শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার ৩০টি উপায় | ব্যবসা করার উপায়

প্রিয় পাঠক শূন্য থেকে কোটিপতি হবেন কিভাবে এই বিষয়ে জানার আগ্রহ হয়তো আপনার অনেক বেশি কিন্তু জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু কোথাও কোনো বিস্তারিত জানতে পারছেন না তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য।
শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়
আপনি যদি আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত করেন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন শূন্য থেকে কিভাবে কোটিপতি হয়ে যাবেন তার সকল আলোচনা বিস্তারিত এবং ব্যবসা করার সকল উপায় গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর দেরি না করে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ এই পোস্টের যে অংশ থেকে পড়তে চান, সেই অংশে ক্লিক করুন

শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়ঃ ভূমিকা

বর্তমান সময়ে কে নাচাই কোটিপতি হতে। আপনার আমার মত সকলে চায় কোটিপতি হতে এবং সকলে অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছে কোটিপতি হওয়ার জন্য আবার অনেকে বেকার বসে থেকে সময় কাটিয়ে দিচ্ছে। অনেকে আছে যারা একদম শূন্য বলতে পারেন তাদের কাছে কোন কাজ নেই তাও তারা বসে থেকে সময় কাটিয়ে দিচ্ছে।

এরা চাইলে কিন্তু খুব সহজে মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবে কিন্তু তারা সফল হতে পারে না তার মেইন কারণ হচ্ছে তাদের ভেতরে কোন লক্ষ্য নেই। এখন আপনি হয়তো কোটিপতি হবেন কিভাবে এই চিন্তাটি করছেন কিন্তু কোটিপতি হওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানেন না। না জানলে কোন সমস্যা নেই আজকে আপনাকে আমি বেশ কয়েকটি জানিয়ে দেবো।

আমি যে উপায় গুলো বলবো অবশ্যই সেই অনুযায়ী যে কোন একটি নিয়ে আপনি যদি আগাতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি খুব সহজে সেখান থেকে সফলতা অর্জন করতে পারবেন এবং মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা আয় করতে পারবেন খুব সহজে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া যাক কোটিপতি হওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে। নিচে সকল উপায় গুলো জানিয়ে দেওয়া হলো।

শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়ঃ ১-১০

টাকার অযথা খরচ বাদঃ
আপনার কাছে যদি কোন ধরনের টাকা পয়সা না থেকে থাকে এবং যদি আপনি কোটিপতি হতে চান তাহলে কিন্তু আপনার অযথা এসব টাকা পয়সা গুলো খরচা করেন সেই খরচা কমিয়ে দিতে হবে তাহলে দেখবেন আপনার টাকার পরিমান আগে থেকে অনেকটা বেশি হয়ে যাচ্ছে। আর আপনি যদি তা না করে অতিরিক্ত পরিমাণে টাকা খরচ করেন তাহলে কিন্তু আপনি শূন্য হয়ে যাবেন।

দ্রুত ধনী হওয়ার ক্ষেত্রে টাকা অযথা খরচ কমানোটা অতি প্রয়োজনীয় এটাতে করে আপনার বাড়িতে খরচটা কমে এবং সেই টাকাটাকে কাজে লাগিয়ে যেকোনো উপায়ে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং আপনি যদি এটি অবলম্বন করেন তাহলে কিন্তু আপনি দ্রুত সময় কোটিপতি হয়ে যাবেন।

লোন নেওয়া থেকে বিরত থাকুনঃ
আপনি যদি অল্প সময়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হতে চান তাহলে কিন্তু অবশ্যই আপনাকে কোন ধরনের লোন নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ আপনি যদি লোন নেন তাহলে দেখবেন একটি পর্যায়ে আপনার সকল টাকা ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং আপনি ধীরে ধীরে অনেক শূন্য হয়ে যাচ্ছেন। তাই যারা লোন নিন তারা লোন নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

আপনি যদি লোন নিতে থাকেন লোন নিতে থাকেন তাহলে দেখবেন আপনার একটি টাকাও জড়ো হচ্ছে না এবং আপনি অনেক গরিব হয়ে যাচ্ছেন। আমার জানা মতে আপনি কখনোই চাইবেন না যে আপনি রাস্তায় নেমে আসেন তাই অবশ্যই এটার দিকে খেয়াল রাখা লাগবে যে অতি প্রয়োজন ছাড়া লোন নেওয়া থেকে বিরত থাকা।

ঝুঁকির সম্মুখীন হওয়াঃ
আপনি যদি ঝুঁকি না নেন তাহলে কিন্তু আপনি কখনো কোটিপতি হতে পারবেন না কারণ পৃথিবীর কোন মানুষ ঝুঁকি না ছাড়া পথের প্রতি হতে পারে না সর্ব প্রথমে নানা বিপদ আসবে আপনাকে সেই বিপদের সাথে লড়াই করে ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হবে। তাহলে দেখবেন কোন না কোন একটি পর্যায়ে গিয়ে আপনি কোটি কোটি টাকা আয় করতে পারছেন।

অনেকে দেখা যায় ঝুঁকির সম্মুখীন হতে গিয়ে অনেক ভয় পাই আমি বলব আপনারা কোন সময় নিজের ওপর থেকে বিশ্বাস হারাবেন না কারণ আপনি যদি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন তাহলে কিন্তু আপনি ওই জায়গা থেকে কোনো ভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। আপনার সময় এবং কষ্ট সকল কিছু বৃথা হয়ে যাবে।

লক্ষ্য স্থির রাখুনঃ
কোন কাজে সফল হতে গেলে অবশ্যই আপনাকে সেই কাজে লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে কারণ আপনার লক্ষ্য যদি ঠিক না থাকে তাহলে কিন্তু সেখান থেকে কোনোভাবে সফলতা আশা করা যায় না। কোন কাজের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম নিজের লক্ষ্য স্থির করতে হবে এবং মনে মনে এটা পরিকল্পনা করতে হবে যে আমি অবশ্যই কাজটি করতে পারব।

আপনার ভালো লাগতে পারে এমন কিছু পোস্টঃ

আপনার মনের ভেতরে যদি এই পরিকল্পে তাহলে দেখবেন আপনার কোটিপতি হতে খুব একটা দেরি লাগবে না এবং আপনি যেকোন ব্যবসা বাণিজ্যে টাকা ইনভেস্ট করে তখন লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন খুব সহজে। তাই জীবনে কোটিপতি হতে হলে সর্বপ্রথম নিজের লক্ষ্য স্থির করুন।

নতুন কিছু শুরু করাঃ
আপনি যেকোন একটি কাজে সীমাবদ্ধ থাকলে কিন্তু হবে না আপনাকে একটি কাজের সাথে সাথে চেষ্টা করতে হবে আরো নতুন আরেকটি কাজ তার সাথে সংযুক্ত করার তাহলে আপনার কিন্তু দুই দিক থেকে ইনকাম আসবে এরকম যদি আরো অনেকগুলো নতুন নতুন লক্ষ্য নতুন নতুন কাজ নির্ধারণ করেন তাহলে দেখবেন আপনার অনেকগুলো জায়গা থেকে টাকা ইনকাম হচ্ছে।

তাই সবসময় চেষ্টা করুন একটি কাজের পাশাপাশি আরো আরেকটি নতুন কাজ নিজের জীবনের সাথে এড করানোর কারণ যখন আপনি কোন একটি কাজে সফলতা অর্জন করতে পারবেন তখন সেই কাজটি আপনার কর্মচারী দ্বারা চালাতে পারবেন সে সময় আপনি ফ্রি বসে না থেকে শেষ পর্যন্ত কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু শুরু করার পরিকল্পনা নিন।

অপ্রয়োজনে বিশ্রাম বাদ দিনঃ
আপনাদের ভেতরে অনেকে দেখা যায় কোন কাজ করে না অথচ সবসময় বিশ্রাম নিয়ে তার জীবনটাকে পার করে দেয় তাদের ভবিষ্যৎ কিন্তু অনেক ভয়ঙ্কর কারণ এখন যদি আপনি না পরিশ্রম করেন তাহলে কিন্তু আপনাকে শেষ বয়সে অনেক পরিশ্রম করা লাগবে। তাই সুস্থ সবল থাকতে পরিশ্রম করার চেষ্টা করুন।

বেকার বাসায় বসে না থেকে সব সময় চেষ্টা করুন নতুন কোন বিজনেস দাঁড় করানোর অথবা এমন কোন উপায় খোঁজার যে উপায় অনুযায়ী কাজ করলে আমি মাসের অধিক পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারব। তা নাহলে আপনি পরবর্তীতে অনেক বিপরীত সম্মুখীন হতে পারেন তাই যত দ্রুত পারেন এ বিষয়ে সতর্ক হোন।

ই-কমার্স ব্যবসাঃ
আপনার কাছে যদি স্মার্টফোন থেকে থাকে তাহলে সেই ফোনটাকে অন্য কোন কাজে ব্যবহার না করে ইকামত ব্যবসায় ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনার মাসে টাকা ইনকাম হবে এবং আপনার অযথা সময় অপচয় গুলো বেঁচে যাবে। তাই যারা সবসময় বাসায় বেকার বসে থাকে তাদের জন্য ই-কমার্স ব্যবসা করা অনেক উপকারী হবে।

এখন আপনার মনে হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে যে ই-কমার্স ব্যবসা আসলে কি? আপনি হয়তো লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন বর্তমান সময়ে মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে সকল কিছু কেনাকাটা করে থাকছে ই-কমার্স বলতে এটাই বোঝায় যা আপনি আপনার কোন পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করলেন অথবা অন্য কারো প্রোডাক্ট আপনি বিক্রি করে দিয়ে তার কাছ থেকে কিছু টাকা নিলেন এবং ফেসবুক থেকে কিছু টাকা ইনকাম করলেন এটা হচ্ছে ই-কমার্স ব্যবসা।

ইউটিউব ব্লগিং করাঃ
আপনার হাতে থাকা ফোন দিকে কাজে লাগিয়ে কিন্তু আপনি চাইলে ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়েট করে ইউটিউব মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আবার আপনি যদি চান আপনার কোন ব্যবসা অথবা কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করতে তাহলে কিন্তু আপনি অনলাইনের মাধ্যমে তার প্রচার চালিয়ে যেতে পারবেন।

ইউটিউবে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করার খুবই সহজ এর জন্য আপনার একটু দক্ষতার প্রয়োজন হবে যেমন ধরেন সব সময় আপনাকে ট্রেনিং ফলো করতে হবে যে সময় মানুষ যে সম্পর্কে ভিডিও জানতে ইউটিউব এ সার্চ করে সেই সকল সম্পর্কে আলোচনা আপনি যদি পাবলিশ করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি ইউটিউব থেকে মাসে অধিক পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ
অনলাইন থেকে ইনকাম করার মধ্য একটি জনপ্রিয় সেক্টর হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে বর্তমান সময়ে অনেকে সফল হচ্ছে তাহলে আপনি কেন বেকার বসে থেকে সময় নষ্ট করবেন আপনিও এখন থেকে শুরু করে দিন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কাজ।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কিন্তু খুব একটা কোন জিনিসের প্রয়োজন হয় না সাধারণত আপনি চাইলে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং খুব সহজে করতে পারেন। তাই আমি বলব আপনি বাসায় বেকার বসে না থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ শুরু করতে পারেন।

টেলিগ্রাম মার্কেটিং করে আয়ঃ
বর্তমান সময়ে কিন্তু টেলিগ্রাম অনেক মানুষ ব্যবহার করছে এবং টেলিগ্রামে অধিক পরিমাণে প্রতিনিয়ত ভিজিটর বাড়তে আছে সেটা আপনি কিন্তু চাইলে টেলিগ্রাম মার্কেটিং করে কোটিপতি হতে পারবেন তবে তার জন্য আপনাকে অবশ্যই সে সফল ব্যক্তিদের কাছে যাওয়া লাগবে যারা টেলিগ্রাম সম্পর্কে ভালো বুঝে এবং আপনাকে টেলিগ্রামের মার্কেটিং কিভাবে করবেন এ বিষয়ে ভালোভাবে জানাতে পারবে।

শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়ঃ ১১-২০

ফটো এডিটিংঃ
আপনি যদি ফটো ভালোভাবে এডিট করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি ফটো এডিটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন এখন হয়তো আপনি ভাবছেন আমি নিজের ফটো এডিট করতে পারি কিন্তু আমি কিভাবে এটাকে ব্যবসায় পরিণত করব তাহলে চলুন সেই বিষয়ে আপনার জানিয়ে দি, আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আপনার কাছে অনেকে ফটো এডিট করতে চাই।

এখন যারা আপনার কাছ থেকে ফটো এডিট করে দিতে চাচ্ছে আপনি কিন্তু কিছু টাকার বিনিময়ে তাদেরকে ফটো এডিট করে দিতে পারেন এক্ষেত্রে আপনার কিন্তু অনেক টাকা ইনকাম আসবে তবে অবশ্যই চেষ্টা করবেন একটি ফটোর বিনিময়ে অধিকাংশ টাকা না নেওয়া কারণ অধিক টাকা নিলে কিন্তু কেউ আপনার কাছে ফটো এডিট করাবে না।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়ঃ
গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে হয়তো আপনি জানেন কারণ গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা এখন অনেক বেশি বললেই চলে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ কিন্তু অনেক সহজ কিন্তু এটা থেকে ইনকাম শুরু করতে আপনার একটু সময় লাগতে পারে তবে যদি আপনি এখান থেকে ইনকাম শুরু করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার মাসে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম হবে।

এখন আপনার মনে হয়তো প্রশ্ন থাকতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজটা আসলে কি? আপনি হয়তো অনেক জায়গায় দেখে থাকবেন ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের রেস্টুরেন্ট এবং অন্য কোন কোম্পানির লোগো ডিজাইন করে ফেসবুকে প্রচার করা হয় এই ডিজাইনগুলো আসলে যারা করে তাদেরকে বলা হয় গ্রাফিক্স ডিজাইনার এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ হচ্ছে এটা।

প্রোগ্রামিং করে আয়ঃ
প্রোগ্রামিং কিন্তু একটু কঠিন কাজ হবে এটা করে কিন্তু শূন্য থেকে একদম কোটিপতি লেভেলে চলে যাওয়া যায় কারণ দেখুন বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ ওয়েবসাইট তৈরি করছে এবং সেখানে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লিখে তা মানুষের মাধ্যমে প্রচার করছে আপনি কিন্তু চাইলে প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে যে কোন একটি থিম তাদের কাছে বিক্রি করতে পারেন।

যেহেতু বর্তমান বাজারে প্রোগ্রামিং এর দাম অনেক এবং প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ কাজ করে সকলে সফল হতে পারেনি কারণ তাদের ভেতরে কাজ করার ধারণ ক্ষমতা ছিল না সেহেতু আপনি যদি পুরোপুরি চেষ্টা করে প্রোগ্রামিং নিয়ে এগিয়ে যান এবং সফল হতে পারেন তাহলে কিন্তু এখান থেকে আপনি ভালো একটি এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন।

নিজ লক্ষ্যের মানুষ দের সাথে চলাফেরাঃ
আপনি যদি কোন একটি কাজ নিয়ে সফল হতে চান তাহলে যেমন আপনার তার প্রতি লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে ঠিক তেমনি সব সময় আপনাকে চেষ্টা করতে হবে আপনার মত কে কে এই কাজটা কে নিয়ে সফল হতে চায় আপনি তাদের সাথে যদি বেশি বেশি চলাফেরা করেন তাহলে কিন্তু এই বিষয়ে যেগুলো আপনি জানেন না তাদের কাছ থেকে জানতে পারবেন।

আবার তারা যদি কোন জিনিস না জেনে থাকে এবং আপনি যদি সেটি জানেন তাহলে কিন্তু আপনার কাছ থেকে একটু জ্ঞান নিতে পারবে ঠিক তেমনি আপনিও তাদের কাছ থেকে জ্ঞান দিতে পারবেন তাই সবসময় চেষ্টা করতে হবে নিজ লক্ষ্যের মানুষদের সাথে সবসময় চলাফেরা করা।

টাকা সঞ্চয় রাখুনঃ
ধনী হতে গেলে সব সময় চেষ্টা করবেন টাকাকে জমিয়ে রাখার কারণ টাকা যদি আপনি জমিয়ে রেখে কোন একটি কাজে সেটিকে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে কিন্তু সেখান থেকে আপনি লাভ করে পরবর্তীতে আবার সে টাকাগুলোকে জমিয়ে রেখে কোটিপতি হতে পারেন কোটিপতি হওয়ার জন্য টাকা সঞ্চয় রাখা অতি গুরুত্বপূর্ণ।

কফি হাউজঃ
আপনি যদি একদম শূন্য না হয়ে থাকেন আপনার কাছে যদি কিছু পরিমাণ টাকা থাকে তাহলে আপনি একটি ছোট্ট কফি হাউস দিয়ে আপনার জীবনযাত্রা শুরু করতে পারেন এবং ধীরে ধীরে সে কফি হাউসটিকে বড় করে তুলে সেখান থেকে কিন্তু পরবর্তীতে আপনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে পারবেন। তাই জীবনে বড় হতে গেলে ছোট থেকে শুরু করতে হবে।

কোন ব্যক্তি একদিনে সফল হতে পারেনা তাই সর্বপ্রথম আমি চেষ্টা করুন ছোট্ট একটি কফির দোকান দেওয়ার এবং সেখান থেকে দেখবেন আপনি চেষ্টা করতে থাকলে ধীরে ধীরে সেই কফি হাউস টি অনেক বড় একটি পর্যায়ে চলে যাচ্ছে এবং তখন আপনি বসে থেকেই আপনার কর্মচারীদের কে দিয়ে খাটিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

সিমেন্ট এর ব্যবসাঃ
আপনার কাছে যদি একদমই টাকা না থাকে তাহলে সর্ব প্রথমে কোন সিমেন্ট কোম্পানিতে ছোটখাটো জব করুন এবং সেখান থেকে কিছু সংখ্যক টাকা যদি আপনি ইনকাম করতে পারেন অর্থাৎ ঝড় করতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে দেখবেন আপনি সিমেন্ট সম্পর্কে অনেকগুলো জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন তারপরে যদি আপনি চান তাহলে একটি সিমেন্টের দোকান দিতে পারবেন।

কারণ আপনি যেহেতু একটি সিমেন্টের কোম্পানিতে ছিলেন আপনি বুঝতেই পারছেন যে কোনটা ভালো এবং কোনটা খারাপ এবং কিভাবে আপনি ব্যবসা করলে সে একসাথে উন্নতি হবে। তার কিছু সংখ্যক টাকা ইনভেস্ট করে সিমেন্টের ব্যবসা শুরু করে দিয়ে অল্প সময়ের ভেতরে কোটিপতি খুব একটা কঠিন কাজ নয়।

নিজের প্রতি বিশ্বাসঃ
আপনি যদি দ্রুত সময় কোটিপতি হওয়ার চিন্তা নেই তাহলে কিন্তু অবশ্যই আপনার নিজের প্রতি সম্পূর্ণ আশা প্রত্যাশা থাকতে হবে। কারণ আপনি একটি কাজ করবেন কিন্তু আপনার যদি নিজের প্রতি কোনো বিশ্বাস না থাকে যে আমি এখান থেকে সফল হতে পারব কি পারব না তাহলে কিন্তু আপনি কোনভাবে সেই জায়গা থেকে সফল হয়ে উত্তীর্ণ হয়ে উঠতে পারবেন না।

প্রতিদিন টাকার হিসাবঃ
ধনী হতে গেলে কিন্তু টাকার হিসাব রাখা অতি গুরুত্বপূর্ণ আপনি যদি টাকা হিসাববিহীন শুধু খরচ করতে থাকেন তাহলে একপর্যায়ে দেখবেন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন না আপনার একদিনে কত টাকা ফুরিয়ে গেল এবং কত টাকা আপনার সঞ্চয় হচ্ছে। তাই অবশ্যই ধনী হওয়ার ক্ষেত্রে টাকার হিসাব রাখা অতি গুরুত্বপূর্ণ।

টাকার যদি হিসাব না রাখেন তাহলে পরবর্তীতে কোন বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন যেমন ধরেন আপনি কোন বিশ্বস্ত কর্মচারী রেখেছেন কিন্তু সে প্রতিনিয়ত আপনার সাথে অন্যায় করে যাচ্ছে অর্থাৎ আপনার কোম্পানির টাকা সে নিজে খেয়ে নিচ্ছে সেক্ষেত্রে আপনি যদি খেয়াল রাখেন তাহলে কিন্তু সে এই কাজ করতে পারবে না।

ডিজিটাল মার্কেটিংঃ
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি কর্ম হল ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং করে বর্তমান সময়ে অনেকগুলো স্বাবলম্বী হচ্ছে তাহলে আপনি কেন এই সুযোগটাকে হাতছাড়া করবেন আপনিও ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কোন আইটি সেন্টার অথবা কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোর্স করুন। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কিন্তু কোটিপতি হওয়া খুব সহজ।

তাই এই সুযোগটাকে হাতছাড়া না করে চেষ্টা করুন আপনার অবসর সময় অথবা ব্যবসার পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ক্যারিয়ারকে গড়ে তোলার। যেহেতু দিন দিন ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বাড়ছে সেহেতু বুঝতে পারছেন ভবিষ্যতে ব্যবসা করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক প্রয়োজন হবে।

শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়ঃ ২১-৩০

কাজের প্রতি মনোযোগঃ
জীবনে সফল হতে হলে কিন্তু আমি যে কাজটি করবেন সে কাজটির প্রতি সম্পূর্ণ আপনার মনোযোগ থাকতে হবে আপনি যে সময় কাজ করছেন সেই সময় যদি আপনার মনোযোগ অন্য কোথাও চলে যায় তাহলে কিন্তু সেই কাজে আপনার এমন বসবে না। তাই অবশ্যই আপনাকে জীবনে চলার জন্য একটি রুটিন তৈরি করে নিতে হবে এবং সেই রুটিন অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

আপনি যে সময় কাজ করবেন সেই সময় সকল কিছুকে পেছনে রেখে দিতে হবে অর্থাৎ কোন কিছু নিয়ে তখন চিন্তা করা যাবে না সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার কাজ করা আকাঙ্ক্ষা কমে যাবে এবং সেই কাজ থেকে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন না তাই কোটিপতি হওয়ার ক্ষেত্রে কাজের প্রতি মনোযোগ রাখার গুরুত্ব অপরিহার্য।

আউটসোর্সিং করে আয়ঃ
আপনি যদি কোন বিষয়ে দক্ষ একজন ব্যক্তির হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার জন্য কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নটা সফল হতে আর দেরি নেই আপনি আজকে থেকেই আপনি যে বিষয়ে বেশি দক্ষ সেই বিষয়ে একটি আইটি সেন্টার অথবা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করুন এবং সেখানে শিক্ষার্থীদেরকে সেই বিষয়ে শিক্ষা দান করুন।

আপনি যদি তাদের কাছ থেকে কিছু টাকার বিনিময়ে তাদেরকে আপনি আপনার দক্ষতা গুলো শেয়ার করে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার দক্ষতা এক ইঞ্চিও করবে না বরং আপনি আরো নতুন কিছু সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবেন এবং তার সাথে সাথে আরও কিছু মানুষদের কে আপনি দক্ষশীল হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।

সবজির ব্যবসাঃ
সবজি যারা বিক্রি করে তারা কিন্তু দেখতে খুব একটা সাধারণ হলেও যারা বড় বড় সবজি বিক্রেতা রয়েছে তাদের কিন্তু মাসিক আয় অনেক এক কথায় বলতে পারেন একটি চাকরিজীবীর চাইতে এদের আয় অনেক বেশি তাই আপনি যদি চান তাহলে সবজির ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং এটি এমন একটি ব্যবসা যেটি পৃথিবীর যতদিন রয়েছে ততদিন থাকবে।

কারণ আপনি নিশ্চয়ই জানেন মানুষ না খেয়ে কোনদিন বেঁচে থাকতে পারবে না তাই মানুষকে যেহেতু খেতে হবে সেহেতু বুঝতে পারছেন সবজি তাদেরকে কিনতে হবে। তাই আপনি সময়কে অযথা নষ্ট না করে সর্বপ্রথমে ছোট্ট একটি সবজির দোকান দিয়ে শুরু করতে পারেন ধীরে ধীরে দেখবেন আপনি একটি বড় সবজি ব্যবসায়ী হয়ে গেছেন এবং আপনার ইনকাম অধিকাহারে বৃদ্ধি হয়ে গেছে।

রডের ব্যবসাঃ
যেহেতু আপনার কাছে কোন ধরনের টাকা নেই এবং আপনি এখন বর্তমানে শূন্যতায় ভুগছেন সেহেতু সর্ব প্রথমে আপনার উচিত হবে কোন একটি উপায়ে কিছু সংখ্যক টাকা ইনকাম করা এবং পরবর্তীতে আপনি যদি ব্যবসা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারেন তাহলে আপনি রডের ব্যবসা শুরু করতে পারেন কারণ বর্তমানে অনেক বড় বড় বিল্ডিং হচ্ছে।

আর বিল্ডিং তৈরি করার জন্য কিন্তু অবশ্যই রডে প্রয়োজন যেহেতু বিল্ডিং ধীরে ধীরে বাড়তে আছে সেহেতু আপনার রডের চাহিদা বাড়তে থাকবে তাই আপনি চাইলে একটি ছোট রডের ব্যবসা কে বড় পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবেন তাই বেকার বসে না থেকে রডের ব্যবসা শুরু করে দিন এতে করে আপনি দ্রুত কোটিপতি হতে পারবেন।

গবাদি পশু লালন-পালন কারখানাঃ
গবাদি পশু লালন পালন করে কিন্তু আপনি কোটিপতি হতে পারবেন কারন আপনি যদি একটি পশু কিনে সেটি এক বছর লালন-পালন করেন তাহলে কিন্তু দেখবেন পরবর্তী বছরে আপনার দ্বিগুণ অথবা তার চেয়েও বেশি টাকা প্রফিট হয়ে থাকে এক্ষেত্রে কিন্তু আপনার কিছু সংখ্যক টাকার প্রয়োজন হয় তাকে লালন পালন করতে কিন্তু পরবর্তীতে কিন্তু আপনি ডবল এর চাইতেও বেশি লাভ করতে পারেন।

সেই দিক দিয়ে বিশ্লেষণা করলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন একসাথে যদি আপনি অনেকগুলো গবাদি পশু কিনে সেগুলোকে লালন পালন করেন তাহলে পরবর্তী বছরে সেটা থেকে ডবল লাভ আসবে এবং আপনি যদি এই ব্যবসাটা দীর্ঘ কয়েকটি বছর যাবত করে যেতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি একজন কোটিপতি হয়ে উঠবেন।

বিউটি পার্লারের ব্যবসা করে আয়ঃ
আপনি লক্ষ্য করলে হয়তো দেখতে পাবেন এখন মানুষ অনেক দ্রুত তাদের চুল অথবা দাঁড়ি একটু বড় হলে কেটে ফেলছে সেক্ষেত্রে আপনি যদি একটি বিউটি পার্লার দিয়ে থাকেন তাহলে আপনি কিন্তু সেখান থেকে টাকা আয় করতে পারবেন খুব সহজ পন্থায়। এবং অনেক মানুষ তাদের চেহারা সুন্দর করার জন্য কিন্তু পার্লারে যায়।

যেহেতু বুঝতে পারছেন যে এখন অনেক মানুষ তাদের চেহারাকে সুন্দর করে তোলার জন্য পার্লারে যাচ্ছে তাহলে এটাকে কাজে লাগিয়ে কিন্তু আপনি একটি বিউটি পার্লারের ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু এখান থেকে আপনি এক সময় অধিক পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন বলে আমি মনে করি।

জমির ব্যবসাঃ
এখন এমন একটি পর্যায়ে চলে এসেছে যেখানে ধীরে ধীরে জমির দাম বাড়তে আছে সেহেতু আপনি যদি এখন একটি জমি কম দামে ক্রিয়েট হতে পারেন তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে এই জমিটিকে আপনি ওদিক দামে বিক্রি করতে পারবেন তাই যাদের কাছে অল্প সংখ্যক হলেও টাকা আছে তারা সেই টাকাকে জমি কিরে ইনভেস্ট করতে পারেন।

এটা কিন্তু আপনার জন্য অনেক লাভজনক হবে কারণ আপনি যদি এখন কয়েকটি জমি ভালো দামে কিনে খেতে পারেন তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে অনেক বেশি দামে এই জমিটিকে বিক্রি করতে পারবেন আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন একটি জমির মূল্য কতটা বেশি বেড়ে যায়। তাই বসে না থেকে টাকাকে ইনভেস্ট করে ইনকাম শুরু করুন।

ফোনের ব্যবসাঃ
এখন হয়তো আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন প্রত্যেকটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে এবং তার ভেতরে অধিকাংশ মানুষ কিছুদিন পর করে মোবাইল ফোন চেঞ্জ করে। ধীরে ধীরে কিন্তু মোবাইল ফোনের চাহিদা বাড়তে আছে সেহেতু আপনি যদি মোবাইল ফোনের ব্যবসা শুরু করেন তাহলে কিন্তু সেখান থেকে আপনি অনেক লাভৌবতি হতে পারবেন।

তাই আপনি যদি চান তাহলে কিছু টাকা ইনভেস্ট করে মোবাইলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন এতে করে আপনি অল্প সময়ে কোটিপতি হতে পারবেন। এবং মোবাইলের ব্যবসা করা খুব একটা কঠিন কাজ নয় অনেক সহজ একটি কাজ ধীরে ধীরে আপনি অনেক দ্রুত শিখে যাবেন।

মোটরসাইকেলের ব্যবসাঃ
প্রত্যেকটি মানুষের স্বপ্ন হচ্ছে একটি পছন্দের বাইক কিনা। আপনার মনে হয়তো এমন স্বপ্ন আছে যে আমি বাইক কিনব ঠিক তেমনি অনেকেই বাইক কিনতে চাই এবং বর্তমান সময়ে বাইক প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে হয়ে যাচ্ছে। আপনি যদি চান তাহলে বাইকের ব্যবসা শুরু করতে পারেন বাইকের ব্যবসা করে অনেক টাকা লাভ করা যায়।

আপনি বাইকের ব্যবসা শুরু করলে কিছুদিন হয়তো কষ্ট হবে কিন্তু একটি ভালো পর্যায়ে চলে গেলে তখন কিন্তু এখান থেকে ভালো একটি এমাউন্টের টাকা ইনকাম করতে পারবেন তাহলে বুঝতে পারছেন বাইকের ব্যবসা করে কোটিপতি হওয়া অনেক সহজ।

গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে য়ায়ঃ
আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে আপনি যদি ওই ওয়েবসাইটে নিয়মিত কন্টেন পাবলিশ করেন এবং সেগুলো যদি অধিক পরিমাণ ভিজিটর ডেইলি আপনার কন্ঠে গুলো পড়ে তাহলে কিন্তু আপনি একটি সময় গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং গুগল এডসেন্সের সাহায্যে খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করা খুব সহজ তবে এর জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে কারণ ধৈর্য ধরা ছাড়া কোন কাজে সফল হওয়া যায় না এটা আপনিসহ আপনি সকলেই জানি। গুগল এডসেন্স নিয়ে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কিন্তু লেখালেখি জানা লাগবে তাই গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে আসার আগে লিখা লিখি শিখুন।

ব্যবসা করার উপায়

ব্যবসা কি এটার মানে আমি আপনি সকলেই জানি কিন্তু তার ভেতরে কিছু সংখ্যক মানুষ আছে যারা ব্যবসা কি এই সম্পর্কে জানেনা তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য আপনারা এখানে ওখানে থেকে না পড়ে পুরোটা মনোযোগ সহকারে পড়ুন আমি বলে দিচ্ছি কিভাবে আপনি ব্যবসা করবেন অথবা ব্যবসা করার উপায় কি?
ব্যবসা করার উপায় - ব্যবসা হালাল হওয়ার শর্ত
আপনি যদি একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনার যেটা দরকার হবে সেটি হচ্ছে কিছু সংখ্যক টাকার কারণ টাকা না ছাড়া আপনি কোন উপায়ে আপনি ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন না কারণ ব্যবসা করতে গেলে টাকার প্রয়োজন হয়। আপনার কাছে যদি ইনভেস্ট করার মতন টাকা থাকে তাহলে এবার আপনি ব্যবসা করতে পারবেন।

ব্যবসা করার জন্য আপনাকে এমন একটি কাজ অথবা ব্যবসা নির্ধারণ করতে হবে যেটি আপনার স্বপ্ন এক কথায় আপনি যে কাজটি করতে ভালোবাসেন এরকম একটি ব্যবসা আপনাকে দাঁড় করাতে হবে তাহলে সেখানে কাজ করা আগ্রহ এবং গুরুত্ব আপনার সব সময় বেশি থাকবে। কোন একটি ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে।

আপনি কিন্তু টাকা ইনভেস্ট করার সাথে সাথে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না প্রথমে হয়তো একটু লোকশান হবে অথবা একটু সমস্যার ভেতরে পড়বেন কিন্তু ধীরে ধীরে যখন সেই কাজটিতে আটকে রয়ে যাবে তখন আপনি দেখবেন অনেক কিছু আপনি শিখে গেছেন এবং তখন আপনি ব্যবসা করে অনেক লাভ করতে পারবেন।

ব্যবসা করতে হলে আরেকটি খেয়াল রাখতে হবে যেটি হচ্ছে সবসময় টাকার হিসাব নিকাশ নিজেকে রাখতে হবে অন্যের হাতে যদি আপনি কোন হিসাব দেন তাহলে কিন্তু সেটি কখনোই সঠিক হবে না সে ক্ষেত্রে আপনার ব্যবসা ডুবে যেতে পারে তাই সবসময় চেষ্টা করুন নিজের ব্যবসার দায়িত্ব নিজে নেওয়ার। আর যদি নিজে না পারেন তাহলে বিশ্বস্ত কোন ব্যক্তিকে রাখুন।

একটি ব্যবসা করতে গেলে সাধারণত এই কয়টি উপায় আবশ্যক এর চাইতে বেশি উপায় প্রয়োজন বলে আমি মনে করি না তাই যদি আপনি কোন ভাল একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে চান এবং মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে চান তাহলে এই নিয়মগুলো যদি আপনি মেনে চলেন তাহলে দেখবেন খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারছেন।

অনেক সময় আবার দেখা যায় কাজ করতে গিয়ে কাজে মন বসে না। একটা কথা মাথায় রাখবেন কোন কাজে যদি মন না বসে তাহলে কিন্তু সেই কাজ থেকে উন্নতি করা একদমই অসম্ভব তাই অবশ্যই যে ব্যবসাটি করবেন যে সেই ব্যবসাটিতে কাজ করার সময় সকল কিছুকে বাদ দিবে সেটার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।

ব্যবসা হালাল হওয়ার শর্ত

এখন আপনারা অনেকে বলে থাকেন ব্যবসা হালাল নাকি হারাম অথবা কিভাবে বুঝব যে আমি যে ব্যবসাটি করছি সেটি হারাম নয় বরং হালাল। আপনার এই প্রশ্নের উত্তরটি দেওয়ার জন্য আমার সামান্য একটু চেষ্টা দেখুন আপনি ব্যবসা হালাল পন্থায় করবেন নাকি হারাম ভাবে করবেন সেটা সম্পূর্ণ নির্ধারণ করে আপনার ওপর।

ব্যবসা হালাল এবং হারাম দুটোই আছে কিন্তু কোনটি করবেন এটি আপনাকে ডিসাইড করে নিতে হবে আমি বলব আপনি অবশ্যই হালাল ব্যবসা করবেন কারণ হারাম ব্যবসা করে কখনো উন্নতি করা যায় না। এখন আপনি হয়তো এটা ভাবতে পারেন যে আমি বুঝবো কি করে যে আমি যে ব্যবসাটি করেছি এটি হালাল। তাহলে চলুন আপনাকে সেটির উত্তর দিয়ে দিই।

আপনি যে ব্যবসাটি করবেন অবশ্যই সেই ব্যবসাটি ইসলাম এর কথা অনুযায়ী হতে হবে যদি সেই অনুযায়ী না হয় তাহলে কিন্তু সে ব্যবসাটি আপনার জন্য হারাম হয়ে যাবে আপনাকে একটা উদাহরণ দেই সাপোজ ধরে আপনি শাক সবজির ব্যবসা করেন এবং সেখানে আপনার কাস্টমারদেরকে ওজনে কম দিয়ে ঠকাচ্ছেন।

আপনি যদি এই কাজটি করেন তাহলে কিন্তু আপনার জন্য এই ব্যবসাটি হারাম হয়ে যাচ্ছে কিন্তু আপনি যদি তাকে সঠিক ওজন করে সবজিটি বিক্রি করতেন তাহলে কিন্তু এটি আপনার কাছে হারাম হতো না এই ব্যবসাটি আপনার কাছে হালাল হতো তাই বলছি ব্যবসা হালাল হওয়ার মেইন শর্ত হচ্ছে কুরআন যেভাবে বলে সেভাবে আপনার ব্যবসাকে তৈরি করুন।

আবার কুরআন যেভাবে ব্যবসা করতে মানা করে অবশ্যই সে ব্যবসা গুলি করবেন না অনেকেই হারাম পন্থায় ব্যবসা করে এবং দেখবেন লক্ষ্য করলে তাদের পরিবারে কোনো ধরনের সুখ নেই তাদের হয়তো অধিক পরিমাণে টাকা রয়েছে কিন্তু তারা সুখ-শান্তি সকল কিছু থেকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত। আবার দেখবে তাদের নানা ধরনের রোগ রয়েছে।

যদি আপনি হালাল উপায় টাকা ইনকাম করেন তাহলে অল্প টাকা হলে সেটা থেকে আপনার উপার্জনের বরকত চলে আসবে কিন্তু আপনি যদি হারাম ভাবে টাকা উপার্জন করেন তাহলে কিন্তু অনেক টাকার মালিক হয়েও শান্তিতে জীবন যাপন করে থাকতে পারবেন না। তাই সব সময় চেষ্টা করুন যতটুকু উপার্জন করবেন হালাল উপায়ে উপার্জন করার।

শেষ কথা | শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার ৩০টি উপায়

আশা করি আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে শেষ করেছেন এবং এখন নিশ্চয়ই এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে গেছেন যে আপনি শূন্য থেকে কিভাবে কোটিপতি হবেন কারণ আমরা এর সম্পর্কে সকল বিস্তারিত আলোচনা করে দিয়েছি তার সাথে সাথে এটাও বলে দিয়েছি ব্যবসা করার সকল উপায় কোনগুলো।

আপনি যদি আমাদের এই লেখাগুলির মাধ্যমে উপকারিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুর কাছে লিখাগুলো শেয়ার করে তাকে জানানোর সুযোগ করে দিবেন। এরকম নতুন নতুন তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এত দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url