চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার - চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার

প্রিয় পাঠক চুলকানিতে নিমপাতা ব্যবহার কিভাবে করবেন এবং চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার কি এই সম্পর্কে যদি আপনি না জেনে থাকেন এবং জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে থাকেন কিন্তু কোথাও কোনো বিস্তারিত তথ্য জানতে না পারেন তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটির ভেতরে আপনি এই সকল বিষয়ে সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরে যাবেন এবং তার সাথে আরও বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন যেমন নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম অথবা খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় ইত্যাদি এইসব সকল বিষয় সম্পর্কে তাই আর দেরি না করে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ আপনি যে অংশ থেকে পড়তে চান, সে অংশে ক্লিক করুন

নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম

আপনি নিশ্চয়ই নিমের কথা দেখতে কেমন সেটা ভালোভাবেই জানেন এবং নিমের গাছটি কেমন সেটাও ভালোভাবে জানেন এর সাথে এই নিম পাতার যেই সকল উপকারী গুণগুলো রয়েছে সেগুলো কিন্তু আপনার জেনে রাখা দরকার কারণ আপনি যদি এটি জেনে রাখেন তাহলে এটার থেকে পরবর্তীতে উপকৃত হতে পারবেন।

বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস জনিত সমস্যা রয়েছে তারা যদি নিমের পাতা থেকে উপকৃত হতে চায় তাহলে তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে প্রতিদিন সকালে বেশ কিছু কচি নিমের পাতা পিছে সেটার রস গ্রহণ করা এতে করে তাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা দূর হয়ে যেতে পারে তবে এলিমের পাতার সঙ্গে আরও কিছু মিক্স করতে পারলে আরো ভালো হয়।

যেমন ধরুন নিমের পাতার সঙ্গে যদি কিছু সংখ্যক গোলমরিচ মিক্স করে দেন তাহলে এতে করে আপনি আরও বেশি উপকৃত হবেন যদি আপনি নিমের পাতা বৃষ্টি নিয়ে থাকেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে গোলমরিচ দশটি নিতে হবে এভাবেই আপনি যদি প্রতিদিন মিক্স করে খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার পেটের জন্য অনেক উপকারে আসবে।

তবে অবশ্যই এটি একটি প্রয়োজন মত গ্রহণ করবেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত গ্রহণ করা কিন্তু কোন কিছুই ভালো না এবং সবচাইতে ভালো হবে সর্ব প্রথমে আপনার ডাক্তারের কাছে যাওয়া এবং সে ডাক্তার আপনাকে যেভাবে খেতে বলবে সেভাবে গ্রহণ করা তাহলে আপনি আশা করি একটি ভাল উপকারিতা পেয়ে যাবেন নিমপাতার মাধ্যমে।

এছাড়াও এই নিম পাতার আরো অনেক ব্যবহার রয়েছে আর সেই ব্যবহারগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে এ নিম পাতা খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার গলার কাশির সমস্যা কেউ দূর করে ফেলতে পারেন তাই অবশ্যই নিমপাতার যত ধরনের উপকারিতা রয়েছে সেগুলো জেনে রাখার চেষ্টা করবেন।

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়

আমরা হয়তোবা নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানি কিন্তু অনেকেই হয়তোবা এই বিষয়ে সচরাচর জানিনা যে আমরা যদি খালি পেটে নিমপাতার রস খাই তাহলে এতে করে আমাদের কি হয় উপকার হয় নাকি কোন বড় ধরনের ক্ষতি হয় তো এই বিষয়ে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে চলুন সেই বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

প্রথমতই আমি বলে দেই আপনি যদি খালি পেটে নিম পাতার রস খেতে পারেন তাহলে এতে করে আপনি অনেক উপকারিতা হবেন কোন ধরনের আপনার ক্ষতি হবে না তবে আপনি যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত গ্রহণ করেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনার জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে তাই অবশ্যই একটি পর্যাপ্ত পরিমাণ অনুযায়ী গ্রহণ করতে হবে।

সবচাইতে ভালো হবে যদি আপনি এই নিম পাতার রস সকালে খালি পেটে খেতে পারেন তাহলে আপনি বেশি উপকৃত হবেন আর বিশেষ করে এটি আপনার ডায়াবেটিসের সমস্যা দূর করতে কাজে আসে এবং তার সাথে সাথে যদি আপনার এসিডিটির সমস্যা থাকে অথবা গ্যাসের সমস্যা থাকে তাহলে সেটা কেউ খুব সহজে দূর করে দেবে নিমের রস।

এবং অনেক অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আপনি যদি সঠিক নিয়ম অনুযায়ী গ্রহণ করতে পারেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে কিন্তু নিমের রস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নিম পাতার ভেতরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং উপকারের দিক যে কারণে এটি আপনার শরীরে গেলে আপনার শরীরের অনেক ধরনের উপকার করে থাকে।

যদি পারেন তাহলে চেষ্টা করবেন মাঝে মাঝেই নিমের রস খালি পেটে গ্রহণ করার এবং সেটা সকালে তাহলে আপনি অবশ্যই উপকার পাবেন আর যদি আপনার নিম পাতায় কোন ধরনের কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সেই বিষয়ে কিন্তু আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে আপনার গ্রহণ করা যাবে না আশা করি আমার কথা বুঝতে পেরেছেন।

চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার

চুলকানি রোগটিকে আমরা একটি সাধারণ রোগ মনে করলেও এটা কিন্তু কোন সাধারণ রোগ নয় এই চুলকানির রোগ কিন্তু অনেক ভয়াবহ রোগ মানুষের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানি হয়ে থাকে এবং এই চুলকানির জ্বালায় মনে হয় যেন সেখানকার চামড়া ছিড়ে ফেলে দেই ঠিক এরকমটাই যদি আপনারা মনে হয় এবং আপনি যদি চুলকানির সমস্যায় ভুগে থাকেন।
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
আরে চুলকানিক সমস্যা থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে আমরা চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার কিভাবে করব তাহলে আমাদের চুলকানির সমস্যা অনেক দ্রুত দূর হয়ে যাবে প্রথমত আপনি অনেক নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন চুলকানির স্থানে যেমন আপনি নিমপাতা সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে গোসল করতে পারেন।

যদি আপনি এই কাজটি করেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার শরীরের যে কোন জায়গার চুলকানি দূর করতে অনেক কাজে আসবে এছাড়াও যদি আপনি নিমপাতা এবং নিমের যেই ফল এবং ফুলগুলো রয়েছে সেগুলো যদি ভালোভাবে বেটে নিয়ে আপনার চুলকানি জায়গায় লাগিয়ে রাখেন এবং বেশ কয়েকদিন ধরে এটি করে থাকেন তাহলেও কিন্তু আপনার চুলকানি সমস্যা দূর হবে।

এবার আপনি চাইলে এই উপায়টিও করতে পারেন যেমন কিছু সংখ্যক নিমের পাতাকে তেলে ভালোভাবে ভেজে নিলেন এবং সেই নিম পাতাগুলোকে গুঁড়ো করে সরিষার তেলের ভেতরে ভালোভাবে মিক্স করে সেই সরিষার তেল আপনার চুলকানির জায়গায় লাগালেন তাহলে কিন্তু আপনার চুলকানির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

তো আশা করি আপনি চুলকানিতে কিভাবে নিমের পাতা ব্যবহার করবেন সেই বিষয়ে বুঝতে পেরেছেন তাহলে আপনি যদি নিম পাতার ব্যবহারের মাধ্যমে চুলকানি থেকে বাঁচতে চান তাহলে এই উপায় গুলো লক্ষ্য করতে পারেন এবং এভাবে ব্যবহার করে দেখতে পারেন আশা করি আপনার চুলকানির সমস্যা অতি দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।

চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার

চর্মরোগ কিন্তু কোন সাধারণ রোগ নয় এই রোগ কিন্তু অনেক ভয়াবহ একটি রোগ তাই অবশ্যই এই রোগ থেকে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে আর এই চর্ম রোগ দূর করার জন্য আপনার কাছে ভালো একটি উপায় হতে পারে নিম পাতার ব্যবহার এই নিম পাতার ব্যবহার এই নিম পাতার ব্যবহার করে আপনি খুবই সহজে চর্মরোগ দূর করতে পারবেন।
চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার
তাহলে চলুন আর দেরি না করে সেই বিষয় সম্পর্কে জানা যাক। প্রথমত চর্মরোগ সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় শীতকালে আর যখন এই রোগটি দেখা দিবে তখন অবশ্যই আপনি চেষ্টা করবেন নিমের তেল অথবা মিমের রস মাঝে মাঝে আপনার ত্বকে ব্যবহার করার এতে করে চর্ম রোগের সমস্যা দেখা দিবে না।

শুধু তাই নিয়মের পাতা এবং নিমের রস সবগুলোই কিন্তু অনেক উপকারী জিনিস আর এই উপকারী জিনিসগুলো থেকে আপনারা কি কি উপকার পাবেন সেই সকল বিষয়ে আমি সবগুলো টপিকেই অল্প অল্প করে জানিয়ে দিয়েছি আশা করি সবগুলো আপনি বুঝতে পারছেন। যদি আপনি পারেন তাহলে চেষ্টা করবেন মাঝে মাঝে নিমের পাতা দিয়ে অর্থাৎ মিমের পাতার রস দিয়ে গোসল করার।

তাহলে এতে করে আপনার শরীরে চর্ম রোগ হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে এছাড়াও চর্ম রোগের পাশাপাশি আরো যে সকল ভয়াবহ রোগগুলো হয়ে থাকে ত্বকে সেই সকল রোগের সাথে কিন্তু মোকাবেলা করতে পারে নিম পাতা তাই অবশ্যই নিম পাতার সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানবেন এবং ব্যবহার করবেন ধন্যবাদ।

মুখে নিম পাতার ব্যবহার

নিম পাতা শুধু খেলে উপকার পাওয়া যায় না এর নিমপাতা দিয়ে কিন্তু আপনি চাইলে খুব সহজে আপনার ত্বকের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি করতে পারেন আর এর জন্য আপনি নিম পাতার ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন অথবা যেই ফেসওয়াশগুলো পাওয়া যায় সেগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেন যদি আপনি মুখে নিম পাতা ব্যবহার করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি অনেক উপকার পাবেন।

যদি আপনার তাকে ব্রণের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনার ব্রণের সমস্যা কে চিরতরের মতো ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষমের পাতা এছাড়াও যদি আপনার ত্বকে অনেক তৈলাক্ত ভাব থাকে তাহলে সেই তৈলাক্ত ভাব কেউ দূর করতে অনেক সাহায্য করে তাই আপনি চাইলে কিন্তু আপনার মুখে নিমের পাতা ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

অথবা আপনি যদি আশেপাশের দোকানে দেখেন তাহলে আপনি নিম পাতার ফেসওয়াশগুলো পেয়ে যাবেন সেগুলো ব্যবহার করে দেখবেন এগুলো আপনার মুখের জন্য অনেক উপকার এবং আপনার মুখে থাকা সকল ময়লা এবং জীবানুকে দূর করতে সাহায্য করে এছাড়াও আরো অনেক উপকারী দিক রয়েছে আপনার ত্বকের জন্য।

তাই চেষ্টা করবেন নিমের কথা মুখে ব্যবহার করার আশা করি আপনি নিজের পাতা থেকে ভাল একটি ফলাফল পাবেন এবং আগের চাইতে আপনার ত্বকের অবস্থা অনেক ভালো হয়ে উঠবে আশা করি আপনি আমার সকল কথাগুলি বুঝতে পেরেছেন তাহলে চলুন এবার পরের টপিকে যাওয়া যাক।

রান্না করা নিমের ছালের রস পান করলে কি হয়

আপনি যদি নিয়মিত নিয়মের পাতা গ্রহণ করেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার অনেকগুলো উপকার পাওয়া যায় আর সেই উপকার গুলো সম্পর্কে আমি উপরের দিকে আলোচনা করেছি তবে আরো আরেকটি উপকার সম্পর্কে আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছি সেটি হচ্ছে আপনি যদি নিজের রস অথবা নিমের ছাল রান্না করে খান তাহলে কি হবে চলুন সেই বিষয় জানা যাক।

প্রথমত যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের কোন ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে দূর করতে অনেক কাজে আসবে এছাড়াও যদি আপনার লিভারের সমস্যা থাকে তাহলে সেই লিভারের সমস্যা সঙ্গে লড়াই করতে অনেক কাজে আসে নিমের পাতার রস এবং ছালের রস তাই নিমের রস গ্রহণ করা উচিত।

এছাড়াও দেখবেন আপনাদের ভিতরে অনেকের শরীর থেকে অনেক দুর্গন্ধ বের হয় আর যে দুর্গন্ধ হয় সেটা সম্পূর্ণ ঘামের কারণে হয়ে থাকে আর আপনি যদি নিমের পাতা প্রতিদিন গ্রহণ করেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে কিন্তু ধীরে ধীরে আপনার শরীর থেকে এই দুর্গন্ধটি দূর হয়ে যাবে তাই এক্ষেত্রেও কিন্তু আপনি একটি বিশেষ উপকার পেয়ে যাচ্ছেন।

লেখকের শেষ বক্তব্য

প্রিয় পাঠক এই ছিল আমাদের আজকের এই আর্টিকেল আর্টিকেলটি আপনার কাছে পড়ে কেমন লেগেছে এবং এটা সম্পর্কে আপনি ভালোভাবে জানতে পেরেছেন কিনা সেটা অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন এবং এছাড়াও আরও অন্য কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে সে ক্ষেত্রেও আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

আর আশা করি আপনি হয়তো বা এতক্ষণে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে সকল কিছু বুঝতে পেরেছেন আর যদি একবার পড়ে ভালোভাবে বুঝতে না পারেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে আরেকবার ভালোভাবে পড়ে নিবেন তাহলে আপনার বুঝতে অসুবিধা হবে না। আর এরকম নতুন নতুন তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।

আর আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন এই লেখাগুলো আপনার বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার করে দেওয়ার। তো আজকে এ পর্যন্তই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এত দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url