অতিরিক্ত চুল পড়া থেকে বাঁচার কার্যকরী ১০টি উপায়
প্রিয় পাঠক আপনার হয়তো ঘনঘন চুল পড়ে যাচ্ছে এবং এটার প্রতিরোধ করতে পারছেন না,
তাই অতিরিক্ত চুল পড়া থেকে বাঁচা কার্যকরী এগুলো সম্পর্কে জানার জন্য হয়তো আপনি
অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু কোথাও কোনো বিস্তারিত তথ্য জানতে পারছেন
না। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
আপনি যদি আমাদেরকে আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে চুল পড়ার থেকে বাঁচার কার্যকরী উপায়
এর সাথে সাথে আরও বেশ কিছু টপিক সম্পর্কে আলোচনা জানতে পারবেন যেমন অতিরিক্ত চুল
পড়া কিসের লক্ষণ অথবা কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায় এরকম আরো অনেকগুলো টপিক
সম্পর্কে আলোচনা করা জানতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
পড়তে থাকুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ এই পোস্টের যে অংশ থেকে পড়তে চান, সেই অংশে ক্লিক করুন
কোন ভিটামিনের অভাবে খুশকি হয়
আপনারা অনেকে এই বিষয়ে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে থাকেন যে আমাদের মাথায় অনেক
খুশকি দেখা যাচ্ছে এটা আসলে কেন হচ্ছে অথবা আমাদের শরীরে কোন ভিটামিনের অভাব যার
কারণে আমাদের মাথায় খুশকি রাখা যাচ্ছে। এই প্রশ্নটা সম্মুখীন আপনারাও অনেক সময়
হয়ে থাকেন কিন্তু তার যথাযথ উত্তর আপনারা দিতে পারেন না।
আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর দিতে আজকে আমি আপনাদেরকে বলবো আসলে মাথায় খুশকি
হওয়াটা কোন ভিটামিনের কারণে হয়ে থাকে তাই দেরি না করে আপনি নিচে যদি ফলো করেন
তাহলে অবশ্যই সেই তথ্যগুলি পেয়ে যাবেন তাহলে চলুন আর অযথা কথা না বাড়িয়ে মেইন
বিষয় নিয়ে আলোচনা করি।
অনেক সময় মাথায় খুশকি হয়ে থাকে আপনার হরমোনের কারণে অথবা ভিটামিন বি এর অভাবে
আমরা কিন্তু সকলেই জানি যে আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ভিটামিনের
কারণে প্রসারিত হয় এবং শরীরে যদি কোন ভিটামিন না থাকে তাহলে সেই মানুষ কিন্তু
কোন ভাবে বেঁচে থাকতে পারবে না বেঁচে থাকার জন্য ভিটামিনের প্রয়োজন প্রতি
আবশ্যক।
মাথার চুলে খুশকি হয় প্রথমত ভিটামিন বি এর অভাবে। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে থাকে
ভিটামিন বি এর অভাব যদি দূর হয়ে যায় তাহলে তার মাথায় আর কোন পুশকে থাকবে না।
তাই যদি কারো মাথায় অতিরিক্ত পরিমাণে খুশকি থাকে এবং চুল ওঠার মত সমস্যা হতে
থাকে তাহলে আপনারা ভিটামিন বি এর অপূরণ করতে যেগুলো করা উচিত সেগুলো করবেন।
সর্বপ্রথমে আপনি একটি মাথা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাবে এবং তার পরামর্শ
অনুযায়ী অনুযায়ী যে সকল কিছু আপনাকে করতে বলবে অথবা মেডিসিন খেতে বলবে সেগুলো
মেনে চলবেন তাহলে অবশ্যই আপনার খুশকির রোগ দূর হয়ে যাবে। আপনি যদি দ্রুত এটির
সমাধান না খোঁজেন তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে বড় কোন রোগ হয়ে যেতে পারে।
তাই মাথায় খুশকি রাখা দিলে যত দ্রুত পারেন ডাক্তারের কাছে চান এবং চিকিৎসা গ্রহণ
করুন। এখন নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কোন ভিটামিন অভাবে মাথায় খুশকি হয়।
আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তরটি এখন পেয়ে গেছেন।
মাথায় এলার্জি কেন হয়
প্রশ্নটা কিন্তু অনেকের কাছে থেকে পাওয়া যায় যে মাথায় অ্যালার্জি কেন হয় অথবা
মাথায় চুলকানি হওয়ার মেইন কারণ আসলে কি। আপনাদের এই প্রশ্নটা দূর করার জন্য আমি
আপনাকে যতটুকু পরিমাণ পারি সাহায্য করবো। আমি নিজে অ্যালার্জি কেন হয় অথবা এটি
হওয়ার মূল কারণ কি সে বিষয়ে আলোচনা করলাম।
১। আপনার মাথায় যদি অতিরিক্ত পরিমাণে উকুন থাকে তাহলে কিন্তু সে ক্ষেত্রে আপনার
মাথায় অ্যালার্জি হয় এবং আপনার মাথা সবসময় চুলকাতে থাকে তাই এর প্রতিরোধ করতে
হলে অবশ্যই আপনার উকুন মারার জন্য যে সকল পথ অনুসরণ করা উচিত সে সকল পথ অনুসরণ
করে চলতে হবে তাহলে দেখবেন আপনার উকুন এবং মাথার চুলকানি দুটোই দূর হয়ে গেছে এবং
আর পরবর্তীতে হবে না যদি আপনি মেরে ফেলেন।
আরো পড়ুনঃ ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ
২। আপনার মাথার তালু যদি সব সময় শুকনো হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু অনেক
সময় মাথা চুলকায় এবং এলার্জির মত ক্ষতিকর রোগ আক্রান্ত করে। তাই মাথাতে সব সময়
সরিষার তেল অথবা যে তেল গুলো ব্যবহার করলে মাথা সবসময় ভেজা ভাগ হয়ে থাকবে সে
তেল গুলো ব্যবহার করবেন তাহলে আপনার এলার্জির মতো সমস্যা হবে না।
৩। অনেক সময় কিন্তু মাথায় কোন ধরনের ইনফেকশন হয়ে গেলে সেখান থেকে মাথা চুলকায়
এবং এলার্জি হয়ে থাকে তাই যদি আপনার মাথা চুলকায় অতিরিক্ত পরিমাণে তাহলে আপনি
ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন এবং ডাক্তার যে ভাবে চলাফেরা করতে বলবে সেভাবে করবেন
তাহলে কিন্তু আপনি এলার্জির মতন রোগ থেকে বাঁচতে পারবেন না হলে পরবর্তীতে কিন্তু
বড় কোন ক্ষতি হতে পারে।
৪। আপনি দেখা যায় অনেক দিন ধরে চুলে তেল অথবা শ্যাম্পু কোনটাই করেন না সে
ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার মাথায় অনেক খুশকি হয়ে যায় উনি খুশকি গুলো থেকে মাথাতে
চুলকানির সমস্যা হয় এবং চুলকানি থেকে এলার্জির বড় কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়
এবং অনেক সময় দেখা যায় চুল উঠে পড়ে যাবে। তাই অবশ্যই আপনার মাথার ত্বকের যত্ন
নিতে হবে না হলে কিন্তু আপনার মাথায় এলার্জির বড় কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে যাবে।
৫। আপনারা কিন্তু অজান্তেই অনেক ধরনের শ্যাম্পু অথবা তেল ব্যবহার করে থাকেন
কিন্তু আপনারা কি একবারও এটা ভেবেছেন যেটি আপনি ব্যবহার করছেন মাথায় সেটি আপনার
মাথার জন্য কি ভালো নাকি খারাপ। সব সময় তেল কেনার সময় এটি দেখে নিবেন ডাক্তারের
মতামত নেবেন এবং দেখবেন যে কোন তেল ব্যবহার করলে মাথার উপকার হবে সেই তেল ব্যবহার
করবেন তাহলে আশা করি আপনার মাথায় এলার্জি সমস্যা হবে না।
আপনার মাথায় এলার্জির সমস্যা সাধারণত এই কারণগুলোর জন্য হয়ে থাকে এছাড়াও অনেক
ধরনের কারণ রয়েছে যেগুলো জন্য মাথায় চুলকানি হয় অবশ্যই আপনার মাথায় যদি
চুলকানি হয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং চেকআপ করবেন আপনার মাথায় আসলে
কি সমস্যা আছে যার কারণে আপনার মাথায় এলার্জি হয়েছে।
ডাক্তারের কাছে সব খোলামেলা ভাবে বলে দেবার আপনাকে ডাক্তার যে সকল মেডিসিন অথবা
যে দব্য গুলি ব্যবহার করতে বলবে আপনি যদি সেগুলি আপনি সেই দ্রব্য গুলি যদি
ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই আপনার মাথায় চুলকানির সমস্যা অর্থাৎ এলার্জি সমস্যা
দূর হয়ে যাবে।
অতিরিক্ত চুল পড়া থেকে বাঁচার কার্যকরী উপায়
অনেকের দেখা যাচ্ছে অল্প বয়সে মাথার চুল গুলো সব ঝরে যাচ্ছে এবং আপনারা হয়তো
জানেন মাথার চুল যদি ঝরে যায় তাহলে কিন্তু সেই ব্যক্তিটিকে দেখতে কতটা ভালো লাগে
না কারণ মানুষের বানানো হলো তার চুলে চুল যদি না থাকে তাহলে কিন্তু সেই
ব্যক্তিটিকে খুব একটা ভালো লাগে না আপনি যত সুন্দর দেখতে হন না কেন অনেক খারাপ
লাগে।
আপনাদের ভেতর অনেকের যদি এরকম চুল পড়া থেকে থাকে কিন্তু আপনারা কিভাবে চুল পড়ার
রোগ থেকে বাঁচবেন এই উপায় গুলি না জেনে থাকেন তাহলে সমস্যার কোন কারণ নেই আপনি
আমাদের এই পোস্টটি পড়তে থাকেন তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন কারণ আমি আপনাকে বলে
দেব অতিরিক্ত চুল পড়া থেকে বাঁচার কার্যকর উপায় সম্পর্কে।
আমি আপনাকে সর্বোচ্চ ১০ টি উপায় বলে দেব এগুলোর ভেতরে আপনি যদি সবগুলো মেনে চলতে
পারে তাহলে আমার বিশ্বাস আপনার ভালো হয়ে যাবে। আমি হয়তো অনেকক্ষণ ধরে আপনার
সাথে বকবক করছি চলুন আর সময় নষ্ট না করে আমি আপনাকে সেই উপায় গুলো সম্পর্কে
বিস্তারিত জানিয়ে দি। নিচে উপায় গুলো দেওয়া হলো।
১। যাদের গ্রামে বাসা তাদের কিন্তু বাড়ির আশেপাশে অনেক নিম গাছ থেকে থাকে এবং
যাদের শহরের ভেতরে বাসা তারা হয়তোবা নিম গাছ দেখতে পান অথবা পান না। যাদের শহরে
বসা তারা এরকম কোন প্রতিবেশী বা আত্মীয়-স্বজনদেরকে দেখবেন যাদের বাসার কাছে
নিমের গাছ রয়েছে এবং তাদের কাছে থেকে নিমের পাতা নিবেন।
মিমের পাতার নেওয়ার পর সে পাতাগুলোকে ডাল থেকে ভালোভাবে ঝরিয়ে পানির ভেতরে
ভালোভাবে রেখে দিন এবং সে পানিগুলোকে ভালোভাবে ফুটিয়ে সেই পানিগুলি দিয়ে ভালো
করে চুল ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি কয়েক সপ্তাহ ধরে এই নিয়মটি মেনে চলেন তাহলে
কিন্তু আপনার চুল পড়ার মত ক্ষতিকর রোগ হবে না।
২। অনেকে দেখা যায় এমন কিছু শ্যাম্পু অথবা সাবান মাথায় ব্যবহার করে যেগুলো
তাদের চুলের জন্য অনেক ক্ষতি হয় তার জন্য কিন্তু তাদের চুল ঝরে পড়ে যায়। তাই
আপনি যদি কোন শ্যাম্পু অথবা কন্ডিশনার ব্যবহার করেন তাহলে সেটা সম্পর্কে আগে
ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে যে এটি আমার মাথার জন্য কি উপকার নাকি ক্ষতি
করবে।
আপনি যদি যাচাই-বাছাই করে সকল দিক ভালো দেখে একটি শ্যাম্পু অথবা কন্ডিশনার মাথায়
ব্যবহার করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার চুল ঝরে পড়বে না আর আপনি যদি তার
উল্টোটা করেন সেক্ষেত্রে কিন্তু সেই শ্যাম্পু যদি ভালো না হয় তাহলে আপনার চুল
ঝরে পড়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই সতর্ক থাকবেন।
৩। আপনার বাসায় যদি অ্যালোভেরার গাছ থেকে থাকে তাহলে আপনি সেই এলোভেরা আপনার
মাথার চুলে ব্যবহার করতে পারেন এই ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার মাথার চুল পড়া বন্ধ
হয়ে যাবে কিন্তু আপনার বাসায় যদি এলোভেরা না থাকে তাহলে আপনি বাজারে গিয়ে
অ্যালোভেরা কিনে আনুন এবং সেটি ডাল থেকে জড়িয়ে নিবেন ভালোভাবে মাথায় ব্যবহার
করুন।
আপনি যদি মাথায় বেশ কিছুক্ষণ ধরে এটি দিয়ে রাখেন এবং পরবর্তীতে ধুয়ে ফেলেন
তাহলে তাহলে কিন্তু আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে তবে অবশ্যই এ পদ্ধতিটি আপনার
কিছুদিন অথবা কিছু সপ্তাহ অথবা কয়েক মাস পর ব্যবহার করতে হবে তাহলে চুলের আদ্রতা
বলেন থাকবে।
৪। অনেক সময় কিন্তু আমরা অতিরিক্ত দিন ধরে চুল পরিষ্কার করি না এবং চুলকে
অপরিষ্কার ভাবে রেখে দেই এর কারনে কিন্তু আমাদের চুলের গোড়ায় অনেক ময়লা জমে
যায় এবং পরবর্তীতে এই ময়লা জমার কারণে মাথায় এক ধরনের ইনফেকশনের তৈরি হয় যার
কারণে মাথার চুল উঠে পড়ে যায়। মাথার চুল ওঠা কিন্তু অনেক খারাপ লক্ষণ তাই
সবসময় মাথা পরিষ্কার রাখুন।
আপনি যদি মাথা সবসময় পরিষ্কার করে না রাখেন তাহলে দেখা যাবে ময়লা জমে জমে এমন
একটি পর্যায়ে চলে যাবে তখন আপনার মাথায় বড় কোন ধরনের রোগ সৃষ্টি হবে তাই সুস্থ
থাকতেই এই বিষয়ে সতর্ক থাকুন নাহলে পরবর্তীতে অনেক পস্তাতে হবে।
৫। আমরা কিন্তু অনেক সময় চুল ভেজা রেখে চিরুনি দিয়ে চুলকে হাতড়িয়ে থাকে সে
ক্ষেত্রে কিন্তু চুল উঠে পড়ে যায় কারণ ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া অনেক নরম হয়ে
থাকে যে ক্ষেত্রে আপনি যদি চিরুনি দিয়ে চুল হাত রান তখন আপনার চুলের গোড়ায়
জোরে আঘাত খাই যার ফলে চুল গোড়া থেকে উপরে চলে আসে।
আপনার ভালো লাগতে পারে এমন কিছু পোস্টঃ
আপনি যদি চুল পড়া রোধ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিন্তু এই দিকটির লক্ষ্য
করতে হবে যে চুল ভেজা রেখে কোন সময় আমি মাথা হাচাড়াবো না তাহলে দেখবেন আপনার
এদিক থেকে চুল পড়া অনেকটা কমে যাবে।
৬। প্রত্যেকটি মানুষের বাড়িতে কিন্তু রসুন থেকে থাকে কারণ রসুন হচ্ছে একটি মসলা
জাতীয় খাবার তাই এই মসলা জাতীয় খাবারটাকে কাজে লাগিয়ে কিন্তু আপনি আপনার চুল
পড়া বন্ধ করতে পারেন এবং আপনার চুল আরও ঘন এবং লম্বা করে তুলতে পারেন এর জন্য
আপনাকে একটি রসুন নিয়ে সেটি কি রস বের করে নিতে হবে।
সেই রসুনের রস যদি আপনি মাথায় ব্যবহার করেন তাহলে কিছুদিন ব্যবহার করার ফলে
কিন্তু আপনি একটি অসাধারণ ফল পাবেন দেখবেন আপনার মাথার চুল অনেক ঘন হয়ে যাচ্ছে
এবং আপনার মাথার যদি চুল পড়তে থাকে তাহলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
৭। প্রত্যেকটি মানুষের বাড়িতে যেমন রসুন রয়েছে তেমনি কিন্তু পেঁয়াজ রয়েছে
পেঁয়াজ রসুনের মতোই একটি মসলা জাতীয় খাবার এবং পেঁয়াজ ছাড়া কোন তরকারি রান্না
করা যায় না কারন আপনি যদি পেঁয়াজ ছাড়া কোন তরকারি রান্না করেন তাহলে সেটির
টেস্ট পাবেন না। তাই আমি মনে করি আপনাদের সকলের বাড়িতেই পেঁয়াজ রয়েছে।
যদি পেঁয়াজ থেকে থাকে তাহলে পেঁয়াজের গোড়া কেটে এই পেঁয়াজের রস আপনার মাথার
চুলে ব্যবহার করলে কিন্তু আপনার মাথার চুল অনেক ঘন হয়ে যাবে এবং চুল পড়ে যদি
কোন জায়গায় টাক পড়ে যায় তাহলে সেই ফাঁকা স্থানটি কিন্তু চুলে পরিপূর্ণ হয়ে
যাবে তাই আপনি কিন্তু চুল পড়া রোধ করতে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন।
৮। বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটি পুরুষ ধূমপান করছে এবং এখন এমন কিছু মহিলা দেখা
যাচ্ছে যারা ধূমপান করছে তারা কি এটা জানে যে ধূমপান করলে তাদের কত বড় ক্ষতি হয়
দেখবেন ধূমপানের প্যাকেটের ভেতরে লেখা থাকে যে ধূমপান মৃত্যু ঘটায় তারপরেও
প্রত্যেকটি মানুষ ধূমপান করছে আসলে চুল ঝরে পড়ার আরেকটি মেন কারন কিন্তু হচ্ছে
ধূমপান।
কেউ যদি ধূমপান অথবা মদ পান করে তাহলে কিন্তু তার মাথার চুল ঝরে পড়ে যাবে বলে
চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে থাকে। তাই আপনি যদি নিজের দেহের এবং মাথার চুল ঝরাতে না চান
তাহলে ধূমপান এবং মদ পান সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করুন। আপনি যদি ধূমপান পরিত্যাগ
করতে পারেন তাহলে চুল পড়া দূর হওয়ার সাথে সাথে আরো অনেক উপকার পাবেন।
৯। আপনার বাসায় যদি ডিম থেকে থাকে এবং তার সাথে মধু থেকে থাকে তাহলে কিন্তু এই
দুটো একসাথে মিশ্রিত করে চুল পড়া বন্ধ করা যেতে পারে। এর জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম
ডিমের কুসুম এবং ডিমের যে সাদা অংশ থাকে দুটো ভালোভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে এবং
তারপরে এগুলোর সাথে মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
যদি আপনার এই দুটোকে ভালোভাবে মিশিয়ে নেওয়া হয়ে যায় তখন আপনি এটি চুলে
ব্যবহার করুন এবং কিছুক্ষণ পরে এটিকে ধুয়ে ফেলুন তাহলে দেখবেন আপনার চুলে একটি
আলাদা পরিবর্তন আসবে। চুল পড়া বন্ধ করতে চাইলে এটা দিয়ে কিন্তু চুল পড়া বন্ধ
করা যায়।
১০। বর্তমান জামানার ছেলে-মেয়েরা কিন্তু অনেক সময় চুলে হিট দেয় এবং চুলকে
খাড়া এবং স্টেট করে রাখে কিন্তু তারা এইটা জানে না যে এর ফলে কিন্তু তাদের
মাথায় সমস্যা হয় এবং তাদের চুল এক সময় গিয়ে সব ঝরে যেতে পারে। তাই আমি বলছি
যারা এরকম কাজ করেন তারা আজকে থেকেই সতর্ক হয়ে যান না হলে পরবর্তীতে বিপদে
পড়বেন।
চুল চুলে কোন ধরনের হিট অথবা না জেনে কোন কিছু ব্যবহার করবেন না এতে করে আপনার
উপকার হবে আর যদি আপনি এগুলো না মেনে চলেন তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে আপনার হতে
পারে। তাই আপনি যদি বিপদে সম্মুখীন না হতে চান তাহলে উচিত হবে আমার বলে দেওয়া এই
উপায় গুলি অনুসরণ করে চলা।
আমি এতক্ষণ ধরে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে ১০টি সম্পর্কে আপনাকে জানালাম এই ১০ টি
উপায় যদি আপনার নিজের ওপরে প্রয়োগ করে জীবন যাপন করতে পারেন তাহলে আমার মনে হয়
আপনার কোন ভাবে চুল উঠে পড়বে না তবে আরো কিছু বেশ উপায় রয়েছিল সেগুলো আমি
বলিনি। তবে যে কয়টি বললাম এই কয়টি মেনে চললে আপনি উপকার পাবেন।
অতিরিক্ত চুল পড়া কিসের লক্ষণ
চুল পড়া কিন্তু অনেক খারাপ একটি লক্ষণ কিন্তু আপনারা অনেকে জানেন না যে চুল পড়া
আসলে কিসের লক্ষণ এবং আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর আমি দিয়ে দিচ্ছি কোন সমস্যা নেই
কিন্তু আপনি অবশ্যই আমি উপরে যেই নিয়মগুলি বলে দিয়েছি সেগুলো অনুসরণ করে চলবেন
তাহলে আপনার চুল পড়বে না। আর দেরি না করে আপনাকে সেই উপায় গুলি অর্থাৎ চুল
পড়ার লক্ষণ কোনগুলি সে সম্পর্কে জানাই।
১। দাঁতে অথবা মাড়িতে কোন ধরনের যদি সমস্যা থেকে থাকে তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে
সে কারণে কিন্তু তাদের মাথার চুল ঝরে পড়ে যেতে পারে। তাই কারো যদি যাতে অথবা
মাড়িতে কোন সমস্যা থাকে তাহলে তারা দ্রুত চিকিৎসা করান।
২। অনেক সময় দেখা যায় আপনারা বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপের ভেতরে থাকেন। চিকিৎসা
বিজ্ঞান বলে কোন ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপে থাকে তাহলে কিন্তু সে
ক্ষেত্রে তার মাথার চুল পড়ে যেতে পারে। তাহলে চুল পড়া আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে
অতিরিক্ত মানসিক চাপ।
৩। মানুষের দেহে এক ধরনের হরমোন থাকে যেটি যদি শর্ট হয়ে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে
কিন্তু মাথার চুল পড়ে যেতে পারে চিকিৎসা বিজ্ঞান একথা বলে থাকে তাই সে ক্ষেত্রে
আপনাকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তারের কথা অনুযায়ী
চলাচল করতে হবে। তাহলে কারো যদি চুল পড়তে থাকে তাহলে এটি কিন্তু হরমোন শট এর
লক্ষণ হতে পারে।
৪। কারো শরীরে যদি পুষ্টি এবং ভিটামিনের অভাব হয়ে থাকে এবং সে যদি দ্রুত তার
শরীরে ভিটামিন এবং পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে না পারে তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু
কিছুদিন পর দেখা যেতে পারে তার চুল বাধা থেকে ঝরে পড়ে যাচ্ছে। তাই চুল পড়ার
একটি লক্ষণ কিন্তু হতে পারে আপনার শরীরে পুষ্টির অভাবের কারণ।
৫। আপনি কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রচুর পরিমাণে টেনশন করে থাকেন
এবং সেটা নিয়ে সবসময় ভাবে ফলে কিন্তু আপনার মাথা ব্যথা হয় এবং আপনার মাথায় এক
ধরনের রোগের সৃষ্টি হয় যার কারণে আপনার মাথার চুল ঝরে পড়ে যায়। মাথার চুল ঝরে
পড়া একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত পরিমাণে টেনশন করা।
তো বন্ধুরা আমি যে কয়টি লক্ষণ বললাম এগুলো কিন্তু হতে পারে আপনার চুল পড়ার
কারণ। তাই আপনার যদি মাথার চুল পড়ে যায় তাহলে ভেবে নিবেন এগুলোর মধ্যে হয়তো
কোন কিছু আপনি না মেনে জীবন যাপন করছেন। এছাড়াও কিন্তু আরো অনেক লক্ষণ রয়েছে
তবে আমি শর্টকাট হিসেবে আপনাকে কয়েকটি বিষয় বললাম যেগুলো সম্ভবত বেশি হয়ে
থাকে।
কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায়
আপনার মাথার চুল কি ঝরে পড়ে যাচ্ছে এটা নিয়ে কি আপনি অনেক চিন্তিত আছেন এবং
আপনি কি জানতে পারছেন না এটা যে কোন ভিটামিনের অভাবে আপনার মাথার চুল পড়ে
যাচ্ছে। আসলে আপনি যদি না জেনে থাকেন যে কোন ভিটামিনের অভাবে আপনার চুল পড়ে
যাচ্ছে তাহলে কিন্তু আপনি এর চিকিৎসা করতে পারবেন না।
এর জন্য আপনাকে কিন্তু ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং ডাক্তারের কাছ থেকে ভালোভাবে
জেনে নিতে হবে যে আপনার শরীরে কোন ভিটামিনের অভাব রয়েছে যার কারণে আপনার মাথার
চুল ঝরে পড়ে যাচ্ছে। চুল পড়ার মেইন কারণ কিন্তু হচ্ছে আপনার শরীরে ভিটামিন সি
এর অভাব যার কারণে চুল পড়ছে।
তাই বলে যে শুধু ভিটামিন সি এর অভাবে আপনার মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে তাই না ভিটামিন
ও এর অভাবেও কিন্তু অনেক সময় মাথার চুল ঝরে পড়ে যাবে তাই এটি পরিপূর্ণভাবে
বিস্তারিত যদি আপনি জানতে চান তাহলে আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং দেখতে
হবে আসলে আপনার শরীরে দুইটার ভিতরে কোন ভিটামিনের পাওয়া যার কারণে মাথার চুল ঝরে
পড়ে যাচ্ছে।
আপনি যদি ডাক্তারের কাছে যান এবং এ বিষয়ে ভালো ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে থাকেন
তাহলে কিন্তু অবশ্যই আপনাকে ডাক্তার কিছু মেডিসিন দিবে এবং আপনার শরীরে যে
ভিটামের অভাব সে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে যে খাবার গুলো যে নিয়মগুলো মানা উচিত
সে সকল নিয়ম গুলি বলে দেবে তখন আপনি সেগুলো মেনে চলবেন।
চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধ
যাদের মাথার চুল ঝরে পড়ে যাচ্ছে তারা কিন্তু অনেক সময় আমাদের কাছে প্রশ্নটা করে
থাকেন যে চুল পড়ার জন্য অথবা চুল পড়া বন্ধ করার জন্য কোন ওষুধগুলি আমাদের
ব্যবহার করা উচিত হবে আসলে এটার সঠিক উত্তর আপনার রোগের যে চিকিৎসা করবে সে দিতে
পারবে তো আমি কয়েকটি ওষুধের নাম আপনাকে বলে দিতে পারি যেগুলো আপনি ব্যবহার করতে
পারবেন।
সেই ওষুধগুলোর মধ্যে একটি হলো যেটি আপনি মাথাযর যে জায়গায় চুল উঠে গেছে সেই
জায়গাতে লাগিয়ে রাখতে হবে দিনে এবং রাতে সে ওষুধটির নাম হচ্ছে স্প্লেন্ডরা
মিনোক্সিডিল বিপি(Splendora 5% minoxidil BP) এই ওষুধটি আপনি যদি কয়েকবার
ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
প্রিয় শুকটি কিন্তু ছেলে এবং মেয়ে দুজনেই ব্যবহার করতে পারবে যে কেউ যদি এটা
ব্যবহার করে তাহলে তার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে কিন্তু আরও আরেকটি ওষুধ রয়েছে
যেটি শুধু ছেলেরা ব্যবহার করতে পারবে সেটির নাম হচ্ছে ফিনাস্টেরাইড(Finasteride)।
চুল পড়া বন্ধ করার সবচেয়ে ভালো ওষুধ কিন্তু এই দুটো।
তবে হ্যাঁ এই দুটো সবচেয়ে ভালো ওষুধ হলেও আপনি সর্বপ্রথমে চেষ্টা করবেন
ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেকআপ করানোর এবং ডাক্তার যেটি বলবে সেই ওষুধটি গ্রহণ করার
তবে আমার জানা মতে থাকতে আর এই দুটোর ভিতর যে কোনো ব্যবহার করতে বলতে পারেন কারণ
এগুলো সবচেয়ে ভাল চুল পড়া বন্ধ করার ওষুধ।
লেখকের শেষ বক্তব্য
আশা করি আপনি আমাদের এই পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে শেষ করেছেন এবং এখন
নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কিভাবে আপনি চুল পড়া থেকে বাঁচবেন অথবা চুল পড়া বন্ধ
করার ঔষধ কোনগুলো এরকম আরো যে সকল বিষয় গুলি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম সকল বিষয়
বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।এরকম নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত
ভিজিট করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ঔষধ কি
আমাদের এই লেখাগুলির মাধ্যমে যদি আপনি উপকারিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই চেষ্টা
করবেন আপনার বন্ধুর কাছে এই লেখাগুলো শেয়ার করে দিয়ে তাকে জানানো। আপনি যদি আরো
অন্য কোন তথ্য সম্পর্কে জানতে চান তাহলে
এখানে ক্লিক করুন। আজকে এ পর্যন্তই
সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে
অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url