বিশ্বের সেরা ১৫টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
বর্তমান সময়ে সকলেই তাদের যোগাযোগ এবং তথ্য আদান প্রদান বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ
ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে করতে হচ্ছে। আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই আজকে আপনাকে আমি
বলে দেবো পুরো বিশ্বের সেরা ১৫ টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোনগুলো সেই সম্পর্কে।
আমরা শুধু একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করিনি আরো দুইটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি
যেমন আপনি যদি জানতে চান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভালো দিক এবং খারাপ দিক
কোনগুলো সেই সকল সম্পর্কে আমরা আপনাকে আজকে বিস্তারিত সকল তথ্য জানাবো। আপনি
অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
পোস্ট সূচিপত্র : এই পোস্টের যে অংশ থেকে পড়তে চান, সেই অংশে ক্লিক করুন ✅
- ফেসবুক (Facebook)
- সাউন্ডক্লাউড (SoundCloud)
- ইন্সটাগ্রাম (Instagram)
- টাম্বলার (Tumblr)
- স্কাইপ (Skype)
- স্ন্যাপচ্যাট (SnapChat)
- হোয়াটস অ্যাপ (Whats App)
- ডেলিসিয়াস (Delicious)
- ভাইবার (Viber)
- পিন্টারেস্ট (Pinterest)
- গুগল প্লাস (Google)
- টুইটার (Twitter)
- টিকটক (tik tok)
- ফ্যান ফেয়ার (Fanfare)
- বঙ্গ (Bongo)
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভালো দিক
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর দিক
- শেষ বক্তব্য : বিশ্বের সেরা ১৫ টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
বিশ্বের সেরা ১৫টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
বর্তমান বিশ্বে অনেকগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে এবং সেগুলোর জন্য আমরা
অনেক উপকৃত হয়েছি কারণ আমরা আমাদের তথ্য আদান প্রদান সকল কিছু সে সকল সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা আমাদের তথ্য সকলের কাছে খুব সহজে আদান প্রদান করতে পারছি।
আবার অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে যেগুলো সাহায্যে আমরা সময় কাটাতে পারি।
কয়েকটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আমরা আমাদের ফ্রি সময়কে খুব দ্রুত
কাটিয়ে দিতে পারি এবং বিনোদন জাতীয় কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে। আজকে আমাদের
আর্টিকেলের ভেতরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এর সাথে পরিচিত হব।
তাহলে চলুন সেই সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো আপনাকে জানিয়ে দেই।
ফেসবুক (Facebook)
ফেসবুক বর্তমান সময়ে সবচাইতে জনপ্রিয় একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেটা মাধ্যমে
ছোট বড় সকলে তাদের সময়কে খুব সহজে কাটিয়ে দিতে পারে এবং আপনি আপনার যে কোন
তথ্য অন্যজনের সাথে আদান-প্রদান করতে পারছেন। এই ফেসবুকটি নির্মাণ করা হয় ২০০৪
সালের ৪ই ফেব্রুয়ারিতে এটি নির্মাণ করেন মার্ক জুকারবার্গ এবং তার চার বন্ধু
মিলে।
আপনার ভালো লাগতে পারে এরকম কিছু পোস্ট :
প্রথমের দিকে এরা চারজনে ব্যবহার করত পরে ধীরে ধীরে এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি
সকলের কাছে অনেক জনপ্রিয় একটি যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে ওঠে। এই ফেসবুক থেকে আপনি
মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে আপনার যে কোন ফ্রেন্ডের সাথে অথবা আপনার আত্মীয় স্বজনদের
সাথে নিমেষেই কথা বলতে পারেন এবং ভিডিও কলে কথা বলতে পারেন।
সাউন্ডক্লাউড (SoundCloud)
এটি তেমন একটি মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পায়নি তবে এরও অনেকগুলো গুণ রয়েছে যেমন
এই যোগাযোগ মাধ্যমে আপনি আপনার যে কোন অডিও ভিডিও সকল প্রকারের কন্টেন মানুষের
কাছে প্রচার করতে পারেন তবে যেহেতু এটার জনপ্রিয়তা মানুষের কাছে অনেক কম সেহেতু
আপনার পাবলিস্টিত ভিডিওগুলি তেমন একটি জনপ্রিয়তা পাবে না।
এটি তৈরি করা হয়ে থাকে সম্ভবত জার্মানিতে, জার্মানির একটি রাজধানীতে এটির
আবিষ্কার করা হয় তবে এটি সামাজিক যোগাযোগ এর দিক দিয়ে খুব একটা ভালো না এবং খুব
একটা খারাপও না আমি চাইলে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টি ব্যবহার করতে পারেন কারণ
কোন কিছুই সর্বপ্রথমে জনপ্রিয়তা পায় না জনপ্রিয়তা পেতে একটু দেরি হয়।
ইন্সটাগ্রাম (Instagram)
বর্তমান সময়ে খুব একটি পপুলার না হলেও এটি অতটাও দুর্বল একটি প্ল্যাটফর্ম নয়
এখানে বর্তমান সময়ে কিছু সংখ্যক হলেও মানুষ তাদের ভ্রমণের এবং তাদের বিভিন্ন পিল
অথবা ভিডিও তারা শেয়ার করে থাকে এবং ধীরে ধীরে দেখা যাচ্ছে ইন্সটাগ্রামের
ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তেই আছে সেহেতু বুঝতে পারছিলেন এটির জনপ্রিয়তা
এতে বেশি দেরি নেই এটি সম্ভবত তৈরি করা হয় ২০১০ সালের এবং তারপর থেকে এটির আস্তে
আস্তে জনপ্রিয়তার বাড়ছে। আপনি চাইলে আপনার যে কোন পিক অথবা ভিডিও এই সোশ্যাল
মিডিয়ায় আপলোড করতে পারেন।
টাম্বলার (Tumblr)
এটি একটি জনপ্রিয় অ্যাপস এখানে মানুষ তাদের বিভিন্ন ধরনের ভিডিও অথবা পিক সকলের
মাধ্যমে শেয়ার করে থাকে শুধু তাই নয় অনেক মানুষ আবার রয়েছে যারা এই
প্লাটফর্মের মাধ্যমে তাদের পণ্যের প্রচারিত করে থাকে এবং অল্প সময়ে তাকে পণ্যটি
অনেক ভালো একটি প্রচারিত জায়গায় চলে যায়। এটি তৈরি করার ফলে অনেকেই উপকার
হয়েছে এবং ভবিষ্যতের আরো অনেকে হবে বলে আমি মনে করি।
স্কাইপ (Skype)
এটাও ফেসবুকের মত একটি যোগাযোগ মাধ্যম যেটাতে আপনি আপনার আত্মীয়-স্বজন এবং
বন্ধুবান্ধবের সাথে খুব সহজেই অডিও অথবা ভিডিও কলে কথা বলতে পারবেন এবং বিভিন্ন
বার্তা আযান প্রদান করতে পারবেন। ফেসবুক যদি না থাকতো তাহলে অবশ্যই এই অ্যাপটিও
ফেসবুকের মতন জনপ্রিয়তা পেতে হলে আমি মনে করি। আপনি যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
খুঁজে থাকেন তাহলে এটি একটি ভালো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আপনি চাইলে ব্যবহার করতে
পারেন।
স্ন্যাপচ্যাট (SnapChat)
স্ন্যাপচ্যাট যেটি ছবি তোলার দিক দিয়ে মোস্ট পপুলার একটি অ্যাপস এই অ্যাপটি আবার
আসার পরে যারা ইস্মার্ট ফোন দিয়ে ছবি তুলে তারা একটি দারুণ এপ্স পেয়েছে বলে আমি
মনে করি এবং আপনারাও হয়তো লক্ষ্য করলে দেখবেন এই অ্যাপটি দ্বারা অনেক সুন্দর
ভাবে ছবি তোলা যায় এবং ছবিকে সুন্দর একটি লুকে পরিবর্তন করা যায়।
আরো পড়ুন : ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার ৮টি সেরা উপায়
বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ এই প্লাটফর্ম দ্বারা তাদের নিজস্ব ছবি তুলে থাকছে। শুধু
তাই নয় এটিতে ছবি তোলা ছাড়াও আপনি আপনার যেকোনো আত্মীয় স্বজনদের সাথে অ্যাপটির
মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবে এবং বিভিন্ন বার্তা আদান-প্রদান করার জন্য এটিও একটি
বেস্ট প্লাটফর্ম।
হোয়াটস অ্যাপ (Whats App)
হোয়াটস অ্যাপ যার কথা না বললেই নয় ফেসবুকের পরে যদি কোন সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমের অবস্থান থেকে থাকে তাহলে সেটি হল হোয়াটসঅ্যাপ কারণ হোয়াটসঅ্যাপে আপনি
আপনার ছবি আদান প্রদান করতে পারবেন এবং আপনার ছবি কোন প্রকার ফেটে অথবা আর যা
হয়ে যাবে না। আপনি বুলুটের মাধ্যমে যেভাবে ছবি পার করেন ঠিক তেমন সুন্দরভাবে ছবি
হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন।
হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া ছবি অনেক ক্লিয়ার হয়। শুধু ছবি আয়োজন প্রদান না এটি
সামাজিক যোগাযোগের একটি প্ল্যাটফর্ম বর্তমান সময়ে অনেক বড় বড় মানুষেরা হোয়াটস
অ্যাপ ব্যবহার করে থাকে কারণ হোয়াটসঅ্যাপ দ্বারা আপনার সকল কিছু সুবিধা হয়ে
উঠেছে। এখানেও আপনি ফেসবুকের মতন অডিও এবং ভিডিও কলে কথা বলতে পারেন যে কারো
সাথে।
ডেলিসিয়াস (Delicious)
এই ওয়েবসাইটটি ওয়েব বুক মার্ক করতে অনেক কাজে লাগে এটি অনেক কার্যকরী একটা
অ্যাপস যশুয়া সিস্টারের হাত ধরেছিল এবং পরবর্তীতে এটিকে টুইটার ক্রয় করে
নিয়েছিল। তবে এটি ওয়েব বুক মার্ক করার জন্য অনেক ভাল একটি মাধ্যম ছিল। তবে এই
অ্যাপটির নাম খুব একটা তেমন সকলের কাছে শোনা যায় না অথবা জনপ্রিয় না।
ভাইবার (Viber)
এই একটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ২০১০ সালে আপনি ফেসবুকে যে সকল কাজগুলো করতে
পারছেন তার মধ্যেও ৬০ শতাংশ কাজ আপনি এটার মাধ্যমে করতে পারবেন যেমন ধরেন আপনি
ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন খুব সহজে তথ্য আদান প্রদান
করতে পারছেন আরো যে সকল নানান কাজগুলো করতে পারছেন সেই সকল কাজগুলোর মধ্য কিছু
অংশ কাজ এর সাথে অনেকটাই মিল রয়েছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন আপনি চাইলে এই
অ্যাপটির মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবেন।
পিন্টারেস্ট (Pinterest)
এই অ্যাপ্লিকেশনটিতে শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের পিকচার আপলোড করা হয় এবং অনেকেই
সেই পিকচার গুলোতে লাইক দেয় অথবা ডাউনলোড করে আপনিও চাইলে এই ওয়েবসাইটে আপনার
যেকোনো কোথাও ঘুরতে যাওয়া অথবা এমনি পিকচার আপলোড করতে পারেন এটি মোস্ট পপুলার
একটি বর্তমান সময়ের ব্যবহার অনেকেই করে থাকছে এবং এর ভেতরে অনেক মানুষ তাদের ছবি
আপলোড করে থাকছে। আপনিও চাইলে আপনার নিজের ছবি আপলোড করতে পারেন অথবা যে কোন
প্রাকৃতিক দৃশ্য ইত্যাদি সকল কিছু আপলোড করতে পারেন।
গুগল প্লাস (Google plas)
এই হ্যাপি যখন জনপ্রিয়তা পেয়েছিল তখন ফেসবুক অথবা যে সকল জনপ্রিয় অ্যাপস গুলো
রয়েছে সেই সকল জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলি ছিল না বলা যায় সর্বপ্রথম
গুগল প্লাস একটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল তবে এখনো গুগল একটি সার্চ
ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহৃত হয় মানুষ এখানে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সার্চ করে থাকে এবং
সকল তথ্যের সমাধান পেয়ে যায়।
টুইটার (Twitter)
বিশ্বের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুই নম্বরে রয়েছে টুইটার এখানে আপনি আপনার
প্রিয় মানুষ অথবা আপনার বন্ধুদের সাথে আপনার মনের ভাব প্রকাশ করতে পারবেন তবে
এটিতে ১৪০ ক্যারেক্টারে বেশি ব্যবহার করা যাবে না এই পরিমাণে আপনাকে অবশ্যই
সীমাবদ্ধ থাকতে হবে এবং এর মাধ্যমে আপনাকে আপনার মনের ভাব প্রকাশ করতে হবে।
মিলন মিলন বাংলাদেশ এই এপসটিকে ব্যবহার করে থাকছে বিশেষ করে বাইরের দেশের অধিকাংশ
মানুষ টুইটার ব্যবহার করে থাকে। টুইটার বর্তমানে একটি মোস্ট পপুলার এক হয়ে উঠছে
ধীরে ধীরে।
আপনিও চাইলে টুইটারের ব্যবহার করতে পারেন এই অ্যাপসটির ব্যবহার অনেক সহজ আর আপনি
যদি না পারেন তাহলে ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও অথবা বিভিন্ন ধরনের সার্চ ইঞ্জিলে
সার্চ করে জেনে নিবেন।
টিকটক (tik tok)
টিকটক যেটি একটি বিনোদনের জায়গা সকল মানুষ এটাকে একটি বিনোদন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে
বলে থাকে কারণ এই জায়গায় গেলে আপনার মন খুব সহজে ভালো হয়ে যায় টিকটকটিতে
আপনিও চাইলে আপনার নিজের ভিডিও অথবা নানারকম কনটেন্ট ভিডিও আকার অথবা অডিও আকারে
মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারেন।
এখন আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন ছোট থেকে বড় সকল প্রকার মানুষের কাছে
টিকটক একটি রয়েছে এবং তার ভেতরে অধিকাংশ মানুষ টিক টক এ বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট
পাবলিশ করে থাকে। টিক টক এর বেশিরভাগ বিনোদনমূলক কন্টেন্ট পাবলিশ করা হয় কারণ
এটি একটি বিনোদন সাইড হিসেবে ধরা যায়।
ফ্যান ফেয়ার (Fanfare)
এই অ্যাপসটি টিকটক এর মত একটি এটাও একটি বিনোদন প্ল্যাটফর্ম মানুষ টিকটক এর মতন
এখানেও বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট পাবলিশ করে এটি প্রচারিত হওয়া খুব একটি বেশি সময়
হয়নি মাত্র কয়েক বছর ধরে এটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে এবং বিভিন্ন টিকটকাররা এই
প্লাটফর্মটিতে গিয়ে তাদের কন্টেন্ট পাব।
বঙ্গ (Bongo)
লিশ এই অ্যাপটি সম্পন্ন ভিডিও মূলক সকল অভিনেতার এই অ্যাপ্লিকেশনটিতে নাটক অথবা
সিনেমা প্রচারিত করা হয় এবং অনেকে এই অ্যাপ এ গিয়ে সেই নাটক অথবা সিনেমাগুলি
উপভোগ করতে পারে তবে অবশ্যই এই অ্যাপটি আপনাকে ফ্রিতে একাউন্ট খুলতে দেবে না এর
জন্য আপনার বিকাশ থেকে ২০ টাকা পেমেন্ট দেওয়া লাগে। এই অ্যাপে যে সকল নাটক অথবা
মুভি গুলো প্রচারিত করা হয় সেগুলো কোনোভাবেই আপনি বাইরে পাবেন না ওই
অ্যাপ্লিকেশন দিতে গিয়ে তার পরে দেখা লাগবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভালো দিক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সকলের মাঝে এসে মানুষ অনেক উপকারিতা হয়েছে মানুষ চাইলে
তার আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবের সাথে খুব সহজে যোগাযোগ, তথ্য আদান-প্রদান
এবং ভিডিও অথবা অডিও কলে কথা বলতে পারছে আবার মানুষ তাদের ছবিকে সুন্দরভাবে
আকর্ষণীয় করে তুলতে পারছে। মানুষ তার ফ্রি সময় বিনোদনমূলক প্ল্যাটফর্ম গুলোতে
কাটাচ্ছে।
সকল তথ্য মানুষ সহজেই পেয়ে যাচ্ছে কোন দুর্ঘটনা অথবা কোন আবহাওয়া জলবায়ু
সম্পর্কে খবর এখন সকলে বাসায় বসে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমের ভেতর দিয়ে পেয়ে
যাচ্ছে। মানুষ তথ্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করতে পারছে এবং খুব অল্প সময়ে একটি
মানুষের সাথে আরেকটি মানুষের অনলাইনে বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে যাচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর দিক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন আমাদের উপকার করেছে তেমনি এটি আমাদের অনেকের ক্ষতি
করছে এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে এটি আমাদের কিভাবে ক্ষতি করে? দেখুন আপনি
যখন কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় কাটান তখন আপনার বাসায় কোন কাজ থাকলে
সেটিকে এড়িয়ে চলেন করতে চান না।
সব সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেতরে কেউ যদি আসক্ত হয়ে যায় তাহলে তার জন্য
এটি একটি ক্ষতিকর দিক। অবশ্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি ভালো দিক কিন্তু অনেক
মানুষ এটিকে খারাপ কাজে ব্যবহার করে অথবা দেখা যায় অতিরিক্ত সময় ধরে এইগুলো
নিয়ে সময় কাটায় তাদের জন্য এটি ক্ষতি করে।
আরো পড়ুন : ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করার ১০টি উপায়
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের অবশ্যই উপকার করে তবে এটাকে সবাই চেষ্টা করবে
সকলের উপকারে কাজে লাগানোর কারো ক্ষতি অথবা অতিরিক্ত সময় ধরে দেখে ব্যবহার করবেন
না আপনার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু সময় ব্যয় করবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন আপনি
অবশ্যই সতর্ক থাকবেন।
শেষ বক্তব্য ঃ বিশ্বের সেরা ১৫টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
আশা করি আপনি নিশ্চয়ই আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে
পড়লেন এবং আমরা এই আর্টিকেলটির ভিতর যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আলোচনা
করেছি সেই সকল আলোচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছে। যদি আমাদের ওয়েবসাইটের
মাধ্যমে আপনি উপকারিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই তথ্যগুলি আপনার বন্ধুর কাছে
শেয়ার করে তাকে জানানোর চেষ্টা করবেন এবং এরকম আরো তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব
সাইটের সাথে থাকতে পারেন। সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন এতক্ষণ ধরে আমাদের আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url