গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া খেলাধুলা
প্রিয় পাঠক গ্রাম বাংলায় হারিয়ে যাওয়া খেলাধুলা এবং হারিয়ে যাওয়ার শৈশব
গুলোর অনুচ্ছেদ সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান এবং কোথাও কোন বিস্তারিত তথ্য জানতে
না পারেন তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
আপনি যদি সেই সম্পর্কগুলো ভালোভাবে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের এই
আর্টিকেলটি আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে করতে হবে তা না হলে বুঝতে
পারবেন না আর এর ভেতরে কিন্তু আরো আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা রয়েছে সেটা
হচ্ছে শৈশবের খেলার নাম সম্পর্কে তাহলে আর দেরি না করে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ আপনি যে অংশ থেকে পড়তে চান, সে অংশে ক্লিক করুন
গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া খেলাধুলা
আপনার কি কখনো মনে পড়ে গ্রামবাংলায় হারিয়ে যাওয়া সেই ছোট্টবেলার খেলাধুলা
গুলো সম্পর্কে। যদি আপনার মনে পড়ে থাকে তাহলে একবার হলেও আপনার মনে আবেগ কাজ
করবে অর্থাৎ কষ্ট অনুভব হবে কারণ আগের সেই ছোটবেলার দিনগুলো এবং আগের সেই গ্রাম
বাংলা অনেক সুন্দর ছিল এবং অনেক সুন্দর ছিল সেই গ্রাম বাংলার খেলাধুলা।
বর্তমান সময়ের যে সকল ছেলে মেয়ে গুলো আছে তারা সেই সকল খেলাধুলা সম্পর্কে
হয়তোবা জানে না এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়তোবা সে সকল খেলাধুলা সম্পর্কে জানতে
পারবে না কারণ তারা এখন মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে এবং বিভিন্ন ধরনের ভিডিও গেমসে
আসক্ত হয়ে পড়ছে। যার কারণে তারা আগের সেই খেলাধুলা গুলো অনুভব করতে পারছে না।
আমরাই হয়তোবা সেই জেনারেশন যারা আমাদের শৈশবটাকে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার
মাধ্যমে কাটিয়েছি এবং খুবই আনন্দের সাথে আড্ডা গল্প গুজব এর মাঝে কাটিয়ে
দিয়েছি তাছাড়া এখন যে সকল ছেলে মেয়ে গুলো দেখা যাচ্ছে তারা খেলাধুলা তো করে না
বরং সবসময় মোবাইল ফোন নিয়ে মোবাইলের ভেতরে সময় দিলে থাকে।
তবে আপনি যদি জানতে চান গ্রাম বাংলার সেই হারিয়ে যাওয়া খেলাধুলা গুলো গুলো
সম্পর্কে তাহলে আমি বলব গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া অনেকগুলো খেলাধুলা রয়েছে
এবং চলুন সেই খেলাধুলা গুলো সম্পর্কে ছোট্ট আকারে ভালো ভালো বিস্তারিত তথ্য জেনে
নেওয়া যায় নিচে গ্রাম বাংলায় হারিয়ে যাওয়া খেলাধুলা সম্পর্কে আলোচনা করা
হলো।
কাবাডিঃ বলতে পারেন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং জাতীয় খেলা হচ্ছে
কাবাডি খেলা। গ্রাম বাংলার অনেক জনপ্রিয় একটি খেলা ছিল একসময় তবে এখন হয়তোবা
অধিকাংশ মানুষ এই খেলা গুলো খেলে না এবং এখনকার জেনারেশন হয় ছেলেমেয়েদেরকে দেখা
যায় না। তবে আগের মানুষটাই বলতে পারবে এই খেলাধুলাগুলো কতটা আনন্দদায়ক ছিল।
আরো পড়ুনঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কত মানুষ মারা যায়
আগে ছোট থেকে বড় সকলেই সময় পেলে এই কাবাডি খেলত এবং এর কাবাডি খেলার মাধ্যমে
তাদের সময়গুলোকে খুবই আনন্দের সাথে কাটিয়ে দিত আর এই খেলাটা অনেকটাই সুন্দর যদি
আপনি এই খেলাটাকে দেখতে চান এবং আগের দিনগুলোকে অনুভব করতে চান তাহলে সেই
ক্ষেত্রে এই খেলার ভিডিও আপনি ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে দেখতে পারেন।
ডাংগুলিঃ এই খেলাটি যদি একটু লিখছে এর অর্থাৎ ডাংগুলি খেলতে গিয়ে অনেক
সময় অনেকে আহত হয়েও যেতে পারে তবে এই খেলাটা কিন্তু আগে অনেক আনন্দদায়ক ছিল
এবং ছোট থেকে বড় সকলে এই খেলাটাও অনেক আনন্দের সাথে খেলে তাদের সময়টাকে আনন্দের
সাথে কাটিয়ে ফেলত এবং এই খেলাটি গ্রামবাংলায় হারিয়ে যাওয়া একটি জনপ্রিয়
খেলা।
বরফ পানিঃ এই খেলাটা আপনি না খেলে বুঝতেই পারবেন না যে খেলাটার ভেতরে কতটা আনন্দ
লুকিয়ে আছে এই খেলাটা হচ্ছে আপনি যদি চোর হন তাহলে আপনি যেই ব্যক্তিটিকে ছুয়ে
ফেলবেন সে বড় হয়ে যাবে এবং অন্য কেউ যদি তাকে ছুঁয়ে ফেলে তাহলে সে পানি হয়ে
যাবে খেলাটা কিন্তু অনেক মজাদার। এটাও কিন্তু গ্রাম বাংলায় হারিয়ে গেছে এখন আর
এই খেলাটা খেলতে দেখা যায় না তবে আগের অনেক আনন্দদায়ক একটি খেলা ছিল।
গুলি মারামারিঃ আগে এমন একটি সময় ছিল যে সময় ছোট বাচ্চারা গাছের কোন ডাল
ভেঙ্গে অথবা খেলনা যে সকল পিস্তলগুলো রয়েছে সে পিস্তল গুলো নিয়ে গুলি গুলি
খেলতো এবং এই খেলাগুলো কিন্তু অনেক মজাদার ছিল অতীতকালে এবং তাদের সেই গ্রাম
বাংলায় যে খেলা গুলো এখন তারা অনেক ছেলে মেয়েরাই জানে না এবং খেলে না।
লুকা চুনিঃ এই খেলাটা খেলতে গিয়ে আগের কত ছেলে মেয়েরা বাসা থেকে কত
গালাগালি শুনেছে তবুও কিন্তু এ কথাগুলোর মাধ্যমে তারা আনন্দ উপভোগ করতে পেরেছে
কারণ আগে ছেলে মেয়েরা বিকাল হলেই লুকাচুন্নি না আমাকে একটু খেলা খেলতো এই খেলাতে
যে চোর হবে তাকে খেলার উপস্থিত হওয়ার সকল ব্যক্তিদেরকে খুঁজে বের করতে হবে
অর্থাৎ তারা লুকাবে এবং তাকে খুঁজে বের করতে হবে।
এবং সর্বপ্রথমে যে ব্যক্তিটিকে সে খুঁজে পাবে সে পরবর্তী রাউন্ডে চোর হবে অর্থাৎ
এই খেলাটা কিন্তু শুনেও বুঝতে পারছেন গ্রাম বাংলার অনেক মজাদার একটি খেলা ছিল তবে
এই খেলা গুলো কিন্তু ধীরে ধীরে গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে গেছে অর্থাৎ এখনকার ছেলে
মেয়ে এসব খেলার নাম জানে না এবং এসব খেলা সম্পর্কে কোন কিছুই তারা জানে না।
বদনঃ শীতের দিনে শরীরকে গরম করে তোলার জন্য আগের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা বদন
নামক একটি খেলা খেলত এই খেলাটি দুই প্রকার হয়ে থাকে একটি হচ্ছে খাড়া বদন এবং
একটি হচ্ছে গোল বদন। এই খেলাটি যেহেতু একটু ধরাধরির মাধ্যমে খেলতে হয় সেক্ষেত্রে
শীতকালে প্রায় প্রত্যেকটা ছেলেমেয়ে এই খেলাটি খেলতো এবং গ্রাম বাংলার একটি
জনপ্রিয় খেলা বলতে পারেন।
বেশ কয়েকটি খেলাধুলা সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত জানালাম হয়তো আপনি বুঝতে
পেরেছেন এবার চলুন ছোট্ট আকারে আমি আরো কয়েকটি খেলাধুলার নাম বলি যে খেলা গুলো
ধীরে ধীরে গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে গেছে। হাড়িভাঙ্গা, দৌড় খেলা, রুটি ফলানো,
মার্বেল খেলা, কিতকিত, স্যান্ডেল চুরি ইত্যাদি আরো অনেকগুলো রয়েছে।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমাদের গ্রামবাংলায় হারিয়ে যাওয়া সেই পুরনো দিনের খেলাধুলা
গুলি যেগুলো হয়তোবা এখন অধিকাংশ ছেলে মেয়েরা খেলে না এবং খেলাধুলা সম্পর্কে
তাদের কোন জ্ঞানই নেই কারণ তারা সবসময় মোবাইলের ভিতরে পড়ে থাকে তবে হ্যাঁ এগুলো
ছাড়াও আরো অনেক খেলা রয়েছে যেগুলো বর্তমানে গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে গেছে।
হারিয়ে যাওয়া শৈশব অনুচ্ছেদ
শৈশবের দিনগুলো যে কিভাবে চলে গেল সেগুলো শৈশবের মানুষ এখনো বুঝতে পারে না তারা
এই আধুনিক যুগে এসেও যেন আগের সেই অনুভূতিগুলোকে ভুলতে পারে না কারণ আগের সেই
অনুভূতিগুলো অনেক আনন্দের ছিল প্রতিটি মানুষ আগে কষ্টে থাকলেও তাদের মনে সব সময়
আনন্দ থাকতো যেটি এখন বর্তমানে মানুষের ভেতরে খুবই কম।
সেই হারিয়ে যাওয়া শৈশবের দিনগুলো এবং সেই খেলাধুলাগুলো হয়তোবা আর আমরা ফিরে
পাবো না তবে যাদের শৈশবটি ভালো ছিল এবং যাদের শৈশব ২০১০ এর ভেতরে কেটেছে শুধু
তারাই বলতে পারবে যে তাদের শৈশব টা কেমন ছিল। তবে এখন করা ছেলে মেয়েরা সেই
আনন্দময় সেই সবগুলোকে কোনদিন অনুভব করতে পারবে না।
আমরা কি ফিরে পাবো সেই শৈশবের আনন্দময় মুহূর্তগুলো সেই দিনগুলো আমরা আবারো ফিরে
পেতে পারি যদি আমাদের ভেতরে সেই মন মানসিকতা গুলো থাকে এবং এরকম শৈশব আমাদের
ছেলেমেয়েদেরকেও আমরা উপহার হিসেবে দিতে পারি যদি তাদেরকে ফোনে এবং ভিডিও গেমে
আসক্ত না করে খেলাধুলাতে আসক্ত করায়।
আগের মানুষেরা হয়তোবা শৈশবে ভালো খাবার খেতে পারত না এবং ভালোর পোশাক পরিধান
করতে পারতো না তবে তাদের মনে সব সময় শান্তি ছিল এবং তারা সবসময় হাসিখুশি ছিল এই
হাসিখুশি দিনগুলো এবং শৈশবে বন্ধুদের সাথে আড্ডা খেলাধুলা এই দিনগুলো কিন্তু
কখনোই ফিরে পাবার নয় তবে প্রত্যেকটি মানুষের মনে এই স্মৃতিগুলো রয়ে যায়।
শৈশব কাল নিয়ে কিছু বলার নেই তাদের শৈশব কাল অনেক ভালো এবং আনন্দের সাথে কেটেছে
শুধু তারাই বুঝবে শৈশবের আনন্দের মুহূর্তগুলো এবং শৈশবের খেলাধুলা গুলো সম্পর্কে।
আপনারা যারা আগের শৈ সবগুলোকে ফিরে পেতে চান তারা আপনাদের বাবা-মার কাছে থেকে
তাদের শৈশবের কাহিনী গুলো শুনলে বুঝতে পারবেন।
শৈশবের খেলার নাম
অনেকগুলো খেলাধুলায় ছিল তবে এটি এখন দেখা যায় না এটি ছিল ২০১০-১৫ সালের আগের
দিকে যখন প্রত্যেকটা ছেলেমেয়ে খেলাধুলায় আসক্ত ছিল কোন মাদক অথবা মোবাইল ফোনে
নয় অথবা কোন ভিডিও গেমে নয়। সেই শৈশবের খেলা গুলোর নাম সম্পর্কে হয়তোবা আপনি
জেনে থাকতে পারেন যদি আপনি আগের মানুষ হন তাহলে জানবেন যদি না হন তাহলে জেনে নিন।
প্রথমত ছোটবেলায় যে খেলা গুলো সকলেই খেলতো সেটা হচ্ছে বিকেল হলেই ছোটা ছুটি এবং
ধরাধরি এই খেলাগুলো অনেক বেশি দেখা যেত এছাড়াও আরো অনেক খেলাধুলাই দেখা যেত এবং
সেই খেলা গুলো সম্পর্কে কিন্তু আমি উপরের টপিকে বেশ কয়েকটি আলোচনা করেছি এবং আরো
কয়েকটি সম্পর্কে জানিয়ে দিচ্ছি।
এছাড়াও আমাদের গ্রামবাংলায় আগের যে সকল শৈশবের খেলা ছিল তার মধ্যে ছিল মার্বেল
খেলা যেখানে অনেক ধরনের খেলাধুলায় ছিল মার্বেল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলা দেখা
যেত এবং তার সাথে তাস খেলা ছিল এবং তার সাথে আরো ছিল লাটিম খেলা এরকম আরো অনেক
ধরনের খেলা ছিল শৈশবে যেগুলো এখন হয়তোবা দেখা যায় না।
যারা এই খেলাগুলোকে উপভোগ করতে পেরেছে এবং যারা এই খেলাগুলোর মাধ্যমে তাদের
সময়গুলিকে সুন্দর ভাবে কাটিয়েছে শুধু তারাই বলতে পারবে কত সুন্দর ছিল এই
খেলাধুলাগুলো তাছাড়া বর্তমান সময়ের ছেলে মেয়েরা খুব একটা বলতে পারবে না। তো
আশা করি আপনি এখন শৈশবের খেলাধুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
আমাদের শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলটি এ পর্যন্ত আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই
কমেন্ট করে জানাবেন আর আর্টিকেলটি সম্পর্কে যদি কোন মতামত হয়ে থাকে তাহলে সেটিও
আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আর এরকম নতুন নতুন তথ্য নিয়মিত পেতে প্রতিদিন
আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।
আর আশা করি আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে
পড়েছেন এবং এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে সেই গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া
খেলাধুলা সম্পর্কে এবং এ ছাড়া আরো যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম সেই
সকল বিষয়ে সম্পর্কে। যদি আপনার বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আরেকবার
ভালোভাবে পড়ে নিবেন।
আর আমাদের এই লিখা গুলির মাধ্যমে যদি আপনি বিন্দু পরিমান উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে
অবশ্যই চেষ্টা করবেন এই লেখাগুলি আপনার বন্ধুবান্ধব অথবা আত্মীয় স্বজনদের কাছে
শেয়ার করে তাদেরকে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার। আজকের
আর্টিকেলটি পর্যন্তই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এত দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের সাথে থাকার
জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url