ত্বকে অ্যালোভেরার উপকারিতা - অ্যালোভেরার রসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রিয় পাঠক ত্বকে অ্যালোভেরার উপকারিতা এবং অ্যালোভেরার রসের
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এই সম্পর্কে হয়তো আপনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু কোথাও
বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেননি। আপনি যদি এই বিষয়ে জানতে চান তবে আজকের এ
আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আপনি যদি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটা আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
আমরা শুধুমাত্র একটা টপিক নিয়ে আলোচনা করি নাই আমরা আরো বেশ কিছু টপিক নিয়ে
আলোচনা করেছি এই আর্টিকেলটির ভিতরে যেমন চুলের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা এবং
অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম এই সকল দিক সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কেও
বিস্তারিত জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটা আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
পোস্ট সূচীপত্র : এই পোস্টের যে অংশ থেকে পড়তে চান, সেই অংশে ক্লিক করুন
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো অ্যালোভেরার জুস তৈরির
নিয়ম,অ্যালোভেরার রসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ত্বকে অ্যালোভেরার উপকারিতা এবং
চুলের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা এই সকল দিকসহ আরো অনেক দিক সম্পর্কে আমরা
বিস্তারিত জানতে পারবো যদি এই সকল তথ্য আপনি জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে
আমাদের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম
অ্যালোভেরা খাওয়ার আগে সর্বপ্রথম যেটি আপনাকে করা লাগবে সেটি হল ভালভাবে এলোভেরা
টিকে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন তারপরে কোন চাকু বা ধারালো অস্ত্র দিয়ে অ্যালোভেরা
কে ভালোভাবে ছিলে ফেলুন তারপরে সেটিকে টুকরো টুকরো করে কার্টুন। এলোভেরাটি যখন
আপনি খাবেন তখন ভালোভাবে মুখে চিবিয়ে নিবেন তারপরে খাবে।
আরো পড়ুন ঃ গাজর খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়
আপনি যদি অ্যালোভেরা কে ভালোভাবে না চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন তাহলে এটি আপনার গলায়
আটকে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে এই অ্যালোভেরা সকালে খালি পেটে খেলে
খাওয়া শরীরের জন্য বেশি উপকারী। আপনি আপনার শরীরের ওজন কমাতে এলোভেরা এবং লেবু
মিশ্রিত করে খেতে পারেন এতে আপনার শরীরের ওজন একটু হলেও কমে যাবে।
তবে কি এক গ্লাস পানিতে এক
চা চামচ পরিমাণ এলোভেরা নিয়ে ভালোভাবে মিশ্রিত করে তারপরে তা খেলে শরীরে নানান
ধরনের উপকার আসবে তবে অবশ্যই এটি খাবার আগে খাবেন। তবে অবশ্যই এটি একটি নির্দিষ্ট
পরিমাণে গ্রহন করবেন অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে মার্কেটে ব্যথা হতে পারে।
ত্বকে অ্যালোভেরার উপকারিতা
আপনাদের মধ্যেও অনেকেরই দেখবেন ত্বকের অবস্থা খুব একটা ভালো না বা ত্বক নষ্ট হয়ে
যাচ্ছে সেই ক্ষেত্রে আপনি অ্যালোভেরা এলোভেরা ব্যবহার করতে পারে। কারণ এলোভেরাতে
আছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ এটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
আপনার মুখের কোন দাগ বা বরণের আবির্ভাব দেখা দিলে তা দূর করতে সাহায্য করে।
কেউ যদি এই এলোভেরা মুখে ব্যবহার করে তাহলে তার ত্বকের যৌবনকাল বৃদ্ধি পাবে এবং
তার ত্বকটির যৌবন কাল নষ্ট হবে না এবং অল্পতেই ত্বক নষ্ট হয়ে যাবে না। আবার
ত্বকের বলি রেখারোধ করে থাকে তোকে যে সকল দিক যে সব দিক দিয়েই
এলোভেরার উপকারিতা অপরিসীম। আবার আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশের গোড়ালি ফেটে যায়
এই গোড়ালি
ফাটাকে রোধ করতে পারে অ্যালোভেরা জেল। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা
অ্যালোভেরা জেল এর ব্যবহার জানে না এবং এটিকে ফেলে দেয়। আপনার বাসায় যদি
এলোভেরার কাজ থাকে তাহলে সেটিকে কোনদিনই ফেলবেন না কারণ এটি আপনার ত্বকের নানারকম
ভাবে সাহায্যে আসতে পারে শুধু
ত্বকের জন্য নয় এটি আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
তাই আসুন আমরা সকলেই এলোভেরা জেলকে সঠিক নিয়মে ব্যবহার করি।
অ্যালোভেরার রসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
অ্যালোভেরা
রস গ্রহণ করার সময় আপনাকে অবশ্যই সতর্কতা
অবলম্বন করে অ্যালোভেরা রস গ্রহণ করতে হবে। কেননা অতিরিক্ত পরিমাণে কোন কিছুই
আমাদের শরীরের জন্য উপকারী নয় তাই অবশ্যই এলোভেরা খাওয়ার সময় একটি সীমিত
পরিমানে খাবেন। অ্যালোভেরা রস অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে যেটা হয় যাদের শরীরে
এনার্জি আছে তাদের
শরীরে এলার্জি বৃদ্ধি করে তাই অবশ্যই আপনার শরীরে যদি
এলার্জি থাকে তাহলে অ্যালোভেরার রস গ্রহণ
করার সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন। যারা গর্ভবতী মহিলা আছে তারা ভুলেও
অ্যালোভেরার রস পান করবেন না কারণ এটি আপনার পেটে থাকা শিশুর জন্য অনেক ক্ষতিকর
একটি খাবার। আবার শরীরে গ্যাস সঞ্চালিত হয় তাই অবশ্যই
অ্যালোভেরার রস খাওয়ার সময় শরীরের পুরো পরিচয় লাভ করবেন আপনার যদি শরীরের
জন্য এলোভেরা রস ক্ষতিকর হয় তাহলে আপনি অ্যালোভেরার রস গ্রহণ করবেন না।
চুলের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা
চুলের যত্নে অ্যালোভেরার রস অনেক উপকারী এটি
চুলের সকল দুর্বল থাকে নষ্ট করে দেয় এবং চুলের গোড়াকে করে তোলে
মজবুত শক্তিশালী। আপনাদের মধ্যে অনেকেরই চুল ওঠার সমস্যা দেখা দেয় বা মাথায়
অনেক খুশকি এই খুশকির সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করে।নানারকম ব্র্যান্ডের
শ্যামপুর চাইতে এলোভেরার ব্যবহার অনেক ভালো
এলোভেরাতে থাকে নানান ধরনের পুষ্টিগুণ যদি চুলকে নানান দিক দিয়ে পুষ্টি জগতে
থাকে।চুলের গোড়াকে করে তোলে মজব তাই অবশ্যই আপনি আপনার মাথার চুলে এলোভেরা
ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালোভেরার জুস তৈরির নিয়ম
সর্বপ্রথম আপনাকে যেটি করা লাগবে সেটি হল অ্যালোভেরা টিকে ভালোভাবে পরিষ্কার জল
দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। পরিষ্কার ভাবে ধোয়া হয়ে গেলে তারপরে অ্যালোভেরার দুই
পাশে যে কাঁটাযুক্ত অংশ থাকে সেই কাটাযুক্ত অংশকে কেটে ফেলে দিতে হবে তারপরে
তার ভিতরে অ্যালোভেরা জেল ও পরিষ্কার পানি একটি ব্যালেন্ডারে করে ভালোভাবে
জুস বানিয়ে নিতে হবে।
অ্যালোভেরা পানিকে বিলিন্ডারিং করা হয়ে গেলে তারপরে এটিকে ভালোভাবে ছেঁকে নিতে
হবে। আপনি চাইলে কি অ্যালোভেরা জেল এর ভিতরে মধু বা চিনি মিশিয়ে জুস বানিয়ে
খেতে পারেন। এই নিয়মগুলি অনুসারে অ্যালোভেরা জুস তৈরি করতে পারবেন। অ্যালোভেরা
জুস পান করলে শরীরে রক্ত চলাচল করতে সুবিধা হয়।
শরীর কে নানান ধরনের পুষ্টি
প্রদান করে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগের সাথে
মোকাবেলা করে। অবশ্যই এলোভেরা জুস তাদের খাবারের তালিকায় রাখা উচিত।
লেখকের মন্তব্য
আপনি অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে
পড়েছেন। আমরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে কোন কোন বিশেষ দিনগুলো তুলে ধরেছে সেগুলো
সম্পর্কেও হয়তো আপনি জেনে গেছেন। আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে
উপকারিতা হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুর কাছে
শেয়ার করুন এবং তাকেও জানাতে সাহায্য করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url