ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করার ১০টি উপায়
প্রিয় পাঠক ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কাজ করা শুরু করবেন কিভাবে এই সম্পর্কে জানার
জন্য হয়তো আপনি অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু কোথাও কোনো বিস্তারিত
তথ্য জানতে পারছেন না, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য।
আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করেন তাহলে বুঝতে পারবেন ইউটিউব মার্কেটিং
কি অথবা ইউটিউব মার্কেটিং কেন করবেন এরকম আরো অনেক বিষয় যদি আপনি সে বিষয়গুলো
সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেল অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ
সহকারে পড়বেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ এই পোস্টের যে অংশ থেকে পড়তে চান, সেই অংশে ক্লিক করুন
ইউটিউব মার্কেটিং কেন করবেন
আপনি হয়তো লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন বর্তমান সময়ের প্রত্যেকটি মানুষ যে কোন
সমস্যার সমাধান খুঁজতে ইউটিউব এ গিয়ে সার্চ করে কারণ মানুষ এখন পড়ার চাইতে
ভিডিও দেখতে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এখন আপনি যদি ইউটিউবে মার্কেটিং করেন তাহলে
বুঝতেই পারছেন আপনি দ্রুত আপনার মার্কেটপ্লেসটাকে দাঁড় করাতে পারবেন।
মানুষ এখন তার বিভিন্ন ফানি কন্টেন বলেন অথবা ভিডিও কনটেন্ট যেকোনো ধরনের কনটেন্ট
তারা ইউটিউব এ ভিডিও আকারে থেকে থাকে তাহলে আপনি একটা জিনিস খেয়াল করেন বর্তমান
সময়ে যেহেতু সকল মানুষ ইউটিউব এ ভিডিওর মাধ্যমে টাকা আয় করছে এবং তথ্য আদান
প্রদান করে যাচ্ছে তাহলে কেন আপনি করবেন না।
বর্তমানে পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ভিডিও অ্যাপ হচ্ছে ইউটিউব। যেখানে
প্রায় সকল মানুষ তাদের সকল তথ্য সার্চ দিয়ে থাকে এবং সেখান থেকে তথ্য গুলি
নিয়ে যাই। আবার আপনি ইউটিউব যদি মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনার এক এক টাকাও খরচ
হবে না। আপনি যদি বিনা পয়সায় টাকা উপার্জন করতে পারেন তাহলে কেন এই সুযোগটা
আপনি নিবেন না।
ইউটিউবে আপনি ভিডিও ছাড়তে পারবেন তাই না ইউটিউবে ভিডিও দেখানোর মাধ্যমে আপনার যে
কোন ব্যবসা কিন্তু থাকলে তার করতে পারবেন এটি খুব সহজে পাওয়া যায়। এখন আপনি
একবার ভেবে দেখুন ইউটিউব মার্কেটিং করে যদি এত সহজে টাকা ইনকাম করা যায় তাহলে এই
সুযোগটাকে আপনি কেন ছেড়ে দিবেন।
এখন আপনি নিজে নিজে প্রশ্ন করবেন বুঝতে পারবেন ইউটিউব মার্কেটিং আসলে আমাদের কেন
করা উচিত। যদি আপনি বুঝতে পারেন নিজে নিজে প্রশ্ন করে যে আসলে আমার বসে না থেকে
ইউটিউব মার্কেটিং করা উচিত তাহলে আর দেরি না করে এখনই ইউটিউব মার্কেটিং এর কাজ
শুরু করে দিতে পারেন কারণ এখান থেকে টাকা ইনকাম করা খুবই সহজ।
ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করার উপায়
আপনি ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করার চিন্তা ভাবনা করছেন কিন্তু ইউটিউব
মার্কেটিং নিয়ে কিভাবে কাজ শুরু করবেন অথবা এর উপায় কি সেটা জানেন না। আপনি যদি
কোন কাজ করতে চান কিন্তু সে কাজ করার উপায় না জানেন তাহলে কিন্তু কোনোভাবে সে
কাজটি করতে পারবেন না। তাই সর্বপ্রথমে আপনি যে ক্ষতি শুরু করতে যাচ্ছেন তার
বিষয়ে জানা লাগবে।
আপনি যদি ইউটিউব মার্কেটিং এ আসতে চান কিন্তু এর উপায় গুলো না জেনে থাকেন তাহলে
চিন্তার কোন কারণ নেই। আজকে আমি আপনাকে বেশ কয়েকটি ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কাজ
শুরু করার উপায় গুলো বিস্তারিত বলে দেব। তাহলে আর দেরি না করে চলুন আমরা
আলোচনাতে যায়। নিচে বেশ কিছু উপায় দেওয়া হলো।
মোবাইল অথবা ল্যাপটপঃ আপনি যদি ইউটিউব মার্কেটিং শুরু করতে চান
তাহলে আপনার সর্বপ্রথমে একটি মোবাইলের প্রয়োজন হবে কারণ আপনার কাছে যদি ভিডিও
করার কোন যন্ত্র না থাকে তাহলে আপনি কিভাবে ইউটিউবে মার্কেটিং করবেন। ইউটিউব
মার্কেটিং মানে ভিডিওর মাধ্যমে কোন কন্টেন্ট মানুষের মাঝে প্রচার করা। তাই আপনার
সর্বপ্রথমে দরকার হবে একটি মোবাইল ফোনের।
মোবাইল ফোনে পাশাপাশি যদি আপনার কাছে একটি ল্যাপটপ থাকে তাহলে আরো ভালো হবে কারণ
আপনি মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও করে সেই ভিডিও গুলোকে ভালোভাবে ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ
এর মাধ্যমে খুব ভালোভাবে এডিট মডিফাই করে মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারবেন। তাহলে
বুঝতে পারছেন ইউটিউব মার্কেটিং এ আসতে হলে শুরুতে আপনার একটি মোবাইল ফোনে দরকার
হবে।
ইন্টারনেট সংযোগঃ আপনার বাসায় দেখা যাচ্ছে কিন্তু মার্কেটিং করার
জন্য সকল বস্তু রয়েছে কিন্তু যেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস সেটি হল
ইন্টারনেট সংযোগ আপনার বাসায় যদি ইন্টারনেট সংযোগ না থাকে তাহলে কোনভাবে ইউটিউব
মার্কেটিং করা যাবে না কারণ ইউটিউবে যে কোন কিছু করতে হলে ইন্টারনেটের প্রয়োজন
হয়।
আপনি যদি ভাবেন যে ইউটিউব মার্কেটিং করবো তাহলে আপনার মোবাইল ফোনের পাশাপাশি
ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন অবধারিত। শুধু ইউটিউব না যে কোন আপনি অনলাইন
প্লাটফর্ম গুলোতে যেতে হলে আপনার ইন্টারনেট সংযোগ টাকা জরুরী। ইন্টারনেট সংযোগ না
থাকলে কোন ইন্টারনেট চালিত অ্যাপসে আপনি যেতে পারবেন না।
লক্ষ্য নির্ধারণঃ সকল প্রয়োজনীয় বস্তুর পাশাপাশি আপনার লক্ষ্য
পরিপূর্ণভাবে নির্ধারণ করা লাগবে কারন আপনার লক্ষ্য যদি ঠিক না থাকে তাহলে কোনদিন
ইউটিউব মার্কেটিং করে সফল হতে পারবেন না। আপনি শুধু ইউটিউব মার্কেটিং না যে কোন
কাজ করতে গেলে আপনার সর্বপ্রথম লক্ষ্যের প্রয়োজন হয় কারণ আপনার লক্ষ্য না ঠিক
থাকলে কোন কাজে আপনি সফল হয়ে উঠতে পারেন না।
আপনি যদি লক্ষ্য ছাড়া ইউটিউব মার্কেটিং এ কাজ করতে আসেন দেখা যাচ্ছে অনেক সময়
আপনি কাজ করছেন অথবা অনেক সময় কাজ করছেন না এক কথায় আপনি কাজ করতে গেলে সব সময়
এটা ভাবছেন আমি কি এখান থেকে সফল হতে পারব কি পারব না, এই চিন্তা যদি আপনার
মাথায় থাকে তাহলে আপনি কোনভাবেই ইউটিউব মার্কেটিং করে সফল হতে পারবেন না। ইউটিউব
মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে লক্ষ্য নির্ধারণ অতি গুরুত্বপূর্ণ।
কনটেন্ট তৈরী অথবা প্রোডাক্ট মার্কেটিংঃ আপনি যদি ইউটিউব মার্কেটিং
নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে এই দুটোর ভেতর যেকোনো একটা অথবা আপনি চাইলে দুটো
বেছে নিতে পারেন কিন্তু আপনি যদি দুটো একসাথে করতে চান তাহলে আপনার অনেক সময় ধরে
কাজ করতে হবে। কন্টেন্ট তৈরি বলতে বোঝায় যে সকল ভিডিও অথবা ফানি ভিডিও অথবা ধরেন
নাটক সিনেমা কে বোঝায়।
বর্তমান সময়ে মানুষ দেখবেন তাদের অবসর সময়টাকে কাটাতে ইউটিউবে চলে আসে এবং
বিভিন্ন নাটক অথবা মানুষের তৈরি কন্টেন তারা দেখে থাকে। আপনি চাইলে ইউটিউব
মার্কেটিং এর কন্টেন তৈরির কাজ করতে পারেন। আবার আপনি যদি চান আপনার কোন ব্যবসা
আপনি ইউটিউব এর মাধ্যমে দাঁড় করাবে তাহলে সেটিও করতে পারবেন।
আপনার ভালো লাগতে পারে এমন কিছু পোস্টঃ
এর জন্য আপনাকে রিভিউ দিতে হবে এবং তার মাধ্যমে আপনি দেখতে পাবেন ইউটিউব থেকে
ভিডিওর মাধ্যমে টাকা আসছে এবং যেটি আপনার অফলাইন ব্যবসা সেটি ধীরে ধীরে বড় হয়ে
যাচ্ছে। আবার যদি আপনি চান তাহলে অন্য কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট আপনি ইউটিউবে
রিভিউ করে তার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ভিডিও এডিটিংঃ আপনি যদি ইউটিউবে কোন ভিডিও আপলোড করেন কিন্তু সেটার
যদি কোয়ালিটি ভালো না হয় তাহলে কিন্তু আপনার অডিয়েন্সরা ভিডিও দেখতে পছন্দ
করবে না এবং আপনার ভিডিও থেকে তারা বের হয়ে যাবে সেক্ষেত্রে আপনি বুঝতে পারছেন
আপনার ভিজিটরদের সংখ্যা ধীরে ধীরে অনেকটা কমে যাবে।
আবার আপনি যদি কোন প্রোডাক্টের ভিডিও করেন কিন্তু সেটির ভিডিও কোয়ালিটি ভালো না
হয় তাহলে আপনার ভিডিও কেউ দেখবে না তখন আপনার প্রোডাক্ট একটিও বিক্রি হবে না
সেহেতু বুঝতেই পারছেন আপনার সময় এবং এত কষ্ট করে কাজগুলো করা সব বিফল হয়ে যাবে।
তাই ইউটিউব মার্কেটিং এ আসার আগে ভিডিও এডিটিং শিখে উত্তম।
টার্গেটেড অডিয়েন্স নির্বাচন করুনঃ আপনি যদি ইউটিউব মার্কেটিং করে
টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে আপনার অডিয়েন্স নির্বাচন করা লাগবে এবং আপনার
অডিয়েন্সটা যে সকল ভিডিও কন্টেন্ট দেখতে পছন্দ করে সেগুলো তাদের মাঝে তুলে ধরতে
হবে। তাহলে দেখবেন আপনার অডিয়েন্সদের আপনার ভিডিওর প্রতি চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেখা যাচ্ছে আপনি ইউটিউবে কোন প্রোডাক্ট রিভিউ করছেন এবং সেই প্রোডাক্টটি আপনার
কোন অডিয়েন্স নিতে ইচ্ছুক কিন্তু আপনি যদি সে প্রোডাক্টগুলো গোল তথ্য অনুযায়ী
পাঠিয়ে দেন তাহলে কিন্তু কোনদিন আপনি ইউটিউব মার্কেটিং থেকে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন না তাই সর্বপ্রথম আপনাকে অডিয়েন্স নির্ধারণ করতে হবে।
গুগল এডসেন্স একাউন্টঃ দেখা যাচ্ছে আপনার ইউটিউব ভিডিও গুলোতে অধিক
পরিমাণে ভিজিটর আসছে এবং আপনার ভিডিও দেখছে অথবা আপনার প্রোডাক্ট গুলো ক্রয় করছে
কিন্তু আপনি যদি গুগল এডসেন্স একাউন্ট ক্রিয়েট না করে থাকেন এবং আপনার ইউটিউব
চ্যানেলটিকে তার সাথে সংযুক্ত না করেন তাহলে কিন্তু ইউটিউব থেকে কোন প্রকার টাকা
পাওয়া যাবে না।
তাই একটি একাউন্টে যখন অধিক পরিমাণে ভিজিটর আসতে শুরু করবে তখন গুগল এডসেন্স অথবা
মনিটাইজেশন অন করে নিতে হবে। তাহলে আপনার ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম হবে। এগুলো বাদে
আরো অন্য উপায়ে রয়েছে যেগুলো আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাথে এড করে টাকা ইনকাম
করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি এগুলো না করেন তাহলে কোন ভাবে ইউটিউব থেকে টাকা
পাবেন না।
হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট তৈরিঃ আপনি যদি আপনার কন্টেনগুলো মানুষের
কাছে তুলে ধরতে চান তাহলে সেই কনটেন্ট টিকে অথবা সেই প্রোডাক্ট এর রিভিউ টি কে
ভালো কোয়ালিটি হিসেবে তৈরি করতে হবে এবং আপনার ভিডিওটা পরিপূর্ণভাবে সার্চ
ইঞ্জিল অপটিমাইজেশন করা লাগবে তাহলে দেখবেন আপনি ভিজিট অধিক পরিমাণে বেশি পাবেন।
আপনি যদি কন্টেন্ট দিয়ে হাই কোয়ালিটির না করেন তাহলে কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটে
অথবা আপনার ইউটিউব চ্যানেল ভিজিটর কোনোভাবে আসবে না এখন আপনার কিন্তু এত কষ্ট করে
ভিডিও করা অথবা ভিডিও এডিটিং করা সকল কিছু বৃথা চলে যাবে। তাই চেষ্টা করুন
ভিডিওটিকে হাই কোয়ালিটি হিসেবে তৈরি করার।
ট্রেন্ডিং বিষয় নিয়ে কন্টেনঃ অনেক সময় দেখবেন অনেক কিছু
ট্রেন্ডিংয়ে থাকে এবং মানুষ সেগুলো নিয়ে ইউটিউবে বেশি সার্চ করে যার কারণে আপনি
যদি এই বিষয়ে আপনার কন্টেন পাবলিশ করে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনি অনেক ভিজিটর
পাবেন এবং আপনার যত ভিজিটর আসবে আপনার টাকা ইনকাম তত বেশি হতে শুরু করবে।
তাই ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করার সময় ট্রেন্ডিং খেয়াল করে ভিডিও আপলোড করা এবং
ভিডিও তৈরি করা টি উত্তম হবে। আপনি যদি সব সময় ট্রেনিং ফলো করতে থাকেন তাহলে
ইউটিউব মার্কেটিং করে সফল হতে আপনার বেশি একটা দেরি লাগবে না বলে আমি মনে করি।
ব্রান্ড চ্যানেল খোলাঃ আপনি হয়তো এখন মনে মনে ভাবছেন ব্র্যান্ড
চ্যানেল মানে আবার কি? আসলে ব্র্যান্ড চ্যানেল মানে হল আপনার যদি কোন কোম্পানি
থেকে থাকে তাহলে আপনি আপনার কোম্পানির নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন এবং
আপনার কোম্পানির সকল কিছু ইউটিউব এর মাধ্যমে প্রচারিত করতে পারেন যেমন ধরেন
প্রোডাক্ট বিক্রয়।
এটার গুরুত্ব খুব একটা নেই আপনার যদি কোন কোম্পানি অথবা কোন ব্যবসা থেকে থাকে
তাহলে আপনি সেই ব্যবসা অথবা কোম্পানির নামে চ্যানেল ক্রিয়েট করতে পারেন তবে যদি
না করেন তাতেও আপনার মার্কেটিং যাত্রা খুব ভালো হবে।
আপনি যদি ইউটিউব মার্কেটিং খুব সহজেই শুরু করে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে চান
তাহলে এই উপায় গুলো আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে আপনি যদি এই উপায় গুলো অবলম্বন
করে ইউটিউব মার্কেটিং করেন তাহলে খুব সহজে আপনি দেখবেন ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন
করতে পারছেন। থেকে বাসায় বসে না থেকে ইউটিউব মার্কেটিং এর কাজ শুরু করে দিন।
ইউটিউব মার্কেটিং কি
আপনাদের মাঝে অনেকের পশুবাসে এবং হয়তোবা আপনার মনে এই প্রশ্নটা আসতে পারে যে
ইউটিউব মার্কেটিং আসলে কি? অথবা ইউটিউব মার্কেটিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় এই
বিষয়ে বসতে পারে সেই প্রশ্নগুলো দূর করার জন্য আজকে আমাদের এই সামান্য চেষ্টা।
তো বন্ধুরা ইউটিউব মার্কেটিং কি চলুন সেটা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
মার্কেটিং এর অর্থ আপনারা সকলে হয়তো জানেন যে মার্কেটিং মানে কোন কিছু নিয়ে
মার্কেটপ্লেসে ব্যবসা করা এবং তার মাধ্যমে আই ইনকাম করা। ইউটিউব মার্কেটিং মানে
হলো কোন পণ ইউটিউব এর মাধ্যমে বিক্রি করা অথবা অন্য কারো অন্য টাকার বিনিময়ে
আপনি রিভিউ করে তার কাছে থেকে এবং ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এগুলোকে একটু মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে তবে আরও একটি রয়েছে যেটি হল ইউটিউবে
বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট পাবলিশ অর্থাৎ যে সকল তথ্য মানুষ সব সময় জানতে চায় সে
তথ্যগুলো যদি আপনি ইউটিউব এ মার্কেটিং করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি গুগল এডসেন্স
অথবা ইউটিউব এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব মার্কেটিং বলতে এই সকল দিকগুলোকে বলা হয়। তাহলে নিশ্চয়ই এখন আপনি বুঝতে
পারছেন ইউটিউব মার্কেটিং আসলে কাজটা কি। এখন যদি আপনাকে কেউ প্রশ্ন করে থাকে
মার্কেটিং সম্পর্কে আশা করি আপনি তার সঠিক উত্তরটি দিতে পারবেন। চলুন আর দেরি না
করে আমরা পরের টপিক নিয়ে আলোচনা করি।
ব্যবসায় ইউটিউব চ্যানেলের গুরুত্ব বর্ণনা কর
ব্যবসার ক্ষেত্রে ইউটিউব একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম যেটিতে বর্তমান সময়ে
অনেক মানুষ তাদের ব্যবসা কে আরও বড় দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আপনি যদি চান তাহলে আপনার
কোন ব্যবসা আপনি ইউটিউবের মাধ্যমে কিন্তু করতে পারবেন। আপনি যদি ইউটিউব এর
মাধ্যমে ব্যবসা তৈরি করেন তাহলে কিন্তু আপনার টাকায় করা খুব সহজ হয়ে যাবে।
আপনার নিজস্ব যদি কোন কোম্পানি অথবা ব্যবসা থেকে থাকে তাহলে সেই প্রোডাক্টগুলো
আপনি ইউটিউবে ভিডিও আকারের রিভিউ দিয়ে মানুষের কাছে সেই পণ্যগুলি বিক্রি করতে
পারবেন। আপনি যদি এই কাজটি করেন তাহলে যে আপনার শুধু অন্য বিক্রি করে লাভ হবে
এটাই না আপনি ইউটিউব থেকেও এক্সট্রা টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ব্যবসা ক্ষেত্রে ইউটিউব চ্যানেলের গুরুত্ব অনেক বেশি এটা আপনি নিশ্চয়ই এখন বুঝতে
পারছেন। তবে ইউটিউব চ্যানেলে কোন প্রোডাক্ট রিভিউ করে যখন কোন ব্যক্তির কাছে
প্রোডাক্টটি ডেলিভারি করবে তখন অবশ্যই সঠিক জায়গায় ডেলিভারি করবেন আপনি যদি ভুল
জায়গায় প্রোডাক্ট ডেলিভারি করে থাকেন তাহলে কিন্তু ইউটিউব থেকে কোনোভাবেই নিজের
ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন না।
শেষ কথা | ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করার উপায়
আপনি নিশ্চয়ই আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে
শেষ করেছে এবং এখন আশা করি বুঝতে পেরেছেন ইউটিউব মার্কেটিং কি, ইউটিউব মার্কেটিং
কেন করবেন এবং ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করার উপায় কি সে সম্পর্কে হয়তো
আপনি এখন সম্পূর্ণ জেনে গেছেন।
আরো পড়ুনঃ বিনা পুঁজিতে লাভজনক ২০টি ব্যবসা
আপনি যদি আমাদের এই লেখাগুলির মাধ্যমে উপকারিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই
লেখাগুলো আপনার বন্ধুর কাছে শেয়ার করে তাকে জানানো সুযোগ করে দিবেন। এরকম নতুন
নতুন তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। সুস্থ থাকুন ভালো
থাকুন এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করার জন্য আপনাকে
অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url