাকে নষ্ট করে দেওয়া যাবে না। আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে ঘুমানোর সঠিক নিয়ম ইসলামে কি বলে এবং কিভাবে ঘুমানো উচিত।
ইসলামে ঘুমানোর সঠিক নিয়ম
সর্ব প্রথমে ঘুমানোর আগে আপনার সুন্নতগুলো অনুসরণ করতে হবে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে তরিকায় ঘুমিয়েছেন সেই তরিকাগুলো মেনে ঘুমাতে হবে তাহলে দেখবেন আপনার ঘুমটা অনেক শান্তির হবে এবং আপনি পরকালে অবশ্যই কিছু না কিছু একটা পাবেন তাই আপনি ঘুমের নিয়ামতটাকে নষ্ট করবেন না।

আর হ্যাঁ ইসলামের কথা অনুযায়ী একটি মুসলিমের যত দ্রুত সম্ভব ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত অতিরিক্ত রাত জেগে থাকা উচিত নয় কারণ আপনি অতিরিক্ত রাত ধরে জেগে থাকলে ইসলামের কথা মেনে ঘুমানো হবে না এবং আপনার অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে দেখা যাবে শরীরের ক্লান্তি বোধ হচ্ছে অথবা বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে এটা চিকিৎসা বিজ্ঞান পর্যন্ত পরীক্ষা করে দেখেছে।

আরেকটি নিয়ম হল অবশ্যই আপনাকে দ্রুত সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে এবং আল্লাহ তাআলার ইবাদত বন্দেগী করতে হবে কারণ আপনি যদি এটি না করেন তাহলে কিন্তু আপনার ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী ঘুমানো হবে না এবং অবশ্যই আপনাকে ঘুমানোর সময় ঘুমানোর জন্য যে সকল দোয়া গুলো পাঠ করতে হয় পরে ঘুমাতে হবে।

আপনাকে ঘুমানোর সময় সব সময় ডান পাশ হয়ে ঘুমাতে হবে এবং আপনার হাতের তালু আপনার মুখের নিচে দিয়ে ঘুমাতে হবে। আপনি যদি ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী সঠিক নিয়মে ঘুম যান তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার শরীরের ক্লান্তি থাকলে সেটি দূর হয়ে যাবে এবং ঘুম একটি আরামদায়ক জিনিস যেটি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ করে।

ঘুমানোর সময় অবশ্যই আপনাকে জিকির-আজকার করতে হবে এবং আল্লাহ তাআলার নাম নিয়ে ঘুমাতে হবে কারণ মহান রব্বুল আলামীন আপনার দেহ থেকে জানটাকে নিয়ে নেয় এবং বার আবার যখন আপনাকে জানটা ফিরিয়ে দেয় তখন আপনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন রাত্রে অতিরিক্ত রাত না জেগে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার।

কারণ আপনি যদি দ্রুত ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার তাহাজ্জুদের ওঠার জন্য শরীর একদম প্রস্তুত হয়ে উঠবে অর্থাৎ আপনার ঘুমের ঘাটতি গুলো পূরণ হয়ে যাবে আবার আপনি ভোরের নামাজের জন্য শরীরে শক্তি পেয়ে যাবেন আপনার দুর্বলতা অনুভব হবে না তাই আমি বলব যে আপনি অবশ্যই ইসলামের বিধানগুলো অনুসরণ করে ঘুমাবেন।

কারণ আপনি যদি ইসলামের বিধিবিধান গুলো মেনে ঘুমান এবং সকল নিয়ম গুলো মেনে চলেন তাহলে অবশ্যই আপনি উপকারিত হবেন পরকালে এবং পৃথিবীর জীবনে দুটোতে। মহান রাব্বুল আলামিন যেন আমাদেরকে সকল আমল গুলি মেনে চলার তৌফিক দান করেন সবাই বলি আমিন।

ফজরের পর ঘুমালে কি কি ক্ষতি হয়

ইসলামিক দৃষ্টিতে সকলেরই কিন্তু ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়া উচিত কিন্তু আমরা অনেকেই ফজরের নামাজ পড়তে যাই আবার অনেকেই পড়তে যায় না সে সময়টা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়।আসলে একজন মুসলিম হিসেবে আপনার কর্তব্য নিয়মিত ফজরের সালাত আদায় করা কিন্তু আপনি একজন মুসলিম হয়েও আদায় করেন না।

তাই বলে এটা ভাববেন না আমি সকলকে বলছি অনেকে কিন্তু ফজরের সালাত এবং পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করেন তাদের জন্য আলহামদুলিল্লাহ আপনারা আরো বেশি বেশি করে আল্লাহ তাআলার হুকুম মেনে চলার চেষ্টা করবেন। তবে আবার অনেকে আছে যারা ফজরের সালাত আদায় করে কিন্তু সালাত আদায় করার পরে ঘুমিয়ে পড়ি।

এটা কিন্তু একজন মুসলিম হিসেবে একদমই উচিত নয় কারণ ফজরের সালাত আদায় করার পরে আপনার বুঝি হয় কোরআন তিলাওয়াত করা অথবা আল্লাহ তায়ালার নিজেকে অস্কার করা এবং নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে ফজরে নামাজ শেষে যেগুলো করতে বলেছেন সেই নির্দেশ গুলো মেনে চলা।

যদি আপনি এগুলো মেনে চলতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি উপকারিত হবেন পৃথিবীতে এবং আখিরাতে। তাই আপনি একজন মুসলিম হয়ে থাকলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন ভোরের সময় না ঘুমিয়ে আল্লাহতালা জিকির আজকার করা অথবা কোরআন তেলাওয়াত করা আর সময় হয়ে গেলে হালাল রিজিকের সন্ধানে যাওয়া।

এখন আসি মেইন কথায় আপনারা অনেকেই জানতে চান যে ফজরের পরে ঘুমালে আমাদের দেহের কি কি ক্ষতি হয় আসলে আমরা যদি ফজরের পরে ঘুমাই তাহলে দেখুন আমাদের অতিরিক্ত ঘুম হয়ে যাবে কারণ ইসলামিক দৃষ্টিতে বলেছে তোমরা এশার নামাজের পরে ঘুমিয়ে যাও অযথা কথাবার্তা বলে সময় নষ্ট করো না এবং ফজরের নামাজের সময় নামাজ আদায় করো।

এখন আপনি যদি মুসলিম হয়ে এই বিক্রি লক্ষ্য করেন তাহলে আপনি যদি আবার ফজরের নামাজ আদায় করার পরে ঘুমিয়ে যান সে ক্ষেত্রে আপনি বুঝতে পারছেন আপনার অতিরিক্ত ঘুম হয়ে যাবে যেহেতু একটি মানুষের প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত তাই অতিরিক্ত ঘুমালে আপনার ক্ষতি হতে পারে তার জন্য আপনার পরিচিত হবে ফজরের নামাজ পড়ে না ঘুমানো।

ফজরের নামাজ পড়ে অবশ্যই চেষ্টা করবেন রাসূল সাল্লাল্লাহু সালামের শুন্যগুলো মেনে চলার। যদি আপনি আল্লাহতালা যে সকল কিছু বলেছেন সেগুলো মেনে চলতে পারেন এবং নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত অবলম্বন করে চলতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি উপকারী হবেন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।

তাই যারা ফজরের নামাজ আদায় করে অযথা সময় নষ্ট করতেন এবং ঘুমিয়ে যেতেন তারা আজকে থেকে এগুলো ত্যাগ করুন এবং আল্লাহ তায়ালার পথে সময় দিন। আশা করি আপনি আপনার এই প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে পেয়ে গেছেন।

কোন কোন সময় ঘুমানো উচিত নয়

আপনাদের ভেতরে কিন্তু অনেকেই রয়েছেন অথবা দেখা যাবে আপনি হয়তো নিজের দিকে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন। আপনি কিন্তু অনেক সময় ঘুমিয়ে থাকেন যে সময় ঘুমানো ইসলামিক দৃষ্টিতে একদমই উচিত না তাই আপনাকে অবশ্যই এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে এবং জানতে হবে যে কোন সময় ঘুমানো একদমই উচিত নয়।

আমরা সকলেই জানি এবং এই টপিকের ভেতরে আমি অনেকবারই কথাটি বলেছি আমাদের প্রত্যেকের উচিত রাত্রে দ্রুত ঘুমানো এবং এশার আজ নামাজের পরে ঘুমিয়ে পড়া অযথা গল্প গুজব না করে। এখন যেটা বলবো যে কোন সময় আপনার ঘুমানো উচিত ছিল সর্বপ্রথমত আপনার ঘুমানো উচিত নয় এশার নামাজের আগে এ সময়টা আপনার কখনোই ঘুমানো উচিত নয়।

এশার নামাজের আগে ঘুমিয়ে পড়লে আপনি কিন্তু এশার নামাজ মিস করে ফেলবেন এবং এশার নামাজ পড়তে পারবেন না তাই আপনার এশার নামাজের আগে ঘুমানো যাবে না এশার নামাজ পড়ে আপনাকে ঘুমাতে হবে আরেকটি কথা আপনার ফজর নামাজের সময় ঘুমানো একদমই উচিত নয় কারণ ফজরের সময় আপনাকে নামাজ আদায় করতে হবে।

আপনি যদি ফজরের সময় নামাজ আদায় না করে ঘুমিয়ে থেকে শয়তানের সমালোচনায় পড়ে সময়টাকে পার করে দেন তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার এটি বড় ভুল হবে কারণ ফজরের সময় একদমই ঘুমানো উচিত নয় ফজরের সময় ঘুম থেকে উঠে মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করা উচিত তাই আপনি আজকে থেকেই সতর্ক হোন।

আরো আরেকটি সময় যেমন ধরুন আপনার দুপুরের নামাজের পরে ঘুমানো যাবে সেক্ষেত্রে আপনি ঘুমাতে পারেন কিন্তু দুপুরের নামাজের শেষে ঘুমিয়ে যে আপনি পুরো বিকেল পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকবেন এটা করলে কিন্তু হবে না আপনাকে অবশ্যই যোহরের নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে বিশ্রাম নিতে হবে এবং বিশ্রাম নেওয়া হয়ে গেলে আসরের নামাজ আদায় করতে হবে।

এছাড়াও অনেকগুলো সময় রয়েছে যে সময়গুলো আপনার জন্য ঘুমানো একদমই উচিত নয় তাই চেষ্টা করবেন সেই সময়গুলোকে আল্লাহ তায়ালার পিছনে ব্যয় করার অন্য কোথাও অযথা সময় নষ্ট না করার। আপনি যদি এভাবে জীবন যাপন করতে পারেন তাহলে অবশ্যই পৃথিবী এবং আখিরাতে ভালো থাকবেন আল্লাহ তায়ালা যেন তার হুকুম অনুযায়ী আমাদের আমল করার তৌফিক দান করেন আমিন।

আমাদের শেষ কথা

আশা করি আপনি আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে শেষ করেছেন এবং এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ইসলামে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত এবং ইসলামে ঘুমানোর সঠিক নিয়ম কোনগুলো। আর যদি না বুঝতে পারেন তাহলে দয়া করে আরেকবার আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে নিবেন।

আর আমাদের এই লেখাগুলির মাধ্যমে আপনি উপকারিত হয়ে থাকলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন এই লেখাগুলো আপনার বন্ধুবান্ধব অথবা আত্মীয় স্বজনদের কাছে শেয়ার করে তাদেরকেও জানানোর সুযোগ করে দেওয়ার। আপনার জন্য এ বিষয়ে কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে আপনি কমেন্ট করে নিচে জানাতে পারেন।

এরকম নতুন নতুন তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এত দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে শেষ করার জন্য আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইটের তরফ থেকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url