কিডনির সমস্যা বোঝার ১০টি উপায়


প্রিয় পাঠক কিডনির সমস্যা বুঝবেন কিভাবে এই বিষয়ে যদি আপনি না জেনে থাকেন এবং অনেক জায়গার এ বিষয়ে জানার জন্য খোঁজাখুঁজি করে যাচ্ছেন কিন্তু কোথাও কোনো বিস্তারিত তথ্য জানতে পারছেন না তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন আপনার জন্য।
কিডনির সমস্যা বোঝার উপায়
আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে জানতে পারবেন কিডনি রোগী কত দিন বাঁচে অথবা কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ ইত্যাদি আরো অনেকগুলো টপিক নিয়ে আলোচনা সম্পর্কে জানতে পারবেন তাই যদি আপনি এ সকল বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে দেরি না করে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ এই পোস্টের যে অংশ থেকে পড়তে চান, সেই অংশে ক্লিক করুন

কিডনি ব্যাথার লক্ষণ

আপনি যদি কিডনি ব্যথার লক্ষণকে খুঁজে থাকেন এবং এটা ভেবে থাকেন যে কিডনি ব্যথা হলে মনে হয় আমার কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে এটা সম্পূর্ণ আপনার ভুল ধারণা কারণ কিডনি ব্যথা হলে কিন্তু কিডনি নষ্ট হয়ে যায় না অথবা কিডনির কোন ধরনের সমস্যা হয় না মাঝে মাঝে কিন্তু এমনিতেই কিডনি ব্যথা হয়ে থাকে।

কিডনি ব্যথা সাথে সাথে যদি অন্য কোন লক্ষণ গুলো দেখতে পারেন যেরকম ধরেন পোশাবের পরিবর্তন অথবা আপনার ওজন অনেক আগের তুলনায় কমে গেছে আবার শ্বাসকষ্ট মানে শ্বাস নিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে এগুলো যদি দেখতে পান কিডনি ব্যথা সাথে সাথে তাহলে এটা আপনি বুঝে নিবেন যে আপনার কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে।

তখন আপনাকে কিন্তু ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং এই রোগের চিকিৎসা নিতে হবে কিন্তু আপনার যদি শুধু কিডনি ব্যথা হয় এবং এটি নিজে নিজেই সেরে যায় সে ক্ষেত্রে কিন্তু আমরা ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই কারণ আপনার কিডনির কোন সমস্যা হয়নি এই ব্যথাটি সম্পূর্ণ এমনিতেই হয়ে যাচ্ছে অথবা অন্য কারনে হচ্ছে।

তাই কিডনির ব্যথা হলেই যে কিডনি সমস্যা হয়েছে এবং কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে এটা কিন্তু না কিডনিতে কিন্তু মাঝে মাঝে এমনিতেও ব্যথা হতে পারে কিন্তু যদি এই ব্যথাটা অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পায় হোক এর সাথে সাথে কিছু আপনি লক্ষণ দেখতে পান সেই লক্ষণ গুলো অবশ্যই আমি নিচে আলোচনা করে রেখেছি নিচে পড়লেই বুঝতে পারবেন।

নিচের এই লক্ষণ গুলো যদি আপনি দেখতে পান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি শিওর হয়ে যাবেন যে আপনার কিডনি সমস্যা হয়েছে আর যদি শুধুমাত্র কিছুক্ষণের জন্য কিডনি ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে সমস্যা হয় না আশা করি আপনার এই প্রশ্নের উত্তর আপনি পেয়ে গেছেন।

কিডনি রোগ কি ভাল হয়

কিডনি রোগটি কি ভালো হয় অথবা কিভাবে এই রোগটি আমি ভালো করব? এই প্রশ্নটি আপনার ভেতরে সব সময় আসি শুধু আপনার ভেতরে আসে তাই না যে সকল কিডনি রোগী রয়েছে তাদের ভেতরে এই প্রশ্নটা থেকে যায় তাহলে চলুন আপনার এই প্রশ্নটার উত্তর আজকের জেনে নেওয়া যাক।

১। সর্বপ্রথম যেটি আসে সেটি হচ্ছে আপনার যদি একটি কিডনি নষ্ট হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি বেঁচে থাকবেন কোন সমস্যা হবে না কিন্তু আপনার যদি দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আপনি যদি এই রোগের প্রতিকার করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে অন্য কারো কাছ থেকে একটি নিতে হবে তাহলে কত বেঁচে থাকতে পারবেন।

২। কিডনি রোগ প্রতিকার করতে অবশ্যই ধূমপান ত্যাগ করতে হবে আপনি যদি একজন মাদকে আসক্ত ব্যক্তি হয়ে থাকেন এবং অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপান করে থাকেন তাহলে আজকে থেকেই আপনাকে প্রাণ ত্যাগ করতে হবে কারণ কিডনির ক্যান্সার অথবা কিডনির সমস্যার একটি মূল কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপান করা।

৩। মাছ মাংস এর সকল আমিষ জাতীয় খাবার না খেয়ে নিরামিষ খাবার খান যেমন শাকসবজি ফলমূল এগুলো আপনার খাবারের তালিকায় রাখুন তাহলে কিন্তু আপনার কিডনির সমস্যা থাকলেও সেটি দূর হয়ে যেতে পারে এবং যদি আপনার কি কোন ধরনের সমস্যা না থেকে থাকে এবং আপনি যদি শাকসবজি ফলমূল খান তাহলে আপনার কিডনির সমস্যা হবে না।

৪। কিডনির সমস্যা থেকে বাঁচতে আপনার সবচেয়ে ভালো একটি উপায় হবে কিছুদিন পর পর আপনার শরীরের চেকআপ করানো এবং দেখার যে আপনার শরীরে কোন ধরনের রোগের বাসা বেধেছে কিনা। আপনি যদি কয়েক মাস অথবা এক বছর পর পর নিজের দেহের চেকআপ করান তাহলে কিন্তু আপনি কিডনির মতো ভয়ংকর রোগের সমস্যায় করবেন না।

৫। আপনার যদি কিডনির সমস্যা হয় তাহলে কিন্তু আপনার পিঠে নিচের দিকে ব্যথা হবে তাই আপনার যদি এ ব্যথা দেখা যায় তাহলে সর্বপ্রথমে কোন দোকান থেকে একটি ওষুধ কিনে খান এবং নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ব্যাটারি যদি নিয়ন্ত্রণে আসে তাহলে তার পরের দিন ডাক্তারের কাছে যান এবং ডাক্তারের যে ওষুধগুলো গ্রহণ করতে বলে এগুলো করুন তাহলে ভালো হয়ে যাবে।

আমার এইসব কথা শুনে আপনি হয়তো এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে অবশ্যই কিডনির সমস্যা দূর হবে কিন্তু তার জন্য আপনাকে একটু পরিশ্রম করতে হবে এবং বেঁচে থাকার জন্য যদি সামান্য একটু পরিশ্রম করতে হয় তাহলে আমি মনে করি সেটি করা অবশ্যই আপনার উচিত। এখন নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কিডনির সমস্যা ভালো হয়।

কিডনির সমস্যা বোঝার উপায়

আপনারা কিন্তু অনেকে এটা বুঝতে পারেন না যে কিডনি সমস্যা কোন গুলি অথবা কোন সমস্যা গুলি হলে আমি বুঝতে পারবো যে আমার কিডনির সমস্যা রয়েছে। আপনারা এ বিষয়ে না জানার কারণে অনেক সময় ডাক্তারের কাছে গিয়ে ছোটাছুটি আপনাকে এই সামান্য বিষয়ে জানতে ডাক্তারের কাছে গিয়ে ছোড়াছুড়ি করতে হবে না।

আপনি যদি আমার এই লেখাগুলো পড়েন তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন কিভাবে কিডনির সমস্যা বোঝা যায় তাই আর দেরি না করে আমি নিজে বেশ কিছু উপায় বলে দিলাম আপনি সেই উপায়গুলো নিচে দেখে নিন। কিডনি সমস্যা বোঝার ১০ টি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

১। যদি আপনার পিঠে নিচের দিকে ব্যথা হয় সে ক্ষেত্রে কিন্তু বুঝে নিবেন এটি আপনার কিডনি সমস্যার জন্য হচ্ছে কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলে থাকে কারো যদি কিডনির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে তার পিঠে নিচের দিকে ব্যথা করতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে বিষয় কিন্তু সতর্ক হতে হবে এবং যদি আপনার পিঠে ব্যথা থাকে তাহলে ডাক্তারের কাছে গিয়ে সেটা চিকিৎ করতে হবে।

২। কিডনি রোগের সবচেয়ে বড় একটি লক্ষণ যেটি দেখা যাবে সেটি হচ্ছে পেশাবে পরিবর্তন আসবে। যদি আপনি দেখতে পান প্রতিদিন হিসাব করলে আগের তুলনায় এটি আলাদা একটি ধরনের হচ্ছে তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু এটি কিডনি ড্যামেজ এর লক্ষণ হতে পারে তাই ক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের কাছে দ্রুতযান এবং ডাক্তার যে সকল কাজগুলি বলে এগুলো মেনে চলুন।

৩। একটি ভয়ঙ্কর লক্ষণ কিন্তু হচ্ছে পেশাবের সাথে রক্ত বের হওয়া যদি আপনার পেশাবের সাথে রক্তপাত হয় অতিরিক্ত পরিমাণে এবং আপনি এটা নিয়ে অনেক ধার নিয়ে থাকবেন তাহলে আপনার ঘাবড়ানোটা একদমই ঠিক কারণ প্রসাবের সাথে যদি রক্ত যায় তাহলে এটি কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ বলা যায় তাই সে ক্ষেত্রেও কিন্তু আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

৪। যদি গরম সময় আপনার শরীরে সবসময়ই শীত বোধ হয় তাহলে বুঝে নিবেন এটি কিডনির সমস্যা হওয়ার একটি লক্ষণ এবং এই লক্ষণটি অনেক ভয়ঙ্কর আপনি গরমের সময়ও শীতে ভুগবেন তাই এই সমস্যা থেকে বাঁচতে আপনাকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং চিকিৎসা করাতে হবে।

৫। আপনার যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হয় অর্থাৎ আপনি ধীরে ধীরে শ্বাস নেন দ্রুত শ্বাস নিতে না পারে সেই ক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞান বলেছে কারো কিডনির সমস্যা হলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা সর্বপ্রথম চলে আসবে সে ধীরে ধীরে শ্বাস নেমে বড় বড় শ্বাস নিতে পারবে না। আপনার যদি এই সমস্যা হয় তাহলে আপনি কিছুটা হলেও বুঝে নিবেন যে আপনার কিডনির সমস্যা হতে পারে।

৬। অনেকের কিন্তু দেখা যায় সব সময় বমি বমি ভাব হয় এবং ওষুধ খেয়েও সে ভাবটাকে দূর করতে পারে না অর্থাৎ বমি মাঝে মাঝে হতে পারে। যদি এরকম সমস্যা আপনার হয় যে অতিরিক্ত পরিমাণে বমি হচ্ছে এবং এটি ঠিক হচ্ছে না তাহলে এটার দ্রুত চিকিৎসা করাতে হবে কারণ অতিরিক্ত বমি হওয়ার অর্থাৎ ঘন ঘন বমি হওয়ার একটি লক্ষণ হচ্ছে কিডনির সমস্যা।

৭। অনেক সময় আপনার চোখের চারিপাশ খুলে যেতে পারে এবং চোখ সবসময় জ্বালাপোড়া করতে পারে এক্ষেত্রে কিন্তু বুঝে নিতে হবে আপনার কিডনির সমস্যা হয়েছে কারণ কিডনির সমস্যা হলে চোখের চারপাশ খুলে যায়। তবে হ্যাঁ এটি অন্য কারণেও হতে পারে এর জন্য সবার আগে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

আপনাকে আপনার শরীর চেক করাতে হবে। কিন্তু আপনার যদি প্রসাবের সাথে অন্য কিছু বের হয় এবং আপনার চোখ চারিদিক ফলাফলা থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি শিওর হয়ে যাবেন যে আপনার কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে।

৮। অনেক ক্ষেত্রে কিন্তু কিডনির সমস্যা হলে ক্ষুধা কমে যায় অর্থাৎ আপনার কোন কিছু খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কমে যায়। আপনার ক্ষুধা লাগে না এবং আপনি কোন খাবার ভালোভাবে খেতে পারেন না। এটা যদি আপনার অনুভব হয় তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার কিডনির সমস্যা হয়েছে যার কারণে আপনার ক্ষুধা লাগছেনা।

কিডনির কার্যকারিতা কমে গেলে এটি দেখা যায় যে মানুষের ক্ষুধা অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যায় তাই আপনার যদি ক্ষুধা কমে যায় তাহলে আপনি ডাক্তারের কাছে যান এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলাচল করুন।

৯। আপনার লক্ষ্য করতে দেখতে পাবেন অনেক ছেলে মেয়ে অথবা বড় মানুষ রয়েছে যারা ঠিকমতো ঘুমোতে পারে না তাদের ঘুমে সব সময় ব্যাঘাত ঘটে এটা কিন্তু কিডনির সমস্যা হওয়ার লক্ষণ চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে থাকে যদি কোন ব্যক্তি ঘুমাতে না পারে এবং রুমে অনেক সমস্যা হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনারা বুঝে নিবেন যে আপনাদের হয়তোবা কিডনির সমস্যা হয়েছে।

১০। শরীরের চামড়া যদি ফেটে যায় এবং সব সময় শুষ্ক হয়ে থাকে আপনি যতই তেল মাখেন তাও যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত না হয় তাহলে সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে আপনার কিডনির সমস্যা হয়েছে কারণ কিডনির সমস্যা হলে এটি দেখা যায়।

কিডনি যখন আপনার শরীরকে পরিপূর্ণভাবে তার শক্তি প্রদান করতে পারে না তখন কিন্তু আপনার শরীরের চামড়া ফেটে যাই তাই অবশ্যই এই লক্ষনটি দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে যান এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

আপনি এই টপিকের যে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ১০ টি উপায় সম্পর্কে অর্থাৎ লক্ষণ সম্পর্কে জানতে পারলেন এগুলো যদি আপনার শরীরে দেখতে পারেন তাহলে বুঝে নিবেন যে সেই ক্ষেত্রে আপনার কিডনির সমস্যা হয়ে যায় যার কারণে এই সমস্যাগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে হচ্ছে। এই সমস্যা হলে কিন্তু আপনাকে দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

আপনি যদি ডাক্তারের কাছে না যান এবং এই রোগটি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়ে যায় তাহলে কিন্তু আপনার কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে তবে হ্যাঁ আপনি একটি কিডনি নষ্ট হলে হয়তো বেঁচে থাকতে পারবেন কিন্তু যদি আপনার দুই কিডনি যদি নষ্ট হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি পাবেন না। তাই সুস্থ থাকতে দেহের মরবো নিন।

কিডনি রোগী কতদিন বাঁচে

আপনারা অনেক সময় আমাদের কাছে এ প্রশ্নটা করে থাকেন যে আসলে কিডনি রোগীরা কত দিন বাঁচে আসলে এই প্রশ্নটার উত্তর অনেক সহজ এবং সেই উত্তরটা দেওয়ার জন্য আমি আজকে এখানে এসেছি তাহলে চলুন সে উত্তর সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত আলোচনা করে জানান। নিচে সকল বিস্তারিত আলোচনা।

চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে থাকে যে কারো যদি একটি কিডনি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কিন্তু সেই ব্যক্তিটি বেঁচে থাকতে পারে সে ক্ষেত্রে কিন্তু সেই ব্যক্তিটি মরবে না। আবার এটা বলা হয়ে থাকে যদি কারো দুইটা কিডনি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সে বাঁচতে পারবে তবে তার জন্য অবশ্যই তাকে একটি কিডনি প্রদান করতে হবে।

আপনার ভালো লাগতে পারে এমন কিছু পোস্টঃ

যে কিডনিটি আপনি তাকে দেবেন অবশ্যই সে কিডনিটি ভালো হতে হবে এবং যে ব্যক্তির কাছ থেকে কিডনি একটা আপনি নিয়ে নেবেন অবশ্যই সেই কিডনিটি ভালো কিনা সবার আগে যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। কোন ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মাদক গ্রহণ করে থাকে তাহলে কিন্তু তার কিডনিতে আপনার নেওয়া উচিত হবে না।

আপনি যদি একটি কিডনি নিতে চান এবং এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভালো থেকে একটা কিডনি ব্যবহার করতে হবে। আর হ্যাঁ আপনারা যারা ভাবছেন যে কিডনি রোগে কতদিন বাঁচে এটা কিন্তু বলা যাবে না যে কত দিন বাঁচে কারণ কেউ যদি দুইটি কিডনি নষ্ট হওয়ার পরেও কারো কাছ থেকে কিডনি নেই।

তাহলে কিন্তু সে মরবে না বেঁচে থাকবে কিন্তু যদি কারো দুইটা কিডনি নষ্ট হয়ে যায় এবং সে যদি কোন কিডনি না নেয় তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু দেখা যাবে অল্প কয়েক দিনের ভেতরে সে মারা যাবে। আশা করি আপনার এই প্রশ্নের উত্তরটি যথাযথভাবে পেয়ে গেছেন।

কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ

প্রশ্নটা কিন্তু অনেক সময় আমাদের কাছে আসে যে কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ কি আমরা কিভাবে বুঝব আমাদের কিডনিতে ইনফেকশন হয়েছে। আজকে আপনার এই প্রশ্নের উত্তরটি আমি সঠিকভাবে দিয়ে দেব আমি নিজে পাঁচটি কিডনি ইনফেকশনের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করলাম সেগুলো পড়ে নিন।

১। যদি আপনার রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়ে যায় অর্থাৎ অতিরিক্ত পরিমাণে রক্ত চাপা হয় সেক্ষেত্রে বুঝে নিবেন এটি আপনার কিডনি ইনফেকশন হওয়ার একটি বড় লক্ষণ। যখন আপনার কিডনি ইনফেকশন হবে তখন অবশ্যই আপনার অতিরিক্ত পরিমাণে রক্তচাপ বেড়ে যাবে।

২। অনেকের কিন্তু দেখা যায় ঘন ঘন প্রসব যদি কারো কিডনি ইনফেকশন হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তারেরা বলে থাকে সেই ক্ষেত্রে কিন্তু ঘন ঘন প্রসাব হতে পারে এবং প্রসাবের সাথে অনেক কিছু বের হতে পারে তাই যদি আপনি এটি দেখেন ভয় পাবেন না ডাক্তারের কাছে যান এবং এটার চিকিৎসা নিয়ে আপনার ইনফেকশন হলে সেটি দ্রুত সেরে যাবে।

৩। হঠাৎ যদি কারো স্বাস্থ্য ভালো থেকে স্বাস্থ্য অনেক খারাপ হয়ে যায় অর্থাৎ ওজন অনেক বেশি কিন্তু দেখতে পাচ্ছেন কিছুদিনের ভিতরে আপনার ওজন অনেক কমে গেছে। তাহলে এ ক্ষেত্রে বুঝে নিবেন আপনার কিডনির কোন ধরনের ইনফেকশন হয়েছে যার কারণে আপনার ওজন তো দ্রুত কমে যাচ্ছে। এটা কিডনি ইনফেকশনের একটি বড় লক্ষণ।

৪। অনেকের আবার কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ এটা হতে পারে যে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানি হওয়া অর্থাৎ সবসময় আপনার মনে হবে যে আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশের চুলকানি হয়েছে এবং আপনাকে সবসময় চুলকাতে মনে চাইবে এরকম ভোট যদি আপনারা হয় তাহলে বুঝে নিবেন আপনার কিডনি ইনফেকশন হয়েছে যার কারণে এটি হচ্ছে।

৫। কিডনি কোন ধরনের ইনফেকশন অথবা সমস্যা হলে কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ মাথা ব্যথা করে দেয় আপনার যদি মাথা ব্যথা করে এবং ওষুধ খেয়ে মাথা ব্যথা না সাড়ে তাহলে বুঝে নিবেন আপনার হয়তো বা কিডনিতে কোন ধরনের ইনফেকশন হয়ে গেছে যার কারণে আপনার অতিরিক্ত পরিমাণে মাথা ব্যথা করছে।

এখন পর্যন্ত আমি যে পাঁচটি লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করলাম এই পাঁচটি লক্ষণ যদি আপনার ভেতরে দেখা যায় তাহলে আপনি বুঝে নিবেন আপনার হয়তো বা কিডনিতে কোন ধরনের ইনফেকশন হয়েছে যার কারণে এই লক্ষণ গুলি দেখা যাচ্ছে তবে হ্যাঁ এছাড়াও কিন্তু আরো অনেকগুলো লক্ষণ আছে কিডনি ইনফেকশন হওয়ার।

আপনি যদি এই লক্ষণগুলো দেখে থাকেন আপনার ভেতরে তাহলে আপনি যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে যান এবং আপনার শরীরের চেকআপ করান এবং দেখুন আপনার কোন সমস্যা হয়েছে যার কারণে এই সমস্যাগুলো আপনার ভেতরে দেখা যাচ্ছে তাহলে ডাক্তার আপনার বলে দেবে যে আপনার কিডনির সমস্যা অথবা ইনফেকশন হয়েছে কিনা।

যদি ডাক্তার বলে থাকে যে হ্যাঁ আপনার কিডনির ইনফেকশন হয়ে গেছে তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্য ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে ইনফেকশন ভালো করতে হবে আর যদি ওষুধ খেয়ে ভালো না হয় তাহলে ডাক্তার যেটি আপনার করতে বলবে সেটি করবেন তাহলে অবশ্যই আপনার কিডনির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব দূর হয়ে যাবে। আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন।

লেখকের শেষ বক্তব্য

আশা করি আপনি আমাদের এই সম্পূর্ণ পোস্ট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে শেষ করেছেন এবং যদি আপনি না পড়ে থাকেন তাহলে আমি বলব আবার গিয়ে ভালোভাবে পড়ে আসুন এবং পড়া যদি হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন কিডনির সমস্যা বোঝার উপায় কোনগুলো অথবা আরও যে সকল বিষয়ে আলোচনা করেছিলাম সে সকল বিষয় সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পেরেছেন।

আপনি যদি আমাদের এই লেখাগুলোর মাধ্যমে উপকারিতা হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন এই লেখাগুলো আপনার বন্ধুর কাছে শেয়ার করে তাকে জানিয়ে দেওয়ার। এরকম নতুন নতুন তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আজকে এই পর্যন্ত এত দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url