অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়? ১০টি উপায় সম্পর্কে জানুন
প্রিয় পাঠক অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচবেন কিভাবে এবং শরীরে অতিরিক্ত গরম লাগার কারণ
কি এই বিষয়ে যদি আপনি না জেনে থাকেন এবং এ বিষয়ে যদি আপনি জানার জন্য উৎসাহিত
হয়ে থাকেন তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ
আপনার জন্য।
তবে আমরা কিন্তু আমাদের এই আর্টিকেলটির ভেতরে একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করিনি
অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি যেমন ধরুন সালের গরম কমানোর উপায় অথবা
শরীরে অতিরিক্ত গরম লাগা কিসের লক্ষণ এছাড়াও আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে আর এগুলো
সম্পর্কে আপনাকে জানতে হলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে
হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ আপনি যে অংশ থেকে পড়তে চান, সে অংশে ক্লিক করুন
উপস্থাপনা
অনেকেই গরম সহ্য করতে পারেন আবার অনেকে গরম সহ্য করতে পারেন না এবং বর্তমান সময়ে
এসে অনেক মানুষের পেশার থেকে যাচ্ছে যার কারণে তারা অতিরিক্ত গরম সহ্য করতে পারছে
না এখনই অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা তাই
আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই কিন্তু আর্টিকেলটি পড়তে হবে।
কারণ এই আর্টিকেলটির ভেতরে আপনাকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে আপনি অতিরিক্ত গরম থেকে
বাঁচবেন কিভাবে এবং শরীরের অতিরিক্ত গরম লাগার কারণ কি এছাড়া হঠাৎ গরম লাগার
কারণ কি এই সকল বিষয়ে সম্পর্কে। আপনি যদি মনোযোগ সহকারে না পড়েন তাহলে কিন্তু
সে ক্ষেত্রে এই একটি বিষয় সম্পর্কে আপনি বুঝতে পারবেন না।
আর হ্যাঁ অনেকেই আমরা এখানে ওখান থেকে কেটে কেটে আর্টিকেল পড়ি যার কারণে
ভালোভাবে বিস্তারিত বুঝতে পারি না তাই আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে অনুরোধ রইল যে
আপনি অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়বেন তাহলে আপনি সকল কিছু ভালোভাবে
বুঝতে পারবেন তাহলে চলুন আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।
ছাদের গরম কমানোর উপায়
বর্তমানে কিন্তু প্রত্যেকটা বাসাতে এখন ছাদ হয়ে যাচ্ছে অর্থাৎ আগের তুলনায় এখন
অধিকাংশ মানুষ ছাদ আলা বাড়িতে বসবাস করছে কিন্তু তাদের ভেতর অধিকাংশ মানুষ এটা
জানে না যে ছাদ গরম হচ্ছে এবং এই ছাদ গরম হওয়ার কারণে বাড়ির ভেতরে কিন্তু
অতিরিক্ত গরম প্রভাবিত হচ্ছে আরে ছাদ গরম হওয়া থেকে কমানোর উপায় গুলো কি সেই
সম্পর্কে।
প্রধানত আপনার যদি ছাদ গরম হয়ে থাকে তাহলে এই ছাদ গরম কমানোর জন্য আপনি ছাদের
ওপরে প্রতিদিন বিকালে পানি দিয়ে দিতে পারেন অর্থাৎ কিছুক্ষণ পানি দিয়ে ছাদটাকে
ভালোভাবে ভিডিও নিতে পারেন এক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ছাদ ঠান্ডা হয়ে যাবে এবং
বাসার ভেতরেও খুব একটা গরম লাগবে না কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার বাসাটাও ঠান্ডা হয়ে
যাবে।
আরো পড়ুনঃ ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ
তবে আপনি যদি প্রতিদিন এই কষ্টটুকু না করতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি
ছাদের চারিপাশের সৌর প্যানেল লাগিয়ে দিতে পারেন এক্ষেত্রে কিন্তু আপনি সূর্যের
মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবহার করতে পারবেন এবং তার সাথে সাথে আপনার ছাদকে রোদের হাত
থেকে বাজাতে পারবেন এবং আপনার সাহায্যে গরম হয়ে থাকে সেই গরমটাকে সৌর পানের
মাধ্যমে বিদ্যুতে প্রবাহিত করবে।
তাহলে বুঝতে পারছেন এক্ষেত্রে আপনি একই উপায়ে দুইটি সুবিধা পাচ্ছেন প্রথমত আপনার
বাসার ছাদ গরম হচ্ছে না এবং দ্বিতীয়তঃ আপনার বিদ্যুৎ বিল এর প্রয়োজন হচ্ছে না
একবার যদি আপনি কিছু টাকা ইনভেস্ট করে বাসার ছাদের উপরে সুর প্যানেল লাগিয়ে
থাকেন তাহলে সকাল থেকে আপনি ফ্রিতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারছেন।
শরীর গরম থাকা কিসের লক্ষণ
প্রধানত এমনিতেই যদি অতিরিক্ত গরম পড়ে তাহলে সে ক্ষেত্রে আমাদের শরীর গরম হয়ে
থাকে তবে তাও মানুষের ভেতরে এই চিন্তাটি থেকেই যায় যে শরীরে গরম লাগা কিসের
লক্ষণ। যদি আপনার শরীরে অতিরিক্ত গরম অনুভব হয় অথবা সব সময় যদি গরম হয়ে থাকে
তাহলে সেটি কিন্তু একদিক থেকে দেখতে গেলে জ্বরের লক্ষণ হিসেবে ধরা যায়।
যদি আপনার জ্বর হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু সব সময় শরীর গরম হয়ে থাকে অথবা যদি আপনি
ডায়াবেটিস রোগী হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি ব্লাড সুগার কমে যায় তাহলে সে
ক্ষেত্রেও কিন্তু আপনার সব সময় গরম হয়ে থাকতে পারে অর্থাৎ এই রোগ গুলো লক্ষণ
হচ্ছে এগুলো আপনার শরীরকে গরম করে রাখবে।
তাই যারা এ বিষয়ে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন যে শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে থাকা কিসের
লক্ষণ তারা নিশ্চয়ই এখন বুঝতে পারবেন যে আপনার শরীর অতিরিক্ত সবসময় ধরে গরম
হয়ে থাকে এটা কিসের লক্ষণ এবং যদি বুঝতে না পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের
কাছে যাবেন এবং আপনার চেকআপ করাবেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে আপনার শরীর কেন গরম
হয়ে গেছে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়
আমরা যারা অতিরিক্ত গরমের কারণে অনেক কষ্টে ভুগছি এবং অনেক সমস্যায় ভুগছি তারা
কিভাবে অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচবেন সেই সকল উপায় সম্পর্কে যদি আপনারা না জেনে
থাকেন তাহলে চলুন আপনাদেরকে সেই বিষয়ে সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া যাক, নিচে
অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
১। গোসলঃ অতিরিক্ত গরম থেকে যদি কেউ বাঁচতে চাই এবং যদি কেউ গোসল না করে
তাহলে কিন্তু তার পক্ষে অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচা কোনভাবেই সম্ভব নয় কারণ গরম
থেকে বাঁচার একমাত্র এবং সর্বপ্রথম উপায় হচ্ছে প্রতিদিন গোসল করা আপনি যদি গোসল
না করেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি গরম থেকে বাঁচতে পারবেন না।
তার কারণ আপনি যদি গোসল না করেন তাহলে আপনার শরীরের ক্লান্তি দূর হবে না এবং
আপনাকে আরো বেশি গরম লাগবে যার কারণে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগও কিন্তু
সৃষ্টি হতে পারে তাই অবশ্যই আপনাকে গরম থেকে বাঁচতে প্রতিদিন গোসল করতে হবে আর
যদি অতিরিক্ত গরম পরে সে ক্ষেত্রে আপনি দুই তিনবার গোসল করতে পারেন।
২। কাপড়ঃ যদি অতিরিক্ত গরম পড়ে এবং আপনি যদি মোটা কোন কাপড় পড়ে থাকেন
সেক্ষেত্রে বুঝতেই পারছেন আপনাকে আরো বেশি করে গরম লাগবে তাই অবশ্যই সুতির অথবা
যে সকল কাপড় গুলো পাতলা সেগুলো পরিধান করার চেষ্টা করবেন তাহলে সে ক্ষেত্রে
আপনাকে গরম অনুভব করতে হবে না অর্থাৎ একটু হলেও গরমের পরিমাণ কমবে।
৩। ঘরের বাইরে অবস্থানঃ ওনাকেই দেখা যায় আমরা অতিরিক্ত গরমে ঘরের ভেতরে
বসে থাকি আমাদের কিন্তু ঘর রৌদ্রের কারণে অনেক গরম হয়ে যায় এবং যাদের বাসায়
আসি নাই তাদের বাসা কিন্তু অনেক গরম হয়ে থাকে রৌদ্রের কারণে যার কারণে আমাদেরকে
একটু বেশি গরম লাগে এবং সব সময় ঘরে বসে থাকাটাও কিন্তু ভালো নয়।
তাই গরম লাগুক অথবা না লাগুক আপনার প্রতিদিন বাইরে একটু সময় দেওয়াটা আবশ্যক
কারণ প্রকৃতির বাতাস নিলে এটুকু শরীরে উপকার অনুভব করা যায় এবং যদি অতিরিক্ত গরম
পড়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে যদি আপনি কোন গাছ তলায় বসে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনি
গরম অনুভব করতে পারবেন না কারণ গাছের বাতাসে আপনার শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে।
৪। স্যালাইনঃ যদি অতিরিক্ত গরম পড়ে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার সেলাইন
গ্রহণ করাটা ভালো হবে কারণ স্যালাইন গ্রহণ করলে শরীর ঠান্ডা হয় এবং এটি শরীরের
জন্য অনেকটা উপকারী ঠিক খাবার তাই অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচতে চাইলে অবশ্যই আপনি
নিয়মিত খাবার স্যালাইন গ্রহণ করবেন তাহলে একটি ভালো উপকার অনুভব করতে পারবেন।
৫। পানি পানঃ আমরা কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এটা জানি যে আমাদের শরীরে
প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি গ্রহণ করা উচিত তাহলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে
এবং কোন রোগে আমরা আক্রান্ত হবো না এটাও কিন্তু বলা যায়। জীবনের জন্য পানির
প্রয়োজনীয়তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাই এই পানি কিন্তু আমাদেরকে অবশ্যই গ্রহণ করতে
হবে।
তবে আমরা অধিকাংশ মানুষ রয়েছি যারা দিনে দুই থেকে তিন লিটার পানি গ্রহণ করি না
তারা কিন্তু অবশ্যই গরমের সময় অনেক গরম অনুভব করবেন এবং আপনার শরীরে পানি
শূন্যতা দেখা দিবে। তাই গরম থেকে বাঁচতে অবশ্যই আপনার উচিত হবে প্রতিদিন বেশি
বেশি করে বিশুদ্ধ পানি পান করা। আর বিশুদ্ধ পানি পান করলে অবশ্যই এটি আপনার
শরীরের উপকারে আসবে এবং আপনি গরম থেকে বাঁচতে পারবেন।
৬। ছাতা ব্যবহারঃ যদি আপনি বাড়ির বাইরে কোথাও যান অথবা যদি আপনি কোন
কাজে যান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে ছাতা ব্যবহার করা কারণ ছাতা যদি আপনি
ব্যবহার করেন তাহলে আপনার মাথায় রোধ লাগবে না এবং আপনি খুব একটা গরম অনুভব করতে
পারবেন না তাই অবশ্যই বাইরে কোথাও গেলে ছাতা ব্যবহার করবেন।
৭। ধূমপান ত্যাগঃ যারা ধূমপান করেন তারা অবশ্যই ধূমপানকে আজকে থেকে
পরিত্যাগ করবেন কারণ ধূমপান স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করে থাকে এবং গরমের
সময় যদি কেউ ধূমপান করে তাহলে সে ক্ষেত্রে তার আরও বেশি গরম অনুভব হবে তাই
অবশ্যই গরম থেকে বাঁচতে হলে এবং যেকোনো ক্ষতিকার রোগ থেকে বাঁচতে হলে ধূমপান
সর্বপ্রথম পরিত্যাগ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি উপায়
৮। ডাবের পানিঃ যদি আপনি পারেন এবং যদি আপনার সামর্থ্য থাকে তাহলে চেষ্টা
করবেন প্রতিদিন ডাবের পানি গ্রহণ করেন কারণ ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন
থাকে এবং সেই সকল দ্রব্য থাকে যেটি আপনার শরীরের অনেক উপকারে আসে এবং আপনার
শরীরকে ঠান্ডা করতে কাজে আসে।
৯। চা পরিহারঃ যারা দিনে বেশ কয়েকবার চা গ্রহণ করেন অথবা কফি গ্রহণ করেন
তারা অবশ্যই আপনাদের এই অতিরিক্ত চা খাওয়াকে কমিয়ে দিবেন কারণ চা খেলে আরো বেশি
গরম অনুভব হয় তাই কেউ গরম থেকে যদি বাঁচতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই অতিরিক্ত চা
খাওয়া পরিত্যাগ করতে হবে আপনি দিনে হয়তো বা এক কাপ গ্রহণ করতে পারেন তবে
অতিরিক্ত গ্রহণ করবেন না।
১০। ভিড় এড়ানঃ যদি অতিরিক্ত গরম পরে এবং যদি আপনি ভিড়ের ভিতরে থাকেন
অথবা অতিরিক্ত মানুষ নিয়ে যদি কোন জায়গায় বসে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার আরো
বেশি করে গরম অনুভব হবে তাই অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচতে সব সময় অল্প মানুষ নিয়ে
বসে থাকার চেষ্টা করবেন এবং ভিড় এড়ানোর চেষ্টা করবেন কারণ ভেবে অতিরিক্ত গরম
লাগে।
আপনি যদি অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচতে চান এবং আপনি যদি এই নিয়মগুলি মেনে চলেন
তাহলে অবশ্যই আপনি অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচতে পারবেন এবং খুবই সহজে অতিরিক্ত গরম
থেকে বাঁচা যায় তাই আসুন আমরা যারা অতিরিক্ত গরমের কারণে অনেক কষ্টে ভুগছি তারা
এই নিয়মগুলি মেনে চলার চেষ্টা করি। এই টপিকটি এ পর্যন্ত চলুন এবার পর একটা বিঘে
যাওয়া যাক।
শরীরে অতিরিক্ত গরম লাগার কারণ
কমবেশি প্রত্যেকের শরীরে কিন্তু গরম অনুভব হয় এবং গ্রীষ্মকালে যে সময়টি
অতিরিক্ত গরমের ভেতরে পার হয় সে সময় কিন্তু শরীরে অতিরিক্ত এবং অনেক বেশি গরম
লেগে থাকে কিন্তু কিছু কিছু মানুষের দেখা যায় অতিরিক্ত গরম লাগে এবং এই অতিরিক্ত
গরম লাগার কারণ কি সেই সম্পর্কে কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানি না।
আপনিও যদি না জেনে থাকেন যে শরীরে অতিরিক্ত গরম লাগার কারণ কি এবং এই অতিরিক্ত
গরম লাগার কারণ সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই আজকের এই
টপিকটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য। সাধারণত আমরা অতিরিক্ত গরমে ভুগতে থাকি আমাদেরই
দোষের কারণে। এখন হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে আমরা আবার এমন কি কাজগুলো
করি?
আপনি নিজের দিকে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন আপনি কোন কাজগুলো করে থাকেন এবং যার
কারণে আপনাকে অতিরিক্ত গরমের সম্মুখীন হতে হয় যেমন ধরুন আমাদের শরীরে যতটুকু
পানি প্রয়োজন প্রতিদিন ততটুকু পানি যদি আমরা শরীরকে না দিতে পারি সেক্ষেত্রে
কিন্তু অবশ্যই অন্যদের তুলনায় আমরা অতিরিক্ত গরমে ভুগবো।
তাহলে এখন ভাবুন যে এই ভুলটাকে করছে অবশ্যই এই ভুলটা আপনি করছেন এবং এটার কারণে
কিন্তু আপনি অতিরিক্ত গরমে ভুগছেন। তবে হ্যাঁ শুধুমাত্র যে আমাদের ভুলের কারণে
অতিরিক্ত গরমে ভুক্ত হয় সেটাই কিন্তু নয় অনেকের কিন্তু অনেক কারণেই অতিরিক্ত
গরমে ভুগতে হয় এবার সেই বিষয়ে জানি।
দেখুন কারো যদি শরীরের ওজন অতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু তার
শরীরে অতিরিক্ত গরম অনুভব হবে এবং সে সবার চাইতে বেশি গরম অনুভব করবে তাই এটা
হচ্ছে সম্পূর্ণ আপনার স্বার্থের কারণে হচ্ছে তাই অবশ্যই আপনার স্বাস্থ্য
নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যেগুলো করা উচিত সেগুলো আপনাকে করতে হবে তাহলে আপনি
অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচতে পারেন।
এছাড়াও যদি কারো টাইফয়েড হয়ে থাকে অথবা কেউ যদি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় থাকে
তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু তার শরীরে অতিরিক্ত গরম অনুভব হবে। আর শরীরে অতিরিক্ত
গরম অনুভব হওয়ার মেইন কারণ গুলো হচ্ছে এগুলো আর এগুলো ছাড়াও কিন্তু অনেকের দেখা
যায় শরীরে অতিরিক্ত গরম অনুভব হয় এবং এটা নিয়ে চিন্তায় থাকি।
আসলে এটা নিয়ে চিন্তা করে আরো কোন রোগে আক্রান্ত না হয়ে আপনার সবচেয়ে উত্তম
কাজ হবে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যাওয়া এবং চিকিৎসকের কাছে গিয়ে আপনার
শরীরের চেক করানো এবং দেখা যায় আপনি আসলে কোন কারণে অতিরিক্ত গরমে ভুগছে এবং
সেগুলো দেখে শুনে ডাক্তার যেই কাজগুলো আপনাকে করতে বলবে সেগুলো মেনে চলা।
হঠাৎ গরম লাগার কারণ
গরম কম বেশি সকলকেই লেগে থাকে তবে কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় তার তেমন
একটা গরম অনুভব হচ্ছিল না কিন্তু হঠাৎ করেই গরম লেগে যাচ্ছে আর এই হঠাৎ গরম লাগার
কারণ কি এটা কিন্তু অনেকেই জানে না আর যারা জানেন না তাদের কিন্তু অবশ্যই এই
বিষয়ে জেনে রাখা আবশ্যক যে হঠাৎ গরম লাগার কারণ কি যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে
পরবর্তীতে আপনি এটা সম্মুখীন হতে পারবেন।
তো হঠাৎ গরম লাগার অনেকগুলোই কারণ রয়েছে তার মধ্যে একটি প্রধান কারণ হচ্ছে কারো
যদি হার্ট দুর্বল হয়ে থাকে অথবা যদি কেউ একবার স্টক করে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে
কিন্তু তারা হাটের কারণে অতিরিক্ত গরম অনুভব করতে পারে এছাড়াও যদি তার হার্টে
ব্লক হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু সে হঠাৎ করেই অতিরিক্ত গরম অনুভব করতে
পারে।
এখানে তেমন একটা দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই এটা সম্পূর্ণ আপনার হার্ট অসুস্থতার
কারণে হচ্ছে আর এ হার্টের চিকিৎসা অবশ্যই আপনাকে করতে হবে যদি আপনি হঠাৎ গরম থেকে
বাঁচতে চান। ছাড়াও অনেকে রয়েছে ডায়াবেটিস রোগী আর এই ডাইবেটিসের কারণে কিন্তু
শরীরে হঠাৎ গরম দেখা দিতে পারে যদি আপনার শরীরে ব্লাড সুগারের মাত্রা কমে যায়।
তো প্রধানত এই দুটি কারণে অনেকের হঠাৎ গরম লাগতে পারে এখানে আপনাদের চিন্তার কোন
কারণ নেই এটা সম্পূর্ণ আপনাদের একটি রোগের কারণে হচ্ছে আর সেই রোগটি সম্পর্কে যদি
আপনি জেনে থাকেন তাহলে তো অবশ্যই আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন কারণে হচ্ছে আর যদি না
জেনে থাকেন তাহলে চিকিৎসকের কাজে যাবেন এবং চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।
আমাদের শেষ কথা
এই ছিল আমাদের আজকের আর্টিকেল আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং এখান থেকে
আপনি উপকৃত হয়েছেন কিনা সেটা অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আপনার যদি
আর্টিকেল সম্বন্ধে কোন ধরনের কোন মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে সেটাও আমাদের কমেন্ট
বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন অথবা যোগাযোগ করে বলতে পারেন।
আর আশা করি আপনি আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে করেছেন
এবং নিশ্চয়ই এখন বুঝতে পারছেন যে অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচতে হলে আপনার কোন কাজ
গুলি করতে হবে এছাড়াও আরো যে সকল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম সে সকল বিষয়
সম্পর্কে আর যদি আপনার কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে আপনি আরেকবার ভালোভাবে
পড়ে নিবেন।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
আর আশা করে আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে বিন্দু পরিমান হলেও উপকৃত হয়েছে না
আর উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন এই লেখাগুলো আপনার আত্মীয়-স্বজন অথবা
বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার করে তাদেরকেও জানানো সুযোগ করে দেওয়ার। কারণ আপনার
একটি শেয়ারে তারাও হয়তো এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবে।
আর আপনি যদি এরকম নতুন নতুন তথ্য নিয়মিত পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট
নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন তো আজকের এই আর্টিকেলটি এ পর্যন্ত সুস্থ থাকুন ভালো
থাকুন এত দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের
পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url